v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-12 15:59:02    
১২ অক্টোবর

cri
**১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্বের লোকসংখ্যা৬০০কোটি হওয়া উপলক্ষে পেইচিংয়ে বিরাট সমাবেশ

    ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর হলো জাতিসংঘের ধার্য করা " বিশ্বের ৬০০ কোটি লোকসংখ্যা দিবস"। চীনের রাজধানী পেইচিংয়ের বিভিন্ন মহলের লোকেরা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে এক বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে লোকসংখ্যা ও উন্নয়নের এই অভিন্ন বিশ্বজনীন সমস্যার ওপর মনোযোগ দিয়েছেন। চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি এই সমাবেশের কাছে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন। উপপ্রধানমন্ত্রী লি লানছিং এই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন।

    অভিনন্দনবার্তায় প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি বলেছেন, বিশ্বের লোকসংখ্যা বেড়ে ৬০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এটা মানবজাতির বিকাশের এক মাইলফলক এবং লোকসংখ্যার অতি দ্রুত বৃদ্ধির প্রতিপক্ষে এক সতর্কবাণী। জাতিসংঘ এই দিনকে "বিশ্বের ৬০০ কোটি লোকসংখ্যা দিবস" বলে ধার্য করেছে এবং এই   দিবসের প্রধান ধ্বনি: "মানবজাতির জন্মনিয়ন্ত্রণের এই পথ বাছাই বিশ্বের ভবিষ্যত্ নির্ধারণ করবে। এতে লোকসংখ্যা সমস্যা সমাধানের ওপর আন্তর্জাতিক সমাজের মনোযোগ প্রতিফলিত হয়েছে।

**১৯৭৬ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত

    ১৯৭৬ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয় । সৌদি আরব এই মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে ,তাই এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সৌদি আরবের বাদশাহ খালেদ ।

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভূট্টো সৌদি বাদশাহ খালেদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং মসজিদের একটি রূপোর মডেল খালেদকে উপহার দেন । নির্মিত হবার পর এই মসজিদে একই সঙ্গে ৩৩ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারে।

**১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর কলম্বাসের আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার

    আমেরিকা মহাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লোকেরা প্রায়ই বলেন," কলম্বাসই সর্বপ্রথমে আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন।"

    ইতালির জেনোয়া শহরে কলম্বাসের জন্ম। ছোট বেলা থেকে তিনি মার্কোপোলোর ভ্রমণকাহিনী পড়তে পছন্দ করতেন ।বইটি থেকে তিনি জেনেছেন, চীন আর ভারত ইত্যাদি প্রাচ্যদেশ খুবই সমৃদ্ধিশালী, সেখানে না-কি "সর্বত্রই সোনা এবং সুগণ্ধী মসলা"। অতএব তিনি তখন থেকেই মনে মনে সেই রহস্যময় এবং আকর্ষণীয় প্রাচ্য দুনিয়া ভ্রমণ করার কল্পনা করতেন।

    ১ ৪৯২ সালের ৩ আগষ্ট কলম্বাস এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন ৮৭ জন নাবিক তিনটি পাল-তোলা জাহাজ চালিয়ে স্পেনের পালোস বন্দর থেকে রওয়ানা হলেন পশ্চিম অভিমুখে।

    এটা ছিল আটল্যাণ্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত এক দু:সাহসিক দীর্ঘ যাত্রা। তাঁরা সাগরে দুই মাস ৯ দিন চলার পর অবশেষে আমেরিকা মহাদেশের বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে পৌঁছলেন । কলম্বাস এই দ্বীপকে নাম দিলেন " সান সালভাডোর", এর অর্থ : "পবিত্র ত্রাণদাতা"। কারণ এই দ্বীপই তাঁদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

    আসলে কলাম্বাস আমেরিকা মহাদেশে পৌঁছেছেন , কিন্তু তিনি নিজে মনে করলেন, এশিয়ায় পৌঁছেছেন। স্পেনে ফিরে যাওয়ার পর কলম্বাস বীর হিসেবে সমাদৃত হলেন। স্পেনের রাজা আর রাণী মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন । কলম্বাস রিপোর্ট প্রকাশ করলেন যে, তিনি " ইণ্ডিয়া দ্বীপপূঞ্জে" এবং "জাপানে" পৌঁছেছিলেন।

    যদিও কলম্বাস নিজে স্বীকার করেন নি যে , তিনি আমেরিকা আবিষ্কার করেছেন, কিন্তু পরবর্তী লোকেরা তাঁর কীর্তিকে সম্মান করেন এবং তাঁকেই " আমেরিকার আবিষ্কারক" বলে প্রশংসা করেন।