v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-10-05 19:57:05    
চ্যানেল বিজয়ী চীনা বীর চাং চিয়েন'

cri
    আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। এখন শুনুন আমাদের সাপ্তাহিক বিশেষ অনুষ্ঠান'খেলার জগত' । শ্রোতা বন্ধুরা, সাঁতার কেটে নদনদী অতিক্রমের কথা উল্লেখ করলে চাং চিয়েনের নাম চীনাদের মনে পড়ে।তিনি সাফল্যজনভাবে ইংলিশ চ্যানেল প্রণালী অতিক্রম করেছিলেন।সম্প্রতি তিনি আবার সাফল্যজনকভাবে চীনের দক্ষিণাংশের লিনদিনইয়াং সাঁতার কেটে অতিক্রম করেছেন। যার ফলে তিনি আবার চীনের ক্রীড়া জগতে একজন আলোচিত ব্যক্তিত্বেপরিণত হয়েছে।

    চাং চিয়েন চীনের পেইচিং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মধ্য বয়সী শিক্ষক। গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি আরেক বার জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সে দিন সকালে তিনি হংকংএর ডাইউ সেন থেকে পানিতে নেমে সাগরে একটানা ১০ ঘন্টা ৪৩ মিনিটে সাঁতার কেটেছেন। সন্ধ্যাবেলায় ম্যাকাওয়ের সৈকতে পৌঁছে তিনি সাফল্যজনকভাবে লিনদিনইয়ান সাফল্যজনকভাবে অতিক্রম করেছেন। তিনি এর আগে বেশ কয়েকটি নদনদী অতিক্রম করেছেন বটে, কিন্তু এবারকার লিনদিনইয়ান অতিক্রম করা তাঁর পক্ষে সত্যি পুরোপুরি এক নতুন চ্যালেন্ঞ্জ। তিনি বলেছেন,

    আমি আগে যে সব নদনদী অতিক্রম করেছি সে সব নদনদীর তুলনায় এবারকার লিদিনইয়াং অতিক্রম করার মধ্যে ভীষণ পাথর্ক্য আছে। কারণ লিদিনইয়াং একটি সাগরের মোহনা। জুচিয়াং নদীর পানি এখান থেকে সাগরে প্রবাহিত হয়। সুতরাং স্রোত অত্যন্ত প্রবল। আমি এবার একটি নতুন অভিযান চালিয়েছি।

    ছোট বেলা থেকে সাঁতার কাটা চাং চিয়েনের শখ। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি নদনদী অতিক্রমে লিয়োজিত হন। তখন তিনি ছিলেন পেইচিং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক। তাঁর বয়স মাত্র ২৪ বছর। সে বছর তিনি শুনলেন যে, কয়েক জন বিদেশী সাঁতার প্রেমিক চীনের তৃতীয় বড় প্রণালী---ছনচোও প্রণালী অতিক্রম করতে চেয়েছেন। এ ধরনের তত্পরতা চীনে কোনো দিন আয়োজিত হয়নি। বিদেশী সাঁতারুদের আগে জেন চিয়েন এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু সাফল্যনজকভাবে ছনচোও প্রণালী অতিক্রম করেন। তাঁরা একটানা ২৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন।তখনকার কথা স্মরণ করে চাং চিয়েন বললেন,

    এই ইভেন্টে আমার অংশ গ্রহণের দুটো কারণ আছে। প্রথমত: এই ইভেন্টের প্রতি আমার কৌতূহল বেশী। ছোটবেলা থেকে আমি সাঁতার কাটতে পছন্দ করি। আমি দূর পাল্লার সাঁতার কাটতে পছন্দ করি। দ্বিতীয়ত: ১৯৮৭ সাল থেকে এই ইভেন্ট চীনে প্রবেশ করতে শুরু করে। আমার মনে হয় এই ইভেন্ট হবে নতুন শতাব্দীতে ক্রীড়া উন্নয়নের প্রবণতা। এই ক্রীড়ার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। এই জন্যে আমি এ ধরনের তত্পরতায় আত্মনিয়োগ করেছি।

    ছনচৌও প্রণালী অতিক্রম করার পর চাং চিয়েন বেশ কয়েকটি নদনদী অতিক্রম করেছেন। তবে ২০০০ সালে পো হায় সাগরের প্রণালী অতিক্রম করার পরই কেবল তাঁর নাম ব্যাপক চীনা জনগনের মধ্যে চড়িয়ে পড়ে। ২০০০ সালের ১০ আগষ্ট তিনি একটানা সাগরে ১০৯ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছেন। তিনি সাফল্যজনকভাবে চীনের দ্বিতীয় বড় প্রণালী---পো হায় সাগর প্রণলী অতিক্রম করলেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই ইভেন্টে পুরুষদের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার রের্কড সৃষ্টি করলেন। তখন তাঁর এই আচরণ সারা চীনে আলোড়নের সৃষ্টি করে। তিনি স্মরণ করে বলেছেন,

    পো হায় সাগর প্রণালী অতিক্রম করা আমার জীবনে একটি স্মরণীয় ঘটনা। কারণ এর দূরত্ব অত্যন্ত দীর্ঘ। মোট শতাধিক কিলোমিটার। এই প্রণালী অতিক্রম করতে দু' দিন দু' রাত লেগেছে। এই প্রণালী অতিক্রম করার জন্যে আমি অনেক দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

    ছনচোও প্রণালী সাফল্যজনকভাবে অতিক্রম করার পর চাং চিয়েনের দৃষ্টি সুদূর ইউরোপের দিকে নিবদ্ধ করলেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করা সহজ কাজ নয়। কারণ এই প্রণালীতে পানির তাপমাত্রা খুব নীচু এবং পানি প্রবাহের অবস্থা জটিল। ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ মাট্রো ভেব প্রথম বার এই প্রণালী সাঁতার কেটে অতিক্রম করেছিলেন।এর পরের ১২৬ বছরে বাংলাদেশের ব্রজেন দাশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার ৮ শোরও বেশী বেপরোয়া সাঁতারু এই বিখ্যাত প্রণালী অতিক্রম করেছেন। কিন্তু চাং ছিলেন প্রথম চীনা লোক যিনি সাফল্যজনকভাবে ইংলিশ প্রণালী অতিক্রম করেছেন।