v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-25 16:38:00    
২৭ আগস্ট

cri
**১৯৭৯ সালের ২৭ আগস্ট ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর অ্যাডমির্যাল অব দি ফ্লীট মাউন্ট ব্যাটেনের মৃত্যু

 লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন (১৯০০---১৯৭৯), ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা স্টাফপ্রধান এবং নৌ অ্যাডমির্যাল অব দি ফ্লীট। তিনি ইংল্যান্ডের ভিন্ডসোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন রাণী ভিক্টোরিয়ার নাতীর ছেলে । ১৩ বছর বয়সে নৌ বাহিনীর স্কুলে ভর্তি হন, তারপর দীর্ঘকাল ধরে নৌ বাহিনীতে ছিলেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৬ সালে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক হন। মিত্র বাহিনী মায়ানমারে জাপানী বাহিনীকে গুরুতরভাবে আঘাত হানার জন্য ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে তাঁকে "মায়ানমারের কাউন্ট মাউন্ট ব্যাটেন" এর খেতাব দেয়া হয়। ১৯৪৭ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিনি ভারতের বড়লাট হন। একই বছরের জুন মাসে ভারতকে ভারত এবং পাকিস্তান দুটি স্বশাসন অঞ্চলে ভাগ করার "মাউন্ট ব্যাটেন প্রস্তাব" প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের জুন পর্যন্ত ভারত স্বশাসন অঞ্চলের গভর্ণর-জেনারেল হন। ১৯৫৬ সালে ব্রিটেনের নৌ বাহিনীর অ্যাডমির্যাল অব দি ফ্লীট হন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৫ সালে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান এবং জেনারেল স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান হন। ১৯৭৯ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক ইঅটে বোমা হামলার শিকার হয়ে মারা যান।

** ১৯১০ সালের ২৭ আগস্ট এডিসোন ধ্বনি চলচ্চিত্র আবিষ্কার করেন

 ১৯১০ সালের ২৭ আগস্ট থোমাস আলভা এডিসোন ঘোষণা করেন, তাঁর সর্বশেষ আবিষ্কার হচ্ছে ধ্বনি চলচ্চিত্র। এডিসোনের অবদান হচ্ছে এই যে, তিনি একই সঙ্গে ধ্বনি আর দৃশ্য রেকর্ড করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, এর আগে কেউ তা করতে পারেন নি। এর আগে তিনি স্বয়ং তারবার্তার প্রেরক এবং গ্রাহকযন্ত্র(১৮৭৪) , গ্রামাফোন(১৮৭৭) , কারবোন কণিকাকার মাইক (১৮৭৭ সালের আগস্ট) আবিষ্কার করেন। ১৮৭৯ সালে তিনি সাফল্যের সঙ্গে প্রথম বিক্রিযোগ্য শ্বেত-আলোকদায়ক লন্ঠন আবিষ্কার করেন।

** ১৯০১ সালের ২৭ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনকারী মাদার তেরেসার জন্ম

 দারিদ্র বিমোচন কাজ করার জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ভারতের মাদার তেরেসাকে দেয়া হয়েছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মাদার তেরেসা বলেছেন, আমি গরিব লোকের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করি।" পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি পদক বিক্রি করেছেন, তার সাথে তাঁর আর্থিক পুরস্কার ১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার সবই গরীব জনসাধারণ এবং কুষ্ঠরোগীদের জন্য চাঁদা দিয়েছেন, নিজের কাছে এক সেন্টও রাখেন নি।

 ১৯০১ সালের ২৭ আগস্ট তেরেসা সাবেক জুগোস্লাভিয়ার স্কোপজে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি লোরেটো সিস্টার সংস্থায় যোগদান করেন। এটা হচ্ছে ভারতের কলকাতার আর্চবিশপের অধীনে এক সিস্টার গোষ্ঠী। ১৯৫০ সালে তেরেসা ভারতে এক দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ওষুধ সবই চাঁদা থেকে পাওয়া, এবং বিনা খরচে গরীবদেরকে দেয়া হয়। এখন এই সংস্থা বিশ্বায়ন হয়েছে, ৩৫০০ জন সিস্টার ১১৫টি দেশের ৫৪৩টি অনাথশালা, এবং এইডস রোগী চিকিত্সা কেন্দ্র পরিচালনা করেন।

 ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাদার তেরেসা হৃদরোগের ফলে ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ৮৭ বছর।

** ১৯৩২ সালের ২৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরোধী সম্মেলন শুরু

 আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরোধী সম্মেলন ১৯৩২ সালের ২৭ আগস্ট নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের বিপদ দিনে দিনে বৃদ্ধি হচ্ছে , ফলে ব্যাপক যুদ্ধ বিরোধী, ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয়। প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা এই আন্দোলন সঞ্চার করেন। হেনরি বার্বুসে এবং রোমাইন রোলান্ডের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৩২ সালের বসন্তকালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরোধী কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন বিভিন্ন দেশ মোট প্রায় ৫০০০ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে, কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকারের নির্যাতনের ফলে কেবল ২৫টি দেশের ২২৪৪ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন ৩ কোটি যুদ্ধ বিরোধী সক্রিয় যোদ্ধার প্রতিনিধি।