v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-09-01 16:37:25    
৩ সেপ্টেম্বর

cri
** ১৯৪৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চিউ সান সোসাইটির প্রতিষ্ঠা

চিউ সান সোসাইটির পুরাতন নাম ছিল গণতন্ত্র ও সোসাইটি। ১৯৪৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চীনের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধের বিজয় উদযাপনের জন্য এর নাম চিউ সান সোসাইটি দেয়া হয়েছে। প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন শুন দে হাং, ফান শু, শুই শি হেং প্রমুখ। এর সদস্য প্রধানত সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহলের বুদ্ধিজীবী-সম্প্রদায়। ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সংস্থা চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনে যোগদান করে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর , চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চিউ সান সোসাইটি সক্রিয়ভাবে সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজে অংশ নিয়েছে।

** ১৯৯২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মূলভূখন্ডের সংবাদদাতাদের প্রথম প্রতিনিধি-দলের তাইওয়ান সফর

তাইওয়ানের "প্রণালী বিনিময় তহবিলের " আমন্ত্রণে মূলভূখন্ডের সংবাদদাতাদের তাইওয়ান সাক্ষাত্কার দলের ১৮ জন প্রতিনিধি ১৯৯২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সকালে বিমান যোগে পেইচিং ত্যাগ করে তাইওয়ানে গেছেন। প্রণালীর দু'পার বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৪৩ বছরের পর চীনের মূলভূখন্ডের সংবাদদাতারা এই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক প্রতিনিধি দল হিসেবে তাইওয়ানে সাক্ষাত্কার নিতে যান।

মূলভূখন্ডের সংবাদদাতাদের সাক্ষাত্কার দল পীপলস ডেইলি, সিনহুয়া বার্তা সংস্থা, জাতীয় প্রেস সমিতি, কেন্দ্রীয় গণ বেতার, কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র, চীন বার্তা সংস্থা প্রভৃতি ১৭টি সংবাদ সংস্থার ১৮ জন সংবাদদাতা নিয়ে গঠিত।

"প্রণালীর বিনিময় তহবিলের "পরিচালক কু চেন ফু সেদিন বিকালে মূলভূখন্ডের সংবাদদাতাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় বলেছেন, দু'পারের মধ্যে সংশয় নির্মূল করা, মতৈক্য স্থাপন করার জন্য সকল চীনাদের মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। "প্রণালীর বিনিময় তহবিল " দু'পারের বিনিময়ের সেতু হতে ইচ্ছুক। তিনি মনে করেন, দু'পারের তথ্য বিনিময় জোরদার করলে দু'পারের সম্পর্ক উন্নয়নের উপর সক্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

** ১৯৬৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভিয়েত্নামের পার্টি ও রাষ্ট্র নেতা হো চি মিনের মৃত্যু

হো চি মিন (১৮৯০--১৯৬৯), তাঁর পুরানো নাম নগুয়েন তাট থানহ, ১৮৯০ সালের ১৯ মে ভিয়েত্নামের মধ্যাঞ্চলের আন্নাম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকে তিনি ফরাসী ঔপনিবেশিককে বহিষ্কার করা, স্বদেশবাসীদেরকে মুক্তি করার সংকল্প গ্রহণ করেন।

১৯৪৫ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত হো চি মিন ভিয়েত্নামের পার্টি ও রাষ্ট্র নেতা হিসেবে ভিয়েত্নামের জনগণকে নিয়ে বিপ্লবী ক্ষমতা সুরক্ষার সংগ্রাম করেছেন, এবং ফ্রান্সের হামলা প্রতিরোধের যুদ্ধে মহান বিজয় লাভ করেছেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত, তিনি ভিয়েত্নামের উত্তরাঞ্চলের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং স্বদেশের পুনরেকীকরণ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ষাটের দশকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দীর্ঘকালের কঠোর বিপ্লবী জীবন গুরুতরভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেছে। ১৯৬৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গুরুতর হৃদরোগের কারণে হো চি মিন মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিলো ৭৯ বছর।

** ১৯৫৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খ্রুশ্চেভ সোভিয়েট ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদক হন

নিকিতা সের্গেয়েভিচ খ্রুশ্চেভ, ১৮৯৪ সালের ১৭ এপ্রিল কুর্স্ক প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৩৮ সালে ইউক্রেনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদক হন, পরের বছরে সোভিয়েট কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বলিট ব্যুরোর সদস্য হন। স্টালিনের মৃত্যুর পর খ্রুশ্চেভ ১৯৫৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদক হন। ১৯৫৮ সালে তিনি সোভিয়েট ইউনিয়নের মন্ত্রীসভার চেয়ারম্যান হন। ১৯৬৪ সালের ১৪ অক্টোবর সোভিয়েট ইউনিয়নের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে খ্রুশ্চেভকে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। পরের দিনে তাঁকে সোভিয়েট ইউনিয়নের মন্ত্রীসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি মস্কোয় মৃত্যুবরণ করেন।