**১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর "সার্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি " এর জন্ম
১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৫০তম অধিবেশনে প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৮টি ভোট, ৩টি ভোট বিপক্ষেএবং ৫টি দেশ ভোটদানের বিরত থাকে। সার্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি" গৃহীত হয়। ২৪ সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ এই চুক্তিতে বিভিন্ন দেশের স্বাক্ষরের জন্য তা প্রকাশ করে। চীন সহ কিছু দেশ সেই দিন চুক্তিটি স্বাক্ষর করে। ১৯৫৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহরুর উত্থাপিত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক সমাজের বহু বছরের প্রয়াস এবং দুই বছরেরও বেশি সময়ের কঠোর আলোচনার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক আইনগত দলিলের পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হয়েছে।
"সার্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি" হচ্ছে ইতিহাসে প্রথমবার আইন সঙ্গতভাবে বিশ্বব্যাপী সার্বিকভাবে সমস্ত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা। পারমাণবিক পরীক্ষার স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় এ চুক্তির মাধ্যমে। "সার্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি" যাবতীয় পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করেছে বলে এটি পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন এবং গুণগত মানের অগ্রগতি সীমাবদ্ধ করেছে, পারমাণবিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধ করেছে, এবং এ থেকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রথম ধাপ শুরু হয়ে, এটা সার্বিক পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।
** ১৯৮৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চীনের প্রথম শিক্ষক দিবস
১৯৮৫ সালের ২১ জানুয়ারী ষষ্ঠ জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির নবম অধিবেশনে রাষ্ট্রীয় পরিষদের শিক্ষক দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, এবং প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসাবে নির্ধারিত হয়।
প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর চীনের নানা অঞ্চলে শিক্ষক দিবস উদযাপনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, মহাসমারোহে প্রশংসা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকগণ এবং শিক্ষককে সম্মান করা ও শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জনকারী বিভাগকে প্রশংসা করা হয়। পার্টি আর দেশের শীর্ষ নেতারা কিছু মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সম্মাননা জানান। বিভিন্ন শ্রেণীর সরকার, বিভিন্ন মহল আর ব্যাপক ছাত্রছাত্রী আন্তরিকতা সহ শিক্ষকদের জন্য সমস্যা সমাধান করে, তাঁদের শিক্ষা ব্রতের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে, যাতে শিক্ষককে সম্মান করা ও শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং আরো সম্প্রসারিত হয়।
** ১৯৬০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলো সংস্থা ওপেক
১৯৬০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাগদাদে অনুষ্ঠিত পেট্রোলিয়াম অধিবেশনে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধিবেশনটি ১৪ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয়। এর সদস্য দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে আলজেরিয়া, ইকুয়েডর, গ্যাবন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার, সৌদি আরব , সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভেনিজুয়েলা, মোট ১৩টি দেশ। এর সদর দপ্তর ভিয়েনায়। এই সংস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর পেট্রোলিয়াম নীতি সমন্বয় করা, দলগত তত্পরতা চালানো, বিদেশি একায়ত্ত পুঁজির সঙ্গে আলোচনা করা, যাতে নিজের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেট্রোলিয়ামের ওপর পাশ্চাত্যের পুঁজির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রাম করেছে, তার সদস্য দেশগুলো একাধিক বার অশোধিত তেলের দাম বাড়িয়েছে, এবং অপেক্ষাকৃত বেশির ভাগ শেয়ার অর্জন করেছে। ওপেকের ১৩টি সদস্য দেশের পেট্রোলিয়ামের মজুতের পরিমাণ পৃথিবীর মোট পরিমাণের শতকরা ৬৮ ভাগ। তাদের পেট্রোলিয়ামের রপ্তানির পরিমাণ বিশ্বের শতকরা ৭০ ভাগ।
|