v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-05 13:46:26    
৩০ আগস্ট---০৫ সেপ্টেম্বর, ০৫

cri
চীন ও শ্রীলংকার যুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

চীন ও শ্রীলংকা ২ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে যুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ।

যুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে , দুপক্ষ তীব্রভাবে সন্ত্রাসী তত্পরতার নিন্দা করে এবং সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রবাদ সহ তিনটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে অক্লান্তভাবে সংগ্রাম চালাতে দৃঢসংকল্প। চীন ও শ্রীলংকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে পরামর্শ ও সহযোগিতা জোরদার করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , শ্রীলংকা দৃঢতার সঙ্গে এক চীন নীতি সমর্থন করে যাবে , স্বাধীন তাইওয়ান প্রতিষ্ঠার সবরকম প্রয়াসের বিরোধিতা করবে , দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষার জন্যে চীন সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং স্বাধীনতাইওয়ান প্রয়াসীদের রাষ্ট্র বিভক্তির জন্যে চীন সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা সমর্থন করবে । চীন যথাশ্রীঘ্রই মাতৃভূমির একত্রীকরণ বাস্তবায়ন করবে বলে শ্রীলংকা আশা করে ।

উল্লেখ্য, চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের আমন্ত্রণে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুংগা ৩০ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন ।

জাতি সংঘের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের দশম বার্ষিকী উদযাপন সমাপ্ত

তিন দিনব্যাপী জাতি সংঘের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলন ৩১ আগস্ট পেইচিংয়ে সমাপ্ত হয়েছে। সম্মেলনে পেইচিং-যোগ-দশ ঘোষণা গৃহীত হয়েছে।

ঘোষণায় সমতা, উন্নয়ন ও শান্তি বাস্তবায়নে নারীদের ভূমিকা ও বিরাট অবদানের উচ্চ মূল্যায়ন করা হয়েছে। ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে, চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে গৃহীত পেইচিং ঘোষণা ও এ্যাকশন পরিকল্পনা হচ্ছে নারীদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাস্তবায়নের জন্যে উপদেশক দলিল। ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, আরো কার্যকরভাবে এ্যাকশন পরিকল্পনা সম্পাদন দ্রুততর করতে হবে।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরণের বৈষম্য আরো দূর করতে হবে। পুরোপুরি ও সমানভাবে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে নারীদের অধিষ্ঠান সুনিশ্চিত করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক কাঠামোয় যার যার দেশের বাস্তব অবস্থা অনুসারে নারী ব্রত উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশকে সম্মান করতে হবে।

তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনন্দন বাণী

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় গণ কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় পরিষদ, গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন ১ সেপ্টেম্বর তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের জন্য অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছে।

এই বাণীতে বলা হয়েছে যে, ১৯৬৫ সালে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তিব্বতের ইতিহাস নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। গত ৪০ বছর কেন্দ্রীয় সরকার ও অন্যান্য অঞ্চলের সমর্থনে তিব্বতে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। আজ তিব্বতে রাজনীতি খুব স্থিতিশীল, অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে, সমাজও স্থিতিশীল হয়েছে এবং জাতির ঐক্য বাস্তবায়িত হয়েছে।

এই বাণীতে আরও বলা হয়েছে যে, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর ৪০ বছরে যে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিব্বত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব এবং সংখ্যালঘু জাতির স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থায় অবিচল থাকলেই কেবল এই অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাস্তবায়িত হতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ সৈন্যদের 'পেইচিং শান্তি ঘোষণাপত্র' স্বাক্ষর

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী তিন শতাধিক সৈন্য এবং চীনা গণ মুক্তি ফৌজের জেনারেলরা ২ সেপ্টেম্বর পেইচিংএ ' পেইচিং শান্তি ঘোষণাপত্র' স্বাক্ষর করেছেন। তা ছাড়া তাঁরা পেইচিং শান্তি প্রাচীর উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর এটা হল সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী তারপর্যসম্পন্ন বেসরকারী কূটনীতি আর আন্তর্জাতিক স্মারক তত্পরতা।

