v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-14 14:36:38    
১৭ সেপ্টেম্বর

cri
** ১৯৮৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিউলে ২৪তম অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন

 ১৯৮৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ২৪তম ওলিম্পিক গেমস সিউলের স্টেডিয়ামে মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়। ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিল অলিম্পিক গেমসের পর প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের শক্তিশালী ক্রীড়া দেশগুলোর প্রথম সার্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিতহয় এবার । তুমুল প্রতিযোগিতার ফলে গেমসে মোট ৩০টি বিশ্ব রেকর্ড হয়।

 লেভিস অলিম্পিক গেমসে পর পর দু'বার ১০০ মিটার দৌঁড়ে শিরোপা অর্জনকারী প্রথম খেলোয়াড় হন। জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সাঁতারু খ্রিস্টিন ওটো ৫০ মিটার ও ১০০ মিটার ফ্রী-স্টাইল, ১০০ মিটার চিত্ সাঁতার , ১০০ মিটার বাটারফ্লাই এবং দুটি রিলে ইভেন্টে মোট ছয়টি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। সিউল অলিম্পিক গেমসে তিনি সবচেয়ে বেশি স্বর্ণপদক অর্জন করে এবারকার অলিম্পিক গেমসের শ্রেষ্ঠ খেলায়োড় নির্বাচিত হন।

 ডাইভিং প্রতিযোগিতায় চীনের ১৭ বছর বয়সী ডাইভার কাও মিন চীনের প্রথম অলিম্পিক স্প্রিং-বোর্ড্ ডাইভিংয়ের স্বর্ণপদক অর্জন করেন। চীনের ক্রীড়াবিদরা এবার মোট ৫টি স্বর্ণপদক, ১১টি রৌপ্য পদক, ১২টি ব্রোঞ্জপদক পেয়ে একাদশ লাভ করেন।

** ১৯৭৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের উপস্থিতিতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইস্রাইলী প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন ১৯৭৮ সালের ৬ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের নিকটবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর মিসর আর ইস্রাইল "মধ্য প্রাচ্যের শান্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কর্মসূচি" এবং "মিসর ও ইস্রাইলের মধ্যকার শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর সংক্রান্ত কর্মসূচি" অর্থাত্ ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ইস্রাইল জোর করে ফিলিস্তিনকে দখলে রাখার ব্যাপারে জেদ করার কারণে "মধ্য প্রাচ্যের শান্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কর্মসূচি" কার্যকর হয় নি।

** ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সার্বিক মারাত্মক স্থল মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর

 ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে আন্তর্জাতিক সার্বিক মারাত্মক স্থল মাইন নিষিদ্ধকরণ সম্মেলনে উপস্থিত ৮৯টি দেশের প্রতিনিধিরা উত্তপ্তআলোচনার পর ১৭ তারিখে সার্বিক মারাত্মক স্থল মাইন নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির খসড়া গৃহীত হয়।

 সার্বিক মারাত্মক স্থল মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তির খসড়ায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে, মারাত্মক স্থল মাইনের উত্পাদন, রপ্তানী এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, চার বছরের মধ্যে বিদ্যমান যাবতীয় মারাত্মক স্থল মাইন ধ্বংস করা , দশ বছরের মধ্যে বর্তমানে সব স্থল মাইন বসানো অঞ্চল পরিষ্কার করা । এই কাজগুলো সবই জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে করা হবে।

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ১৭ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ঘোষণা করেন, ওসলো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উত্থাপিত মারাত্মক স্থল মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি যুক্তরাষ্টের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, তাই যুক্তরাষ্ট্রএই চুক্তি স্বাক্ষর করবে না।

** ১৯০০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বৃটেনের সংসদে "অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল আইনের " অনুমোদন

 ১৭ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইউরোপীয় নাবিক অস্ট্রেলিয়াআবিষ্কার করেন। ১৭৭০ সালে বৃটেন একে নিউ-সাউথ-ওয়েলস্ নাম দেয়, এবং এই ভূখন্ড দখল করার কথা ঘোষণা করে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রশাসন জোরদার করার জন্য ১৯০০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বৃটেনের সংসদ "অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল আইন" অনুমোদন করে। ফেডারেল আইন অনুযায়ী, পরের বছরের ১ জানুয়ারী অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল গঠিত হয়ে বৃটেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। ১৯৩১ সালে বৃটেনের সংসদ "ওয়েস্টমিনস্টার বিল" গ্রহীত হয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্রের স্বাধীন অধিকার দেয়া হয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া বৃটিশ কমনওয়েলথের একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়েছে।