৪ তারিখে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়াজুদ্দিন আহমেদ পরস্পরের কাছে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়ে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছেন ।
হু চিনথাও তাঁর অভিনন্দনবার্তায় বলেছেন যে, চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে , দু'দেশের সম্পর্ক সার্বিকভাবে উন্নত হয়েছে । দু'দেশ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরষ্পরের প্রতি আস্থাশীল, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরষ্পরকে কল্যাণ আর সুবিধা দেয় , বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা করে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ব্যাপারে পরষ্পরকে সমঝোতা ও সমর্থন করে । চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভিন্ন সমাজ ব্যবস্থা আর সাংস্কৃতিক পটভুমিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আদর্শ দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে ।
চীনের সরকার আর জনগণ চীন-বাংলাদেশ ঐতিহ্যিক মৈত্রীকে খুবই মুল্য দেয় । চীন বাংলাদেশের সরকার আর জনগণের সঙ্গে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ আরো জোরদার করা , ঐতিহ্যিক মৈত্রী গভীরতর করা, পারস্পরিক কল্যাণমূলক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা , মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আর দু'দেশের সার্বিক সহযোগিতামূলক অংশীদার সম্পর্ককে একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে ইচ্ছুক ।
আহমেদ তাঁর অভিনন্দনবার্তায় বলেছেন যে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়েছে , দু'দেশ সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রের আদান-প্রদান ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হয়েছে । তিনি বিশ্বাসকরেন ভবিষ্যতে দু'দেশের সহযোগিতা আরো জোরদার হবে , দু'দেশের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা হবে এবং তা আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা, সহযোগিতা ও উন্নয়নের সহায়ক হবে ।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাওশিংও আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম.মোরশেদ খানের কাছে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন ।
|