কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত চতুর্থ ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় দফা সম্মেলন ১৯ সেপ্টেম্বর "চতুর্থ ছ'পক্ষীয় বৈঠক সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতি" গৃহীত হওয়ার পর সমাপ্ত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার থাং চিয়াসুয়ান বৈঠক শেষে ছ'পক্ষের দলনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা খুবই জটিল, সরাসরি সমাধানের জন্যে একটি কঠিন প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তিনি আশা করেন, এবারকার বৈঠকের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করবে, সম্পর্ক উন্নত করবে, যাতে কোরীয় উপদ্বীপের স্থায়ী শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায় আর যৌথ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করা যায়।
বৈঠকের চেয়ারম্যান ও চীনা প্রতিনিধি দলের নেতা উ তাওয়েই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিদেবার সময় বলেছেন, যৌথ বিবৃতি ছ'পক্ষীয় বৈঠকের সর্বগুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। বিভিন্ন পক্ষ নভেম্বরের প্রাথমিক দিকে পঞ্চম বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া যাবতীয় পারমাণবিক অস্ত্র এবং বর্তমান পরিকল্পণা ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং যথাশীঘ্র "পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি" আর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার নিশ্চয়তা ও তত্ত্বাবধান ব্যবস্থায় ফিরে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে যে, কোরীয় উপদ্বীপে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র ও সাধারন অস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানা ও হস্তক্ষেপ করার মনোভাব নেই। অন্যান্য পক্ষ উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, হেভী অয়েল ও বিদ্যুত্ সাহায্য সরবরাহ দিতে এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রাজী করেছে।
বিবৃতি অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করার অধীকার আছে, অন্যান্য পক্ষ উপযুক্ত সময়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে লাইট ওয়াটার রি-অ্যাক্টর সরবরাহের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাজী হয়েছে।
|