v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-23 18:54:16    
বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র নগরী রামজি

cri
   

আপনি জানেন, বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র নগরী কোথায় ? সেটা যুক্তরাষ্ট্রের হলিউড নয়, ভারতের মোম্বাইয়ের বলিউডও নয়, সেটা হচ্ছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরের রামজি চলচ্চিত্র নগরী।

    ভারতের এশিয়া বার্তা সংস্থার খবরে জানা গেছে, হায়দরাবাদের রামজি চলচ্চিত্র নগরী সম্প্রতি 'গিনেস বুক-অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে' স্থান পেয়েছে। তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, এটা বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র নগরীতে পরিণত হয়েছে।

    গিনেস বিশ্ব রেকর্ড সংস্থার দেয়া প্রমানপত্রে বলা হয়েছে , ভারতের সংবাদ মাধ্যমের রাজা রামজি রাও ১৯৯৬ সালে এই চলচ্চিত্র নগরী প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর আয়তন ৬৭৪ হেকটর। এখানে ৫০০টি চলচ্চিত্র দৃশ্যায়নের স্থান এবং বহু পেশাগত ডামী এবং সহশিল্পী আছেন। সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সার্বিক পরিসেবা দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৪০টি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ করা যেতে পারে এখানে।

    চীনেও নানা চলচ্চিত্র কেন্দ্র আছে, কিন্তু রামজি চলচ্চিত্রের সঙ্গে তাদের অনেক পার্থক্য। চীনের চলচ্চিত্র কেন্দ্রগুলো প্রায় পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু রামজি চলচ্চিত্র নগরীর দরজায় বাইরের লোকজনের ভিড় দেখা যায় না। তার আধুনিক দ্বার দিয়ে ভিতরে কোনো স্থাপত্য দেখা যায় না, কেবল পাহাড় আর পাহাড়। রামজি চলচ্চিত্র নগরী সত্যি খুব বড়, ফলে পর্যটকরা কেবল বাসে করে সেটি পরিদর্শন করতে পারেন।

    বাস প্রায় আধা ঘন্টা চলার পর সংবাদদাতার চোখে ভেসে উঠলো কিছু সুন্দর সুন্দর ভবন ও টাওয়ার। এখানে দক্ষিণ এশিয়ার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নিকুঞ্জ এবং খোদাই-করা মূর্তি আছে, আধুনিক পাশ্চাত্য বাগান-বাড়ি এবং উচ্চ ভবন আছে, এমন কি চীন সংক্রান্ত কোন চলচ্চিত্র দৃশ্যায়নের জন্য চীনের লাল রংয়ের চতুষ্কোণ নিকুঞ্জও আছে, তার গভীর চীনা বৈশিষ্ট্য দেখে আমাদের সংবাদদাতার খুব আপন মনে হয়েছে।

    রামজি চলচ্চিত্র নগরীর চার দিকে বাড়িঘর, অট্টালিকা এবং সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ছড়িয়ে আছে। বিমান বন্দরে প্রেমিক ও প্রেমিকার বিদায়ের দৃশ্যধারণ করতে চাইলে নকল বিমান বন্দরে যেতে পারেন। সেখানে থাকলে সত্যি বিমান আসার উদ্বেগ নেই। বড় বাগান-বাড়ী লাগলে উচ্চ মানের নকল বাগান-বাড়ি অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেন, যদিও তার ভিতরটা খালি। তা ছাড়া জেলখানা, গ্রাম, বাজার, বাস স্টেশন এবং জাহাজঘাটা এসব জায়গা রামজিতে সহজে পাওয়া যায়, এবং চলচ্চিত্রে দেখলে সত্যিকার মনে হয়।

    রামজি চলচ্চিত্র নগরীর শ্লোগান হচ্ছে চলচ্চিত্র দল একটি চিত্রনাট্য নিয়ে রামজি আসে, যাওয়ার সময় একটি সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র নিয়ে যায়।

    ভারত প্রতি বছর প্রায় ৯০০টি চলচ্চিত্র তৈরি করে। ভারত হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণকারী দেশ।

    এই দেশের গভীর ধর্মীয় পরিবেশের ফলে অনেক চলচ্চিত্রে দেবতার ভাব পাওয়া যায়। দিনে দিনে উন্নত হওয়া চলচ্চিত্র প্রযুক্তির সাহায্যে আমাদের সংবাদদাতা রামজীতে স্বচক্ষে উচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে দেবতা তৈরির দৃশ্যও দেখেছেন। চলচ্চিত্র তোলার ঘরে প্রদীপ এক একটা বন্ধ হওয়ার পর কয়েকটি লেসার এক সঙ্গে মিলিত হয়ে হঠাত্ মানুষের মতো বড় আকারের একটি হিন্দু ধর্মের দেবতার ত্রিমাত্রিক মূর্তি চোখের সামনে দাঁড়িয়েছে। দেবতার মুখে হাসির ভাব , তর্জনী হাল্কা উঠেছে, একেবারে সত্যিকারের মতো। জানা গেছে, এটা হচ্ছে রামজি চলচ্চিত্র নগরীর রামধনু কার্যালয়ের কাজ। ২০০৪ সালে মার্কিন কোডাক কোম্পানি এই কার্যালয়কে "আন্তর্জাতিক রঙ্গিন ফিল্ম প্রক্রিয়া" প্রমাণপত্র প্রদান করেছে। কিন্তু জানেন, পৃথিবীতে এই গৌরব অর্জনকারী মাত্র ২৩টি চলচ্চিত্র কেন্দ্র রয়েছে।