মন্দিরের দক্ষিণে চারযোজন দুরে কৃষ্ণপবন পর্বত । সেখানে আছে কৃষ্ণপবন গুহা । এক ভালুক দানব বাস করে সেখানে । মাঝারাতে জেগে সে আগুন দেখে মন্দিরে এলো । পেছনের ঘরে কাষার পুটলি খুলে আচার্যের কাষাটি চুরি করে নিয়ে নিজের গুহায় ফিরে এলো ভালুক দানব ।
ভোর হলে আগুন নিবলো । পুড়ে ছাই হয়ে গেলো মন্দির । আচার্য , ঘোড়া এবং মালামাল সব নিরাপদ থাকলো । উখোং অগ্নি প্রতিরোধ আচ্ছাদন ফিরিয়ে দিলো ।
আচার্য ব্যস্ত হলেন তার কাষার জন্য । উখোং জানালো আগুন পেছনের ঘরে যায়নি । ওখান আসছেন কাষা নিতে । বৃদ্ধ এবার বানরের ক্ষমতা বুঝে মাথা ঠুকতে লাগলো ।
উখোং কোথাও কাষা খুঁজে পেলোনা । আচার্য রাগে মন্ত্র পড়লেন । যন্ত্রণায় উখোং মাটিতে পড়ে চিত্কার করে বললো । আচার্যদেব মন্ত্র থামান , মরে গেলাম । আমি কাষা খুঁজে আনবোই । মন্ত্র পড়া থামালেন আচার্য ।
বানর ভিক্ষুদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে দক্ষিণ দিকে কৃষ্ণপবন গুহায় এক দানব থাকে । সে মাঝে মাঝে মানুষের রুপ নিয়ে শাস্ত্র পাঠ গুনতে আসে ।
বানর তাকে দেখতে গেলো । কৃষ্ণপবন পর্বতে এসে উখোং দেখলো , ভালুক দানব , লিংসু পুরোহিত আর সর্পদানব পাহাড়ের নিচে বসে সুন্দর এক কাষা সম্বন্ধে কথাবার্তা বলছে । ভালুক দানব তার জন্মদিনে বৌদ্ধ পোশাক প্রদর্শনি করতে চাইছে ওটা দেখিয়ে ।
উখোং সব ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়লো ভালুক দানবের উপর । ভালুক দানব ও লিংসু পুরোহিত পালালো । সর্প দানব মারা পড়লো উখোং-এর ডান্ডার আঘাতে ।
উখোং কৃষ্ণপবন পর্বতের গুহায় এসে প্রহরি দানবকে দরজা খুলতে বললো । ভালুক দানব বর্শা হাতে বেরিয়ে এলো । শুরু হলো যুদ্ধ । সারারাত পার হলো । কেউ কাউকে হারাতে পারলোনা । ভালুক দানব আবার গুহার মধ্যে লুকালো ।
উখোং ফিরে এসে আচার্যকে বললো , ভালুক দানব তাঁর কাষা চুরি করেছে । সে তা স্থির জেনেছে । কোনো ভুল নেই এতে । তবে সেটা উদ্ধার করবেই উখোং ।
ভালুক দানবের কৃষ্ণপবন গুহায় যাওয়ার পথে উখোং এক খুদে দানবকে হত্যা করে তার বাক্স দখল করলো । বাক্সের মধ্যে ছিল বৃদ্ধ পুরোহিতকে লেখা ভালুক দানবের এক চিঠি ।
|