দু'জন নভোচারী-বাহী শেনচৌ-৬ মহাকাশযান আজ (১২ অক্টোবর) উত্ক্ষেপণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমাজ ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা মাদাম সিলভিয়ে কালারি আমাদের সংবাদদাতাকে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময়ে বলেছেন, শেনচৌ-৬ মানুষবাহী মহাকাশযানের উত্ক্ষেপণ চীনের মহাকাশ পরিকল্পনার সাফল্যের প্রতীক এবং চীন যে মানুষবাহী নভোযানের প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে, তার একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
চীনের দ্বিতীয় মানুষবাহী মহাকাশযান সাফল্যের সঙ্গে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছে বলে ইউরোপীয় মহাকাশ ব্যুরোর নভোচারী ফ্রান্ক দে ওয়েন অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চীনের নভোচারীদের মহাকাশ ভ্রমণ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, চীনের শেনচৌ-৬ মহাকাশযানের একশ'টিরও বেশি প্রযুক্তিগত সংস্কার করা হয়েছে, তাতে মহাকাশের ক্ষেত্রে চীনের দ্রুত অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে চীনের সার্বিক শক্তিও দেখানো হয়েছে।
মার্কিন বিখ্যাত মহাকাশের রণনৈতিক বিশেষজ্ঞ মাদাম জন জনসোন-ফ্রেস চীনের শেনচৌ-৬ সাফল্যের সঙ্গে উত্ক্ষেপণের উচ্চ প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা করেন যে, এই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন গভীরতর সহযোগিতা করবে।
জাপানের "আসাহি শিমবুন" পত্রিকার খবরে প্রকাশ, চীনের শেনচৌ-৬ মহাকাশযানের উত্ক্ষেপণ সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর তৃতীয় মহাকাশ দেশ" হিসেবে চীনের অবস্থান জোরদার হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম ও ইতালির সংবাদ মাধ্যমও এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত খবর সম্প্রচার করেছে।
|