**১৯৮৯সালের ২১ সেপ্টেম্বর চীনের প্রথম চলচ্চিত্র উত্সব পেইচিংয়ে উদ্বোধন
১৯৮৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চীনের প্রথম চলচ্চিত্র উত্সব পেইচিংয়ে মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়। এটি নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর ৪০ বছরে চীনের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্সব। এই ৪০ বছরে চীনে এক পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এভাবেই চীনের চলচ্চিত্র বহির্বিশ্বের দিকে যেতে শুরু করেছে। এই চলচ্চিত্র উত্সবে নয়াচীনের ৪০ বছরে একদল শ্রেষ্ঠ চিত্র-তারকা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন : চাও তান, ছুই ওয়েই, পাই ইয়াং, সুন তাওলিন, ইউ লান, ওয়াং সিনকাং, সিয়ে ফাং, লিউ সিয়াও ছিং, ফান হোং এবং চিয়াং ওয়েন।
**১৯৮১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বেলিজের স্বাধীনতা
বেলিজ মধ্য আমেরিকার একটি দেশ , যা মধ্য-আমেরিকার উত্তরপূর্ব অংশে অবস্থিত । এদেশের আয়তন ২২৯৬৩ বর্গকিলোমিটার , লোকসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। দেশবাসীদের মধ্যে শংকর জাতির লোক এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । এ'ছাড়াও রয়েছে রেড-ইণ্ডিয়ান, মাইয়া, ভারতীয় , চীনা এবং শ্বেতাঙ্গ লোক। বেলিজের সরকারী ভাষা ইংরেজী । রাজধানী বেলমোপান । এখানে মত্স সম্পদ খুবই সমৃদ্ধ। প্রচুর গলদা চিংড়ি উত্পন্ন হয়। দেশের মোট আয়তনের ৭০ শতাংশই বনাঞ্চল । এদেশের অর্থনীতি কৃষিপ্রধান। শিল্প উন্নত নয়। প্রধান ফসল হলো: আখ, ফলমূল, ধান, ভূট্টা এবং কোকো ইত্যাদি। খাদ্যশস্যে এদেশ মোটামুটী স্বনির্ভর।ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে বেলিজ স্পেনের উপনিবেশে পরিণত হয় । ১৬৩৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদিরা বেলিজে আগ্রাসন চালায়। ১৮৬২ সালে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে এদেশকে তার উপনিবেশ বলে ঘোষণা করে। তখন নাম রাখা হয়েছিল ব্রিটিশ হণ্ডুরাস।১৯৮১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বেলিজ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্যদেশে পরিণত হয় । ১৯৮৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বেলিজ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮৯ সালের ১১ অক্টোবর বেলিজ সরকার তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে "কূটনৈতিক সম্পর্ক " প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮৯ সালের ২৩ অক্টোবর চীন বেলিজের সঙ্গে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হবার কথা ঘোষণা করে ।
**১৯৬৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাল্টার স্বাধীনতা লাভ
মালটা হলো ইউরোপের দক্ষিণ দিকের একটি দ্বীপরাষ্ট্র, যা ভূমধ্যসাগরের মধ্য-অংশে অবস্থিত। মালটা হলো আটলাণ্টিক মহাসাগর থেকে ভুমধ্য সাগরের পূর্ব দিকে এবং ভারত মহাসাগরে যাওয়ার মাঝপথ, তাই এর ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দ্বীপের অধিকার নিয়ে অনেকবার যুদ্ধ হয়েছে। ইতিহাসে প্রাচীন কাল থেকে পর্যায়ক্রমে ফোয়েনিসিয়ান, কার্থাজিনিয়ান, রোমবাসী, আরব , ফরাসী এবং ব্রিটিশরা এই দ্বীপ দখল করেছিল । স্বাধীনতার আগে মালটা ছিল ব্রিটেনের নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপুর্ণ ঘাঁটি। ১৯৬৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মালটা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্যদেশে পরিণত হয়। তার ১০ বছর পর মালটা তার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ব্রিটেনের রাণীর অধীনস্থ এক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ।
মালটার প্রাকৃতিক সম্পদ খুব কম, জমি ঊষর, তবে "তিনটি ধনরত্ন" আছে---সূর্যের আলো, সাগরের পানি আর পাথর । মালটার আবহাওয়া আরামদায়ক, প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোরম, এখানে অনেক দর্শণীয় স্থান আছে। এগুলো নানা দেশের প্রচুরসংখ্যক পর্যটককে আকৃষ্ট করছে । প্রতি বছর মালটা-ভ্রমণকারী পর্যটকদের সংখ্যা মালটার লোকসংখ্যার তিন গুণের বেশী । মালটার অর্থনীতির তিনটি প্রধান অবলম্বন হলো পর্যটন, ম্যানুফ্যাক্চারিং এবং জাহাজনির্মাণ।
|