ওয়াং চিয়ান পদ্মমূলের চাষ করেন, প্রত্যেক বছর তাঁর আয় গ্রামে প্রথম স্থান অধিকার করে। গতবছর পদ্মমূলের দাম নিম্ন স্তরে পড়লেও পড়েছে, ৬৬৭ বর্গমিটার জমিতে তাঁর চাষ করা পদ্মমূল থেকে তিনি একহাজারেরও বেশি ইউয়ান উপার্জন করেছেন। পদ্মমূল বিক্রী করা দেখতে খুব তুচ্ছ ব্যাপার, তবে এর ভেতরে কিছু কৌশল আছে। এখন এই সম্বন্ধে কিছু বলছি।
যখন পদ্মমূল দ্রুত বেড়ে যায় এবং পদ্মমূলের গড়ন সবেমাত্র গড়ে উঠে, তখন পদ্মমূল খুঁড়তে হবে। কারণ সেই সময়ের পদ্মমূলের রং সাদা , দেখতে সুন্দর, চিবানোর সময়ে মুচমুচে আর টাটকা লাগে। তাছাড়া বাজারেও তখন পদ্মমূলের বেশ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এসময় পদ্মমূল খুঁড়লে তার উত্পাদন কম। সেইজন্য অধিকংশ কৃষক এসময় খুঁড়তে পছন্দ করেন না। তবে ওয়াং চিয়ান এইসুযোগ ধরে পদ্মমূল খুঁড়ে বাজারে বিক্রী করে । এটা ক্রেতাদের মধ্যে সমাদর পেয়েছে। পদ্মমূলের উত্পাদন কম হলেও তাঁর উপার্জন সাধারণ সময়ের তুলনায় কয়েক গুণেরও বেশি।
যখন অন্য গ্রামবাসীরা ভুট্টা ইত্যাদি ফসল তোলার কাজে ব্যস্ত, তখন পদ্মমূল তোলার সময়ও আসে। কিন্তু অন্য কৃষকরা প্রায়ই পদ্মমূল তোলার কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য ফসল তোলার কাজ করেন। ঠিক চীনের ঐতিহ্যিক চন্দ্রোত্সব ও জাতীয় দিবস এইসময়ে পড়ে। ওয়াং চিয়ান এসব ইতিবাচক উপাদান দেখে পদ্মমূল খুঁড়তে উচ্চ দামদিয়ে লোককে ভাড়া করেন এবং বাজারে বিক্রী করেন । তখন বাজারে পদ্মমূল খুবই কম বলে ওয়াং চিয়ান ভালো আয় করেছেন।
শীতকালে ওয়াং চিয়ান সময়োচিতভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখেন ও শুনুন এবং জেলার আবহাওয়া বিভাগের সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করেন এবং আবহাওয়ার সঠিক তথ্য জেনে নেন । যখন তিনি আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন হওয়ার খবর পান তখন সময়মত মানুষকে সংগঠিত করে পদ্মমূল খুঁড়েন। একবার তিনি জেলার আবহাওয়া ব্যুরো থেকে তথ্য পেলেন যে, কিছু দিনের মধ্যে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এই অঞ্চল প্রবেশ করবে। ওয়াং চিয়ান সময়ের বিলম্ব না করে সব পদ্মমূল খুঁড়েছেন। ফলে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে এসেছে , জমি কয়েক সেনটিমিটার গভীর জমে গেছে এবং প্রচুর তুষারও পড়েছে। অন্য গ্রামবাসীরা পুকুরের পদ্মমূল খুঁড়তে পারে নি। এসময় শুধু ওয়াং চিয়ানের পদ্মমূল বাজারে উঠেচ্ছে স্বাভাবিকভাবে তিনি বেশি টাকা উপার্জন করেছেন।
|