আজকের ' খেলার জগত' অনুষ্ঠানেপ্রথমে শুনবেন দেশ বিদেশের খেলার খবর, তার পর চীনের পুরুষ ভারোত্তলন ক্রীড়াবিদ চাং কুওচেং সম্বন্ধে কিছু বলবো।
৯ অক্টোবর চীনের অলিম্পিক কমিটি ঘোষণা করেছে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান রোগে ১১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চীন সফর করবেন। চীন সফরকালে তিনি চীনের নানচিন শহরে অনুষ্ঠেয় চীনের দশম জাতীয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
৫ অক্টোবর হংকংএ ২৯তম শ্রীষ্মকালীণ অলিম্পিক কমিটির সাংগঠনিক কমিটির হর্সম্যানশিপ কমিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা হয়েছে। হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রশাসক এই কমিটির সহায়তাকারী এবং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল সরকারের প্রশাসনিক ব্যুর্রোর মহা পরিচালক এই কমিটির চেয়ারম্যান। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি গত জুলাই মাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেইচিং অলিম্পিক গেমস এবং প্রতিবন্ধি অলিম্পিক গেমসের প্রতিযোগিতা হংকংএ আয়োজিত হবে।
১০ অক্টোবর চীনের পূবাঞ্চলীয় শহর সুযৌতে অনুষ্ঠিত চীনের দশম জাতীয় গেমসের নারী ৪৮ কেজি শ্রেণীর ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় চীনের হুনান প্রদেশের ইয়াংডো ২১৫ কেজি ওজন উত্তোলন করে এই ইভেন্টের জাতীয় রের্কড ভাঙ্গ করেছেন।
আন্তর্জাতিক স্কেটিং ইউনিয়নের সল্প ট্রেড স্পীড স্কেটিং বিশ্ব কাপের দক্ষিণ কোরিয়া ধাপের প্রতিযোগিতা ৯ অক্টোবর সিউলে সমাপ্ত হয়েছে। সে দিনের প্রতিযোগিতায় চীনের ক্রীড়াবিদ ওয়াংমন নারী এক হাজার মিটারের চ্যাম্পীয়ন হয়েছেন। চীনের নারী দল তিন হাজার মিটার রিলে প্রতিযোগিতার শীরোপা অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত চীনের ক্রীড়াবিদরা মোট ১০টি স্বর্ণপদকের ৫টি অর্জন করেছেন।
২৭তম বিশ্ব ফিগার জামন্যাজিয়াম পতিযোগিতা ছ'দিনের তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলার পর ৯ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী পাখুলোতে সমাপ্ত হয়েছে। ৯ দফার প্রতিযোগিতায় রাশিয়া দল ৭টি স্বর্ণপদক, ১ টি রৌপ্যপদক এবং ৪টি ব্রাঞ্জপদক অর্জন করেছে।
পঞ্চম এশীয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দাবা চ্যাম্পীয়নশীপের চর্তুথ দফা প্রতিযোগিতা ভারতের হাঢ়দেরাবাদে সমাপ্ত হয়েছে।
এখন চীনের পুরুষ ভারোত্তোলন ক্রীড়াবিদ চাং কুওচেং সম্বন্ধে কিছু বলবো।
চাং কুওচোং ১৯৭৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়াইয়ৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্য হচ্ছে ২০০৪ সালে অলিম্পিক গেমসে ভারোত্তলনে পুরুষদের ৬৯ কেজির দফায় চ্যাম্পিয়ন হন।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি ফুচিয়ান প্রদেশের নানফিন অপেশাদার ক্রীড়া স্কুলে অনুশীলন করেন. তখন তাঁর কোচ ছিলেন লাই ছিলেন লাই চিছেন এবং সুয়ে সিংবি; ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি পেইচিং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া এবং অনুশীলন করেন, তখন তাঁর কোচ ছিলেন দলে প্রবেশ করেন, তখন তাঁর কোচ ছিলেন হুয়াং হুয়াসিন; ১৯৯৯ সালের জানুয়ারী তিনি জাতীয় ভারোত্তলন দলে প্রবেশ করেন, তখন তাঁর কোচ ছিলেন ছাই ইয়ানশু।
২০০০ সালে তিনি সিডনি অলিম্পিক গেমসে পুরুষদের ৬৯ কেজি বিভাগে মোট পয়েন্ট দফায় চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০১ সালে নবম জাতীয় গেমসে তিনি পুরুষদের ৬৯ কেজির সন্যাচ, জার্ক ও মোট পয়েন্ট দফায় চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০২ সালে ফুসান এশীয় গেমসে তিনি পুরুষদেরক ৬৯ কেজি বিভাগে স্ন্যাচ, ক্লিন জার্ক ও মোট পয়েন্ট দফায় চ্যাম্পিয়ন হন।
তাঁর প্রধান রেকর্ড ছিন হুয়াংতাওয়ে এশীয় ভারোত্তলন চ্যাম্পীয়নশীপে পুরুষদের ৬৯ কেজি বিভাগে স্ন্যাচ দফায় ১৯৭.৫ কেজির উত্তলনের সাফল্য নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
|