** ১৯৩১ সালে "১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনা" ঘটে
১৯৩১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চীনে মোতায়েন হানাদার জাপানী বাহিনী --- কুয়ানতুং বাহিনী নিজেই শেনইয়াং শহরের উত্তর উপকন্ঠের লিউটিয়াও হ্রদের পাশে নানমান রেলপথের কিছু অংশ বোমা মেরে ধ্বংস করে, কিন্তু তারা চীনা বাহিনীর উপর এর দোষ চাপিয়ে দেয়, এবং এর অজুহাতে আকস্মিকভাবে চীনের উত্তর-পূর্ব বাহিনীর পেইদা ঘাঁটি এবং শেনইয়াং নগর আক্রমণ করে। এর পর কয়েক দিনের মধ্যে চীনের বিশাধিক শহর ও আশেপাশে ব্যাপক অঞ্চল দখল করে । এটা হলো তত্কালীন পৃথিবী কাঁপানো "১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনা"।
"১৮ সেপ্টেম্বরঘটনা" হলো জাপানী সাম্রাজ্যবাদীদের চীনকে দখল করা, এশিয়া তথা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য নেয়া এক গুরুত্বপূর্ণ আগ্রাসী পদক্ষেপ। "১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনা" চীনা জনগণের মাঝে জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধের ঢেউ জাগিয়ে তোলে। বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যথাক্রমে জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ দাবি জানান এবং কুওমিনটাং পার্টি সরকারের নিস্পৃহতার বিরোধীতা করেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে এবং প্রভাবে উত্তর-পূর্ব চীনের জনগণ প্রতিরোধঅভিযান শুরু করেন এবং জাপানী আগ্রাসন বিরোধী গেরিলা লড়াই শুরু করেন। ১৯৩৭ সালের "৭ জুলাই ঘটনার" পর জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধের যৌথ-বাহিনী ব্যাপক জনসাধারণের সঙ্গে সংহত হয়ে ব্যাপক ও স্থায়ী জাপানী আগ্রাসন বিরোধী সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন, বলিষ্ঠভাবে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সারা দেশের প্রতিরোধ যুদ্ধে সহযোগিতা করেন এবং অবশেষে জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন।
** ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম এশীয় রাজনৈতিক দলের সম্মেলন উদ্বোধন
২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম এশীয় রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তর্জাতিক সম্মেলন ম্যানিলায় শুরু হয়। এশিয়ার চল্লিশাধিক পার্টির প্রায় ১৭০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে এশীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী মা ওয়ে পু সম্মেলনে ভাষণদানে বলেছেন, প্র্রথম এশীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মেলন আয়োজন হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলোর একটি মহা-সম্মিলনী, এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক পার্টির সহযোগিতা জোরদার করার এক শুভ সূচনা। তিনি বলেন, এবারকার সম্মেলন এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং এশিয়ার সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাত্পর্যসম্পন্ন।
এবারকার সম্মেলনে এশিয়ার বিশটি দেশ আর অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। কাম্পুচিয়ার জাতীয় সংসদের স্পীকার প্রিন্স নোরোদোম্ রনরিধ, দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম্ ইয়োং সাম, ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোস, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টো প্রমুখ এশিয়ার প্রবীন নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তা ছাড়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার কিছু রাজনৈতিক পার্টির প্রতিনিধিরাও বিশেষ অতিথি হিসেবে ১৮ তারিখের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
** ১৯০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা গ্রেটা গার্বোর জন্ম
হলিউডের চলচ্চিত্র তারকা গ্রেটা গার্বো ১৯০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্টকহোমেরএক আবাসিক শ্রমিক এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম গ্রেটা গুস্টাফসোন। হলিউডে তিনি সারা বিশ্বের দৃষ্টি-আকর্ষী সাফল্য অর্জন করেন। ৩০ এর দশকে তিনি "আন্না কারেনিনা", "কামিল্লে" প্রভৃতি ক্লাসিক্যাল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, এবং "আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের রাণী" খেতাব অর্জন করেন। ১৯৪১ সালে ৩৬ বছর বয়স্ক গার্বো তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্র "দু'মুখো নারী"-তে অভিনয় করার পর আর ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৪ সালে গার্বো ওস্কার বিশেষ গৌরব পুরস্কার অর্জন করেন।
|