উখোং পুরোহিতের রুপ নিয়ে ভালুক দানবের গুহায় এলো ।দানব তাকে সম্বর্ধনা জানিয়ে বললো আচার্যের কাষা তার কাছে আছে । অমনি ঝাঁপিয়ে পড়লো উখোং তার উপর । সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেলো দানবের সঙ্গে । বহু দফা যুদ্ধ করেও কেউ কাউকে হারাতে পারলোনা । অবশেষে পালিয়ে গেলো দানব ।
পরদিন মন্ত্রমেঘে চড়ে উখোং বোধিসত্ব কুয়ানইনের মন্দিরে গেলো । দেবি প্রথমে রাগ করলেন কাষা হারানো এবং মন্দির পুড়ে যাওয়ার জন্য । তারপর আচার্যের বিপদে সাহায্য করতে রাজি হলেন। উখোং-এর সঙ্গে দেবি এলেন কৃষ্ণপবন পর্বতে ।
পথে লিংসু পুরোহিতকে দেখা গেলো । তার হাতের থালায় দুটি অমর বটিকা । উখোং এক ডান্ডার আঘাতে পুরোহিত হত্যা করলো । দেবি অসন্তুষ্ট হলেন । সে জানালো যে পুরোহিত হলো নেকড়ে দানব । সে ভলুক দানবের বন্ধু ।
অমর বটিকার একটা উখোং খেয়ে নিলো । তারপর নিজে বটিকার রুপ নিল । দেবি দুটি বটিকা নিয়ে পুরোহিতের রুপ নিলেন । পুরোহিতের বেশে কৃষ্ণপবন গুহায় এলেন দেবি । দানব লিংসু পুরোহিতকে সমাদর করলেন । বোধিসত্ব অমর বটিকা দানবকে দিলেন । দানব মুহুর্তে তা গিলে ফেললো । দানবের পেটে শুরু হলো উখোং-এর তান্ডব । যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগলো দানব ।
দেবি স্বরুপে ফিরে এলেন । উখোং তখন বের হয়ে এলো দানবের নাকের মধ্য দিয়ে । তাঁরা আচার্যের কাষা বস্ত্র ফেরত চাইলেন । বাধ্য হয়ে কাষাবস্ত্র ফেরত দিতে চাইলো দানব । বাধ্য হয়ে কাষাবস্ত্র ফেরত দিতে চাইলো দানব । প্রাণের চেয়ে তো আর কাষা দামি নয় ।
দানব বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হলো । দেবি উখোং-এর ডান্ডার আঘাত থেকে তাকে বাঁচালেন । অবশেষে ফেরত পাওয়া গেলো আচার্যের কাষা । দেবি ভালুক দানবকে নিয়ে গেলেন সঙ্গে করে । উখোং কৃষ্ণপবন গুহা পুড়িয়ে দিলো ।
আচার্য অধির হয়ে পড়েছিলেন । এমন সময় কাষা বস্ত্র নিয়ে ফিরে এলো উখোং । সমস্যার সমাধান হলো । আচার্য সন্তুষ্ট হলেন উখোং-এর উপর । যাই হোক দেরি না করে আবার তিনি রওনা হলেন বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহের জন্য ।
স্টুবেট দেশে প্রাচিন কাও লাও চুয়াং গ্রামে এক লোক বাস করতো । তার নাম স্কোয়ার কাও । তিনটি কন্যা রেখে তার স্ত্রি অল্পবয়সে মারা যায় । কাও-এর দুই মেয়ে এখন বিবাহিত । তারা দুরে থাকে । তৃতিয় কন্যা নিলকুসুম বা ব্লু অর্কিড এখনও অবিবাহিত । বাবার কাছেই থাকে সে ।
অপরূপ সুন্দরি কন্যা নিল কুসুম । সতরা বছরে পা রাখলে তার জন্য বহু লোক বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো । কিন্তু কাও রাজি হলো না । সে এমন জামাই চায় , যে তাদের সঙ্গে বসবার করবে এবং বৃদ্ধ বয়সে দেখাশোনা করবে তার ।
একদিন চু নামে এক তরুণ কাও-এর শর্তে রাজি হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলো । কাও তাকেই জামাই করলো । খুব ধুমধামে বিয়ে হলো নিল কুসুমের ।
নতুন জামাই বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর কাও-এর ক্ষেত খামারের যাবতিয় কাজ কাঁধে তুলে নিলো । বেশ কর্মঠ সে।
|