** ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার মহতী অনুষ্ঠান
১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর চীনা জনগণের এক চির- স্মরণীয় দিবস। এই দিনে পেইচিংয়ের সামরিক বাহিনী এবং জনসাধারণের তিন লক্ষ সদস্য থিয়েন-আন-মেন মহা-চত্বরে সম্মিলিত হয়ে দেশ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জাতীয় সংগীত "স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অভিযাত্রা" এর সুরে সুরে কেন্দ্রীয় গণ-সরকারের চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা মঞ্চে উপস্থিত হন। গণ নেতা মাও সে তুং দৃপ্তকণ্ঠেঘোষণা করেন, "চীন গণ প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় গণ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।" এই জলদ-গম্ভীর আওয়াজ পেইচিং নগরকে নাড়া দিয়েছে, সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে, নাড়া দিয়েছে গোটা পৃথিবীকেও । এর মাধ্যমেই চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণের নতুন শতাব্দীর দ্বার উন্মোচিত হলো।
মাও সে তুং বোতাম টিপে প্রথম পাঁচ তারা লাল পতাকা মহা-চত্বরের আকাশে উত্তোলণ করেন। এর সঙ্গে সঙ্গে ৫৪টি জাতির প্রতিনিধিত্বকারী৫৪টি অভিবাদন কামান এক সাথে ২৮ বার গর্জন করেছে। এ থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনা জনগণ ২৮ বছরের সাহসী সংগ্রামের পর অবশেষে চীনের নতুন গণতান্ত্রিকবিপ্লবের চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছেন।
** ১৯৫৫ সালের ১ অক্টোবর সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত
১৯৫৫ সালের ১ অক্টোবরসিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠা দিবস। চীন গণ প্রজাতন্ত্রের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদযাপন উপলক্ষ্যে উরুমুচির বিভিন্ন জাতি এবং বিভিন্ন মহলের ৬০ হাজারাধিক লোক মহা গণ চত্বরে মনোজ্ঞ সম্মিলনীর আয়োজন করেন।
** ২০০০ সালের ১ অক্টোবর চীনের শতাব্দী বেদী আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত
২০০০ সালের ১ অক্টোবর চীনের শতাব্দী বেদী আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হয়। নতুন শতাব্দীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এই প্রতীক ও স্মরণীয় অট্টালিকা নির্মান করা হয়। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীন সরকার এখানে নতুন সহস্রাব্দীর বৃহত্ অভ্যর্থনানুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
পেইচিংয়ের পশ্চিম ছাং আন এভিন্যূর পাশে চীনের বিপ্লবী সামরিক যাদুঘর এবং কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের মাঝখানে চীনের শতাব্দী বেদী, এর উত্তর দিকে ইয়ু ইয়ান থান পার্ক, দক্ষিণ দিকে পেইচিংয়ের পশ্চিম রেল স্টেশনের মুখোমুখি এর মেঝের আয়তন ৪.৫ হেক্টর।
** ১৯৬০ সালের ১ অক্টোবর নাইজেরিয়া স্বাধীন হয়
নাইজেরিয়া হচ্ছে আফ্রিকার এক প্রাচীন দেশ। এক হাজারাধিক বছরের সূদীর্ঘ ইতিহাস এবং উজ্জ্বল জাতীয় সভ্যতা আছে। নাইজেরিয়া পশ্চিম আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ক্যামেরুন, উত্তর-পূর্ব দিকে ছাদের সঙ্গে ছাদ হ্রাদের দু'পারে মুখোমুখি । পশ্চিম দিকে প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে বেনিন, উত্তর দিকে নাইজারের সঙ্গে সংলগ্ন, দক্ষিণ দিকে আটলান্টিক মহাসাগরের গিনি উপসাগর। নাইজেরিয়ার আয়তন ৯ লক্ষ ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা ১৩ কোটি ৭০ লক্ষ , আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ।
বিগত ১০০ বছরে নাইজেরিয়া ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিলো, অর্থনীতি অপেক্ষাকৃত পশ্চাত্পদ, জনসাধারণের জীবন অতি দরিদ্র। নাইজেরিয়ার জনগণ দীর্ঘকাল সাহসী সংগ্রাম করার পর অবশেষে ১৯৬০ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় স্বাধীনতা লাভ করেন। তখন থেকে নাইজেরিয়া নিজের রাষ্ট্রীয় অবস্থা অনুযায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করে আসছে, যাতে কষ্টার্জিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুসংবদ্ধ করা যায়।
চীন ও নাইজেরিয়া ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর দু'দেশের মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি , সংস্কৃতি প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হয়েছে।
|