v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-02 20:20:05    
৪ সেপ্টেম্বর

cri
    ** ১৯৯৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন পেইচিংয়ে শুরু

    ১৯৯৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন পেইচিং আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহাসমারোহে শুরু হয়। সম্মেলনের প্রসঙ্গ ছিলো "বাস্তব পদক্ষেপ সমতা , উন্নয়ন ও শান্তি অন্বেষণ করা"। সেবারকার সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিলো "নাইরোবি কর্মসূচীর" কার্যকরীকরণের অবস্থাসার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান, পর্যালোচনা এবং মূল্যায়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক সমাজ আর বিভিন্ন দেশের সরকার নতুন করে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, এবং বাস্তব পদক্ষেপ সমতা, উন্নয়ন আর শান্তি অন্বেষণ করতে পারে।

    চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন হলো জাতিসংঘের ইতিহাসে এক অদ্বিতীয় বড় আকারের মহাসম্মিলনী। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিলো ১৭৬০০। তা ছাড়া আরো ৩০ হাজারাধিক লোক বিশ্ব নারী সম্মেলনের অঙ্গ-অধিবেশন --- বেসরকারী নারী সংস্থা ফোরামে অংশ নিয়েছেন। সেবারকার সম্মেলন বিভিন্ন দেশের নারীর মর্যাদা উন্নতকরা, বিভিন্ন দেশের জনগণ, বিশেষ করে নারীদের সমঝোতা ও মৈত্রী বাড়ানো, মানবজাতির প্রগতিশীল ব্রত ত্বরান্বিত করার জন্যে সুদূরপ্রসারী তাত্পর্যসম্পন্ন।

    ১২ দিন ব্যাপী চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন "পেইচিং ঘোষণা" এবং "কার্যক্রম" প্রকাশের মাধ্যমে ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।

    ** ১৯৬৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর "ইউরোপের পিতা" ফরাসী প্রধানমন্ত্রী শুমানের মৃত্যু

    রোবার্ট শুমান (১৮৮৬--১৯৬৩) ছিলেন ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি লোক্সোনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। পর পর বন, মিউনিখ, বার্লিন এবং স্ট্রাটসবুর্গ প্রভৃতি অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেন এবং ডক্টর ডিগ্রি পেয়েছেন। স্নাতক হবার পর তিনি উকিল হন। ১৯১৯ -- ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সের জাতীয় সংসদের সদস্য হন। ১৯৪৬ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে ইউরোপীয় আন্দোলনের চেয়ারম্যান হন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি ইউরোপীয় অভিন্ন বাজার সমন্বয় সংস্থা-- ইউরোপীয় সংসদের চেয়ারম্যান হন। পশ্চিম ইউরোপের সংযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবদান রাখেন বলে তাঁকে "ইউরোপের পিতা" বলা হয়।

    ** ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এশীয় রণনীতি

    ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক নতুন এশীয় রণনীতি অনুমোদন করেছে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ই ইউ আর এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক জোরদার করা এবং এশিয় অঞ্চলে ই ইউর অস্তিত্ব জোরদার করা। ১৯৯৪ সালে ই ইউ'র এশীয় নীতির পরিবর্তনের পর সেবার হচ্ছে ই ইউর এশীয় নীতির দ্বিতীয় পূণর্বিন্যাস।

  "ইউরোপ ও এশিয়া: অংশীদারিত্বের রণনৈতিক কাঠামো জোরদার করা" নামক দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ই ইউর এই নতুন এশিয়া নীতি বিশ্বের রণনীতির নতুন পরিবর্তনের ভিত্তিতে পরবর্তী দশ বছরে দু'পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়ন বিবেচনা করে প্রণীত হয়েছে। দলিল মনে করে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ই ইউর ভূমিকা অব্যাহতভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, সুতরাং ইউরোপ আর এশিয়ার সম্পর্কও ই ইউ'র পরিবর্তনশীল মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এর জন্য ই ইউ ছ'টি ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা চালাবে, তা হলো রাজনীতি ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ই ইউ আর এশিয়ার আলোচনা জোরদার হবে, দু'পক্ষের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পুঁজিবিনিয়োগ সম্প্রসারিত হবে, ফলপ্রসূভাবে এশিয়ার দারিদ্র্য বিমোচন করা হবে, এশিয়ার গণতন্ত্রায়ন, সু-প্রশাসন এবং দেশের গঠনকাজে আইনীকাণ ত্বরান্বিত করা হবে, এশিয়ার প্রধান অংশীদার দেশের সঙ্গে বিশ্বায়নের সম্পর্ক স্থাপন করা হবে, ই ইউ আর এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সমঝোতা ত্বরান্বিত করা হবে।