v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-13 11:31:10    
বানর রাজা সুন উখোং ৭

cri
    বানর রাজ সুন উখোং স্বর্গরাজ্যে তোলপাড় করছে । দেব সেনা এবং সেনাপতিরা তাকে বন্দি করতে ব্যর্থ হয়েছে । দেবরাজ আতঙ্কিত হয়ে ভগবান বুদ্ধের সাহার্য প্রার্থনা করলেন এবার ।

    শিষ্য আনন্দ ও কাশ্যপকে নিয়ে বুদ্ধদেব স্বর্গরাজ্যে এলেন । দেখলেন , তিন মাথা ওয়ালা উখোং । ছয়হাতে ডান্ডা নিয়ে লড়াই করছে । কেউ তার কাছে যেতে পারছেনা । উখোং রেগে প্রশ্ন করলো , তুমি কে ?

    শাক্যমুনি বৃদ্ধ পরিচয় দিয়ে উখোং-কে আত্মসমর্পণ করতে বললেন । উখোং তখন স্বর্গরাজ্য দাবি করলো । সে বললো , আমি বাহাত্তটি রুপ ধারণ করতে পারি , এক ডিগবাজি খেয়ে লক্ষ যোজন দুরে যেতে পারি । আমিই হবে স্বর্গরাজ্যের অধিকারি ।

    বৃদ্ধ তখন তাঁর করতলে উখোং-কে ডিগবাজি খেতে বললেন । উখোং এক ডিগবাজি খেয়ে মেঘের উপর উঠলো । দেখলো পাঁচটি লাল স্তম্ভ । সে ভাবলো আকাশের শেষ সীমা এটা । তখন সে একটা লোম ছিঁড়ে তা দিয়ে মাঝখানের স্তম্ভে লিখলো , দেবরাজ প্রতিম মহাজ্ঞানি এই স্থান পর্যন্ত এসেছিল ।

    ফিরে এসে উখোং স্বর্গরাজ্য দাবি করলে বৃদ্ধ তার হাত দেখালেন । উখোং দেখলো বৃদ্ধদেবতার মধ্যম আঙ্গুলে সেই লেখা । কালি তখনও শুকায়নি । বুদ্ধ বললেন , তুমি তো আমার হাত ছেড়ে যেতেই পারোনি ।

    উখোং কিছুতেই একথা মানলোনা । সে আবার এক ডিগবজি খেয়ে যেতে চাইলো । অমনি বুদ্ধের পাঁচটি আঙ্গুল পাঁচটি ধাতুর পাহাড়ে পরিণত হল । বানর চাপা পড়লো তলায় ।

    খুশিতে দেবরাজ বুদ্ধের জন্য এক ভোজসভার আয়োজন করলেন । কে একজন ভোজসভার মধ্যে এসে জানালো যে বানর পাহাড়ের তলা থেকে মাথা তুলেছে । বুদ্ধ মন্ত্রপড়া একটা কাগজ পাহাড়ে এঁটে দিয়ে পাহাড়কে আরো শক্ত করলেন । ফলে মাথা ও হাত ছাড়া বানরের সম্পূর্ণ দেহ পাহাড়ের নিচে চাপা থাকলো । চাপটা খুবই শক্ত ।

    বুদ্ধ ফিরে যাওয়ার সময় পঞ্চধাতু পর্বতকে বললেন , উখোংকে খিদে পেলে লৌহপিন্ড আর তৃষ্ণা পেলে গলিত তামা খেতে দেবে । পাঁচশো বছর পর আচার্য যখন ভারতবর্ষে তির্থ যাত্রার পথে এখানে পৌঁছুবেন , তখন সে মুক্তি পাবে । তার আগে নয় । দুরন্ত বানরের শাস্তি ভোগের প্রয়োজন আছে ।

    পাঁচশো বছর পর থাং সাম্রাজের রাজধানি ছাং আন শহরে ছেন পরিবারে জন্ম হলো সুয়ান চুয়ানের । কিশোর বয়সেই থাং সম্রাট থাই চুং তাকে বৌদ্ধভিক্ষুদের আচার্যরুপে নিযুক্ত করেন ।

    এক সময় রাজার আদেশে গৃধ্রকুট পর্বতের বৌদ্ধমন্দিরে যে শাস্ত্রগ্রন্থ আছে তা সংগ্রহের জন্য সুয়ান চুয়ান রওনা দিলেন । হয় জয় নয় লয় , এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আচার্য পথে বেরোলেন । থাং সম্রাট তাঁকে অনেক মূল্যবান দ্রব্য , বস্ত্র এবং একটি শ্বেত অশ্ব উপহার দিলেন ।

    দুজন সহচর নিয়ে আচার্য পথ চলা শুরু করলেন । পথে পড়লো এক উঁচু পর্বত । পর্বতের মাঝামাঝি পর্যন্ত উঠেছেন এমন সময় তাঁরা ঘোড়াসহ খাদের মধ্যে পড়ে গেলেন । অমনি রব উঠলো , ধরো ধরো ধরো । সঙ্গে সঙ্গে একদল দানব এসে ঘিরে ফেললো তাঁদের । তাঁরা সুয়ান ও তাঁর সহচরদের কেটে মাংস খেতে চাইলো । ভয়ে আচার্য অজ্ঞান হয় পড়লেন ।