v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-31 12:57:40    
সোং ফেই এবং তাঁর আরহু দিয়ে বাজানো সঙ্গীত

cri
    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন শুনছেন আজকের অনুষ্ঠান সুরের ভুবন। পরিবেশন করছি আমি লিলি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি চীনের বিখ্যাত আরহু শিল্পী সোং ফেইকে আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তাঁর আরহু দিয়ে পরিবেশিত সঙ্গীতগুলো খুব সূক্ষ্ম ও সুগভীর এবং সংগীতগুলোর বিমুগ্ধকর শৈল্পিক আকর্ষণশক্তি আছে।

    প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা এখন যে সঙ্গীত শুনছেন তার নাম হচ্ছে "পাইন গাছ"। চীনের সঙ্গীতজ্ঞ হুয়া ইয়েনচুন গত শতাব্দীর প্রথম দিকে এটি রচনা করেন। সঙ্গীতে পাইন গাছের অদম্য গুণ প্রকাশ পেয়েছে। আচ্ছা, এখন পুরো সঙ্গীত শুনবো আমরা।

    সোং ফেইয়ের বাবা হচ্ছেন থিয়েন চিন সঙ্গীত ইন্সটিটিউটের একজন আরহু অধ্যাপক। ছোটবেলা থেকেই সোং ফেই বাবার কাছে আরহু শিখেছেন। ৭ বছর বয়সে তিনি মঞ্চে উঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি চীনের সঙ্গীত ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন এবং প্রধানত আরহু শিখেন।

    মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সোং ফেই চীনের লোক সঙ্গীত মঞ্চে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বহুবার চীনের এবং আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপেয়েছেন এবং বহু বার নানা ধরণের সঙ্গীত ও শিল্পকলা উত্সবে যোগ দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে সোং ফেই চীনের সঙ্গীত ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর চীনের কেন্দ্রীয় জাতীয় বাদক দলে যোগ দেন এবং একজন একক বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হন। এর পর দেশী ও বিদেশী মঞ্চে আরো বেশি মাত্রায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি অনেক বাদক দলের সঙ্গে সহযোগিতা করে আর্হুতে চীনের বহু লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে তিনি অনেক আধুনিক গানও পরিবেশনের চেষ্টা করেন এবং তা সঙ্গীত অনুরাগীদের স্বীকৃতি পেয়েছে। অনেকে সোং ফেইয়ের কারণে আর্হু সম্পর্কেজানতে পেরেছেন এবং চীনের লোকসঙ্গীত পছন্দ করেছেন। প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা এখন যে গান শুনছেন তার নাম হচ্ছে " আর ছুয়ান ইং ইউ"। এটিও চীনের লোক সঙ্গীতজ্ঞ হুয়া ইয়েনচুন গত শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচনা করেন। সঙ্গীতের নমনীয় সুরে ভাগ্যের বিরুদ্ধে একজন বৃদ্ধের প্রতিরোধ এবং নতুন জীবনের প্রতি নিজের আকাংক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। আচ্ছা, চলুন, আমার সঙ্গে মনযোগ দিয়ে গানটি শুনুন।

    ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে সোং ফেই চীনের কেন্দ্রীয় জাতীয়সঙ্গীত বাদক দলের একজন সদস্য হিসেবে দু'বার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা গোল্ডেন হলে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন। প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা পরে যে গান শুনবেন তার নাম হচ্ছে "ফাঁকা পাহাড়ে পাখির কিচিরমিচির"। সোং ফেই আরহু বাজানোর বিভিন্ন কঠিন কৌশল দিয়ে শত শত পাখির কিচিরমিচির অনুকরণ করেছেন। সঙ্গীতে প্রাণবন্ত প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতিমূলকসম্পর্ক প্রকাশ করা হয়েছে। আচ্ছা, এখন সঙ্গীত শোনা যাক।

    ১৯৯৯ সালে ভিয়না গোল্ডেনহলে সোং ফেইয়ের সফল পরিবেশনার ফলে চীনের লোকসঙ্গীত মঞ্চে এবং অভিনয়ের বাজারে খুব সুপ্রতিষ্ঠিত হন। ঠিক সে সময় সোং ফেই নিজের মাতৃবিদ্যালয়-- চীনের সঙ্গীত ইন্সটিটিউটে ফিরে একজন আরহু শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কল্পনাতীত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । সোং ফেই নিজের আরহু বাজানোর উচ্চ নৈপুণ্য অর্জনের সময়ে অধ্যাপনা করতে চান। এর সঙ্গে সঙ্গে অধ্যাপনার প্রক্রিয়ায় তিনি আরহু, তথা চীনের লোসঙ্গীতের উন্নয়নের একটি সারসংকলন করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।

    সোং ফেইয়ের আরহু দিয়ে পরিবেশিত কর্মগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে : বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত বাজানোর সময় তিনি এইগুলোর অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু ও রীতিনীতি পুরোপুরিভাবে প্রকাশ করতে পারেন। সোং ফেই সম্বন্ধে চীনের সঙ্গীত মহলের মুল্যায়ন হচ্ছে এই যে, আরহু শুধু সোং ফেইয়ের হাতের একটি বাদ্যযন্ত্র তা নয়, তাঁর জীবনের একটি অংশও বটে। আজকের অনুষ্ঠানের শেষে আমরা একসাথে সোং ফেইয়ের বাজানো " আঙ্গুর পেকে গেছে" নামে একটি সঙ্গীত শুনবো। এই সঙ্গীতে আঙ্গুর পেকে যাওয়ার সময়ে চীনের উইগুর জাতির যুবক-যুবতীদের আনন্দদায়ক মনোভাব এবং প্রচুর ফলন উদযাপনের জন্যে তাদের গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাচ করার দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। আচ্ছা, এখন সংগীত শুনুন।

    প্রিয় বন্ধুরা, আজকের সুরের ভুবন অনুষ্ঠান এখানে শেষ হলো। আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে দয়া করে জানাবেন। আজকের অনুষ্ঠানটি শোনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।