' পেইচিং শান্তি ঘোষণাপত্রে" সংক্ষিপ্ত ভাষায় অতীত যুদ্ধের সারসংকলন এবং ভবিষ্যতের কাছে ' জীবনকে ভালোবাসা আর শান্তি সমুন্নত রাখার ' প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণাপত্র ৫টি ভাষায় পেইচিং শান্তি প্রাচীরে খোদাই করা হয়েছে।

উল্লেখ্য চীনা জনগণের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধ আর বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধের বিজয়ের ৬০তম বার্ষিকীউপলক্ষে আয়োজিত ধারাবাহিক স্মারক তত্পরতায় অংশ নেওয়ার জন্যে চীন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া আর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা দু' শোরও বেশী প্রবীণ সৈন্যকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

চীন-ই ইউ বস্ত্রপণ্য সম্পর্কিত পুনঃবৈঠক

৪ সেপ্টেম্বর সকালে পেইচিংয়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী বো শি লাই আর ই ইউর বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য পিটার ম্যান্ডেলসন বৈঠক করেছেন । এবারকার বৈঠকেও চীনের বস্ত্র পণ্য সংকট নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে ।

বর্তমানে চীনের বিপুল পরিমাণ বস্ত্র পণ্য কোটা না থাকায় ই ইউ'র সদস্য দেশগুলোতে প্রবেশাধিকার পায় নি । এই সব বস্ত্রপণ্য ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে আটকে রয়েছে । ইউরোপীয় দেশগুলোর বস্ত্র পণ্য আমদানিকারক আর খুচরা ব্যবসায়ীরা আশা করেন যে , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিভিন্ন বন্দরে জমে থাকা বস্ত্র পণ্য সমস্যা সমাধান করা হবে এবং চীনের বস্ত্র পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাবে ।

চতুর্থ দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশন আয়োজনের সময়সূচী নিয়ে চীন পক্ষের উদ্য

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন গাং ১ সেপ্টেম্বর পেইচিংএ বলেছেন, চীন পক্ষ সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে কোরীয় পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত চতুর্থ দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশন আয়োজনের সময়সূচী নিয়ে পরামর্শ করছে।

তিনি বলেছেন, চতুর্থ দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের বিরতির পর থেকে মতৈক্য বাড়ানো, মতভেদ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে নিবিড় সংলাপ আর পরামর্শ বজায় রাখা হয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, চীন পক্ষ দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশনের সময়সূচী ছ'পক্ষীয় বৈঠকে অংশ গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুত্ খাতের উন্নয়নে চীন অবদান রেখেছে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে চীনের অবদানের প্রশংসা করেছেন। ৩ সেপ্টেম্বর তিনি চীনা কোম্পানির নির্মিত টঙ্গী বিদ্যুত্ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এ প্রশংসা করেন।

খালেদা জিয়া বলেছেন, চীনা কোম্পানির নির্মিত ৮০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন বিদ্যুত্ কেন্দ্র উত্পাদনের পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, এবং স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন বিদ্যুত্ সংকট লাঘব হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ছাই শি বলেছেন, চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানো কেবল দুটি দেশ এবং দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ তা নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

পাক-ভারত সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ

পাকিস্তান আর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'পররাষ্ট্রসচিব ইসলামাবাদে দু'দেশের সার্বিক সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় দফার সার্বিক সংলাপ ২০০৬ সালের জানুয়ারীতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতিতে আরো ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তান-ভারত তৃতীয় দফা সার্বিক সংলাপ প্রক্রিয়ায় জম্মু আর কাশ্মীর, সিয়াচিন ও সন্ত্রাসবাদের উপর আঘাত হানা ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, দু'পক্ষ আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করা , পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সফর বিনিময় প্রভৃতি বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে।

কারজাই: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন আফগানিস্তানের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের অনুকূল

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ২৮ আগস্ট কাবুলে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়ন আফগানিস্তানের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের খুবই অনুকূল।

কারজাই বলেছেন, আফগানিস্তান ভারত ও পাকিস্তান- এর দ্বি-পাক্ষিক সার্বিক সংলাপ প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান পাকিস্তানের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চালু করেছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নের পর ভারতও পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চালু করতে পারবে। তা যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সরাসরি প্রভাব সৃষ্টি করবে।

জাপান নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ায় আসিয়ানের সদস্য দেশের মতভেদ

