** ১৯৪৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিনচিয়াং শান্তিপূর্ণ মুক্তিলাভ
১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে নানচিং মুক্তি পেয়েছে, কুওমিনটাং পার্টির শাসন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। গণ-মুক্তি ফৌজ অব্যাহতভাবে অবশিষ্ট শত্রু বাহিনী পশ্চাদ্ধাবন করে।
গণ-মুক্তি ফৌজের অতি প্রবল শক্তি অপ্রতিরোধ্য বলে কুওমিনটাং পার্টির সিনচিয়াং প্রদেশের গ্যারিসন কম্যাণ্ডার থাও চি ইয়ু ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তারবার্তায় ঘোষণা করেন , তাঁর নেতৃত্বে গোটা প্রদেশের সামরিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিগণ বিদ্রোহী হন এবং সিনচিয়াং শান্তিপূর্ণ মুক্তিলাভ করে। তিনি কুওমিনটাং পার্টির প্রতিক্রিয়াশীল সরকার থেকে পৃথক হয়ে জনগণের কাছে ফিরে আসার কথা ঘোষণা করেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং চেয়ারম্যান মাও সে তুংয়ের সুবিজ্ঞ নেতৃত্বে ও আন্তরিক প্রযত্নে সিনচিয়াং মুক্তি পেয়েছে। সিনচিয়াংয়ের শান্তিপূর্ণ মুক্তিলাভ চীনের একীকরণ এবং জাতীয় সংহতি সুরক্ষার জন্য খুবই তাত্পর্যপূর্ণ।
** ১৯৭২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চীন-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ
১৯৭২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী টানাকা কাকুয় চীন সফর করেন। দু'পক্ষ "চীন-জাপান যুক্ত বিবৃতি" প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে জাপানী সরকার স্বীকার করে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের সরকারই চীনের একমাত্র বৈধ সরকার । চীন সরকার আবার ঘোষণা করে যে, তাইওয়ান চীন গণ প্রজাতন্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাপানী সরকার চীনের এই অধিষ্ঠানের প্রতি পুরোপুরি সমঝোতা এবং সম্মান করে, এবং "পোটসদাম ইস্তাহারের" অষ্টম ধারার নিয়ম অনুসরণ করবে। বিবৃতিতে ঘোষিত হয়েছে যে, দু'পক্ষ ১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরস্পরের কাছে রাষ্ট্রদূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শান্তিপূর্ণ মৈত্রী চুক্তি এবং সরকারী বাণিজ্য, নৌ পরিবহন, বিমান চলাচল, মত্স্য প্রভৃতি চুক্তি স্বাক্ষর করার উদ্দেশ্যে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির ভিত্তিতে দু'দেশের স্থায়ী শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
** ১৯৫৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চীনের তাছিং তৈলক্ষেত্র আবিষ্কার
১৯৫৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চীনের পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান দল উত্তর-পূর্ব চীনের সোংলিয়াও বেসিনে বিরাট তৈলক্ষেত্র আবিষ্কার করে। সেই সময় ঠিক নয়া চীনের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, ফলে এই তৈলক্ষেত্রকে "তাছিং" অর্থাত্ "বড় উদযাপন" নামকরণ করা হয়েছে। তাছিং তৈলক্ষেত্রের আবিষ্কার চীন কৃশ তৈল দেশের ধারণা ভেঙেছে।
** ১৯৫৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী বন্দরনায়েকের গুপ্তহত্যা
১৯৫৬ সালের এপ্রিল মাসে সাধারণ নির্বাচনে ফ্রীডম পার্টির নেতৃত্বাধীন গণ যুক্ত ফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে পরাজিত করে। ফ্রীডম পার্টির চেয়ারম্যান বন্দরনায়েক প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
বন্দরনায়েক ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আটটি রাজনৈতিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বৃটিশ কমনওয়েলথ ত্যাগ করে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, দেশের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত করা, শিল্প উন্নয়ন করা, বিদেশের উপর নির্ভরশীলতা দূর করা ইত্যাদি। তাঁর মতামত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির ভিতরে কিছু বড় জমিদার এবং বড় বুর্জোয়াদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ১৯৫৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দু'জন সন্ন্যাসী বন্দরনায়েককে একটানা ছয়টি গুলি মেরেছে। দ্বিতীয় দিন সকালে খুব গুরুতর আহত হওয়ায় বন্দরনায়েক মারা যান।
ফ্রীডম পার্টি ১৯৬০ সালের জুলাই মাসের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে। বন্দরনায়েকের স্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক স্বামীর অসম্পন্ন কর্তব্য পালন করে শ্রীলংকা প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
|