১৯৮৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চীন প্রথমবার ইউনেস্কোর নিরক্ষরতা-মোচন পুরস্কার অর্জন করে
১৯৮৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চীনের সিছুয়েন প্রদেশের পাচোং জেলা নিরক্ষরতা মোচনে লক্ষণীয় সাফল্যের জন্য ইউনেস্কোর ১৯৮৪ সালের ' নিরক্ষরতা মোচন' পুরস্কার অর্জন করে । এতে চীন প্রথমবারের মতো এ পুরস্কারে ভূষিত হয়।
প্যারিসস্থ ইউনেস্কোর সদর দফতরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরক্ষরতা মোচন দিবস উদযাপন- অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক এই পুরস্কার চীনের পাচোং জেলার উপপ্রশাসক ও জেলাটির প্রতিনিধি হোং মিংশৌকে প্রদান করেন।
পাচোং জেলা চীনের দক্ষিণপশ্চিম অংশের সিছুয়েন প্রদেশের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত। জেলাটির লোকসংখ্যা দশ লাখের বেশি । ১৯৪৯ সালে এই জেলায় ৯০ শতাংশ লোক ছিল নিরক্ষর । ৩৫ বছর প্রচেষ্টা চালানোর পর ১৯৮৪ সালে ৯০ শতাংশেরও বেশী লোক নিরক্ষরতা-মুক্ত হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ১৫তম আন্তর্জাতিক কুষ্ঠরোগ সম্মেলন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত
১৯৯৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ১৫তম আন্তর্জাতিক কুষ্ঠরোগ সম্মেলন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় । চীনের প্রেসিডেণ্ট চিয়াং জেমিন এই সম্মেলন উপলক্ষে নিজের হাতে এক বিশেষ বাণী লিখেন: " কুষ্ঠরোগ নির্মূল করুন, মানবজাতির কল্যাণ করুন" ।
জানা গেছে , নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর ৪০ বছরে নানা রকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেয়ার ফলে কার্যকরভাবে কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে । সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
১৮২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের স্বাধীনতা
১৫০০ খৃষ্টাব্দে পর্তুগালের নৌবহর এক দু:সাহসিক অভিযান চালিয়ে ব্রাজিলে পৌঁছে। পরে ব্রাজিলের উপকূলীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে এক রকম মূল্যবান গাছ আবিষ্কার করা হয় এবং গাছটির নাম দিলো "ব্রাজিল", অর্থাত্ লাল কাঠ, কারণ এই গাছ থেকে খুব দামী ধরনের লাল রং বের করা যায়। ১৫৩২ সালে পর্তুগীজরা ব্রাজিলে প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে । ১৮২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ব্রাজিল পর্তুগাল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ব্রাজিল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯১ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় । ১৯৬৯ থেকে ব্রাজিলের নতুন নাম নির্ধারিত হয়: ব্রাজিল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র।
ব্রাজিল হলো দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ । তার পূর্বে আটলাণ্টিক মহাসাগর । ব্রাজিল এতো বড় যে, এটি প্রায় সমস্ত দক্ষিণ আমেরিকান দেশের সঙ্গে সংলগ্ন। এর ব্যতিক্রম শুধু চিলি এবং ইকোয়েডর । ব্রাজিলের আয়তন ৮৫.১ লাখ বর্গকিলোমিটার, এটা গোটা দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় অর্ধেক।
ব্রাজিল হলো ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহত্ অর্থনৈতিক দেশ। ব্রাজিল " কফির রাজ্য" নামেও সুপরিচিত । কফির উত্পাদন আর রপ্তানী উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী ব্রাজিল । বর্তমানে ব্রাজিলের বেশ পূর্ণাঙ্গ শিল্পব্যবস্থা স্থাপিত হয়েছে । মটরগাড়ি শিল্প এবং বিমান নির্মাণশিল্পের দিক থেকে ব্রাজিল বিশ্বে প্রথম দশটি স্থান অধিকারী দেশের সারিতে প্রবেশ করেছে। রোল্ড ইস্পাত উত্পাদন ল্যাটিন আমেরিকায় প্রথম স্থান এবং লোহার আকরিক উত্পাদন ও রপ্তানীতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে দেশটি ।
ব্রাজিলের আর একটি সুনাম : " ফুটবলের রাজ্য"। ব্রাজিলবাসীরা আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই ফোটবলামোদী।
|