v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-20 18:44:06    
বানর রাজা সুন উখোং (৮)

cri
    জ্ঞান ফিরে এল আচার্য দেখলেন পাশে এক বৃদ্ধ । সে বললো , বাঘ দানব , বুনো গরু দানব , কালো ভালুক দানব আপনার সহচর দুজনকে খেয়ে ফেলেছে । আমি দানবদের তাড়িয়ে দিয়েছি । এখন আপনি যাত্রা করুন আবার । আমি শ্বেত তারকা দেব । আপনাকে বাঁচাতে এসেছিলাম । অন্য দেবতারাও আপনাকে সাহায্য করবে যাত্রাপথে ।

    দেবতা মিলিয়ে গেলেন । আচার্য তাঁর সাদা ঘোড়ায় চড়ে রওনা হলেন পশ্চিম দেশের উদ্দেশ্যে । পথে কিছুদের যেতেই দমকা হাওয়ার সঙ্গে এক বাঘ গর্জন করে তেড়ে এলো । আচার্যের ঘোড়া ভয়ে মাটিতে পড়ে গেলো । হঠাত্ এক তেজি ব্যাধ বর্ষার ঘায়ে বাঘকে মেরে ফেললো । ব্যাধ প্রশ্ন করে জানলো , আচার্য থাং সম্রাটের আদেশে বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন পশ্চিম দেশে ।

    আচার্যকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলো ব্যাধ । পরদিন আবার যাত্রা । হঠাত্ পাহাএর নিচ থেকে কাতর কন্ঠের ডাক শোনা গেলো । আচার্য দেব , আচার্য দেব , বলে কে যেনো ডাকছে ।

    আচার্য পাহাড়ের নিচে নেমে গিয়ে এক বানরকে দেখলেন । বানর অনুনয় বিনয় করে তাকে বাঁচাতে বললো । আরো বললো , বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহে আচার্যকে সাহায্য করবে সে ।

    প্রশ্ন করে আচার্য জানতে পারলেন কেমন করে বানর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে । ভগবান বুদ্ধ তাকে শাপ দিয়ে বলেছেন , আচার্য এলে তার মুক্তি হবে ।

    আচার্য বানরকে মুক্ত করতে গেলেন । পাহাড় দু ফাঁক করে বানর বেরিয়ে এলো । পাঁচশো বছর পর মুক্তি পেলো বানর । বানর তার নাম বললো , সুন উখোং । উখোং বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে আচার্যের শিষ্য হলো । আচার্যের সঙ্গি হলো সে ।

    যাত্রাপথে এক হিংস্র বাঘ তেড়ে এলো তাদের দিকে । উখোং তাকে এক ডান্ডার আঘাতে হত্যা করলো । আচার্য উখোং-এর প্রশংসা করলেন । কিছুক্ষণ পর আবার ছয়জন দস্যু আচার্যদের আক্রমণ করলো । এক ডান্ডার আঘাতে বানর মেরে ফেললো তাদেরকেও ।

    আচার্য এবার রাগ করে বললেন , করুনা সব বৌদ্ধধর্মিদের অবশ্য পালনিয় । তুমি ছয় ছয়জন মানুষ হত্যা করলে কেমন করে ? তুমি আমার সঙ্গে তির্থ যাত্রায় যেতে পারবেনা । অতি নিষ্ঠুর তুমি ।

    বানর কখনও কারো মেজাজ সহ্য করেনি । আচার্যের কথা শুনে মন খারাপ হলো । রাগও হলো । সে তো আচার্যের ভালোর জন্যই মেরেছে ওদের । এক ডিগবাজি খেয়ে সে পুষ্পফল পর্বতে চলে গেলো । ভাবলো , নিজের আস্তানাই তার জন্য উত্তম ।

    সুয়ান চুয়ান একলাই পথ চলতে লাগলেন । হঠাত্ দেখলেন , এক বৃদ্ধা তার দিকে আসছে । কথায় কথায় বৃদ্ধা বললো , পথে বহু বিপদ বাধা আসবে । ঐ ভারতবর্ষে যাওয়ার পথ বড়ো দুর্গম । আর সে দেশও বহু দুর । বানর আপনাকে সব সময় সাহায্য করবে । তার সে ক্ষমতা আছে । চিন্তা নেই , আমি আপনার শিষ্যকে ফিরিয়ে আনছি । একটা মন্ত্র আপনাকে শেখাবো । সেটা পড়লে বানর আর অশিষ্ট আচরণ করবেনা । তিনি একটা ধাতুর টুপি দিলেন আচার্যকে । বৃদ্ধা আকাশে উড়ে গেলো ।

    আচার্য বুঝলেন , বৃদ্ধা ছিলেন দেবি কুয়ান ইন । উখোং ছাড়া পেয়ে প্রথমে ড্রাগন রাজার প্রাসাদে বেড়াতে এলো । সে আচার্যের কথায় রাগ করে এসেছে তাও বললো । ড্রাগন রাজা তাকে বুঝিয়ে ঠান্ডা করে আবার পাঠিয়ে দিলো আচার্যের কাছে । বললো , তার পাহারা ছাড়া আচার্য বিপদ এড়িয়ে তির্থে যেতে পারবেন না । পথে বোধিসত্ব কুয়ানইনের সঙ্গে দেখা । তিনিও উখোংকে বললেন আচার্যের কাছে যেতে ।

    উখোং ফিরে এলো আচার্যের কাছে । ধাতুর টুপি দেখেই বানর তা মাথায় পরে ফেললো । আচার্য মন্ত্র পড়লেন । সঙ্গে সঙ্গে মাথার যন্ত্রনায় চিত্কার শুরু করলো সে । মন্ত্র পড়া বন্ধ করলেন আচার্য । বানর সুস্থ হলো । আচার্যকে প্রশ্ন করে সে বুঝতে পারলো বোধিসত্ব কুয়ানইনই মন্ত্রটা শিখিয়েছে আচার্যকে । এতে সে একটু সতর্ক হলো ।