আসিয়ানের মহাসচিব ওয়াং চিং রোং ২৯ আগস্ট সিংগাপুরে বলেছেন, জাপানের নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার বিষয়ে আসিয়ানের ১০টি সদস্য দেশ পুরোপুরি সম্মত হয় নি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গবেষণা পরিষদ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণে ওয়াং চিং রোং এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, গত জুলাই আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনার সময় আসিয়ানের সকল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টি সমর্থন করেন নি।

তিনি আরও বলেছেন, জাপান মনে করে যে, আসিয়ানের সব দেশ তার নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। কিন্তু তিনি আসিয়ানের কয়েকটি সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্টই জেনেছেন যে, তাঁরা কখনও জাপানকে এই কথা বলেন নি।

ইরান অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে

ইরানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিটির সচিব ও পারমানবিক আলোচনার প্রধান প্রতিনিধি আলি লারিজানি ২ সেপ্টেম্বর তেহরানে বলেছেন , ইরানের পারমানবিক সমস্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তিসংস্থার সর্বসাম্প্রতিক রিপোর্টে ইরানের সমালোচনামূলককিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তহলেও ইরান অব্যাহতভাবে সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে ।

লারিজানি বলেছেন , আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা তার নতুন রিপোর্টে ইরানের বিরুদ্ধেযে আইনগত ভিত্তিহীন সমালোচনা করেছে তা যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টি করার পরিণাম ছাড়া আর কিছু নয় । তাহলেও ইরান অব্যাহতভাবে সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায় --যাতে এই সব সমস্যার সমাধান করা যায় । তিনি আবার ঘোষণা করেছেন যে , পারমানবিক অস্ত্র অবিস্তার চুক্তিতে যে বৈধ অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে ইরান কখনো তা পরিত্যাগ করবে না ।

আন্তর্জাতিক সমাজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে

মার্কিন সরকার ১ সেপ্টেম্বর "ক্যাটরিনা" ঘূর্ণিঝড় দুর্গত অঞ্চলকে দেয়া বিদেশ সাহায্য গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর আন্তর্জাতিক সমাজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাও শিং ১ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনডোলিত্জা রাইসকে পাঠানো তারবার্তায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, এবং হতাহতদের আত্মীয়স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই দিন চীনের রেডক্রস সোসাইটি মার্কিন পক্ষের কাছে ১ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য হস্তান্তর করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, চীন সরকার মার্কিন ঘূর্ণিঝড় দুর্গত অঞ্চলের জনগণকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং কিছু ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেছেন, চীন ত্রাণ ব্যবস্থা সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে।

যুক্তরাজ্য, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, জাপান, ফিলিপাইন, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া আলাদা আলাদাভাবে মার্কিন ঘূর্ণিঝড় কবলিত অঞ্চলকে সাহায্য দেয়ার কথাও জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান বলেছেন, জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণকাজকে যথাসাধ্য সহায়তা করবে।

জাতিসংঘের বানিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে " ২০০৫ সালের বানিজ্য ও উন্নয়ন রিপোর্ট" প্রকাশিত

২ সেপ্টেম্বর জেনিভায় জাতিসংঘের বানিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে প্রকাশিত "২০০৫ সালের বানিজ্য ও উন্নয়ন রিপোর্টে" উল্লেখ করা হয়েছে যে , বিশ্বের অর্থনীতি অব্যাহতভাবে বাড়ছে বটে ,তবে তার সাংঘাতিক ঝুঁকিও রয়েছে ।

রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে , ২০০৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিহারছিল গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ।কিন্তু ২০০৫ সালে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি- গতি মন্থর হয়েছে । এর প্রধান কারণ হল শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিমন্থর হয়ে পড়েছে ।

রিপোর্টটিতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে , অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা নিরসন করার জন্যে একই সঙ্গে শিল্পোন্নত দেশ আর উন্নয়নমুখী দেশগুলোর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিমন্থরহওয়া এড়াতে হবে । রিপোর্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে , যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট বানিজ্যিক ঘাটতি আসলে ইউরো অঞ্চল আর জাপানের আপেক্ষিকবানিজ্যিক বাড়তি । যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি কমানোর জন্যে চীন সহ এশিয়ার উন্নয়নমুখী দেশগুলোরমুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি করার উপর নির্ভর করা উচিত নয় ।