চীনের পর ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহততম জনবহুল দেশ । আগে ভারতের অধিকাংশ লোকেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ আতীয়-স্মজনদের দেখাশুনা করার জন্যে খরচ করতেন। কিন্তু এখন ভারত মানুষের জীবন-যাত্রা ভালো হওয়ার সংগে সংগে ক্রমেই বর্ধমান সংখ্যায় মানুষ ছুটি কাটানো পদ্ধতি নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিপর্তন করতে শুরু করেছে । বিনোদন শিল্প এখন ভারতের একটি নতুন শিল্প ।
ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী,ভারত সারা বছরে বৈধ ছুটি এবং সপ্তাহিক ছুটির সময় মোট ১২০ দিন । সরকারী কর্মকর্তারা প্রত্যেক বছরে সবচেয়ে বেশী বেতন সহ ৩০ দিনের অসুস্থতাজনিত ছুটি ও ৩০ দিনের বিশেষ ছুটি ভোগ করতে পারেন ।কারণ ভারতের অধিকাংশ ঐতিহ্যিক উত্সব বসন্তকাল এবং গ্রীষ্মকালে হয় ,তাই অনেকেই এই দুই উত্সবকালে ছুটি কাটাতে পছন্দ করেন । যেমন,দীওয়ালী (চীনের বসন্ত উত্সবের মত),বড় দিন এবং নববর্ষে ভারতের মানুষের ছুটি কাটানোর হিড়িক পড়ে । এ ছাড়া,ভারতের অনেক ধর্মীয় উত্সবও আছে । তাসত্বেও ভারতে সারা দেশে কেন্দ্রমুখীভাবে ছুটি কাটানোর দৃশ্য দেখা যায় না ।এটা হয়ত ভারতের উত্সব কেন্দ্র-বিমুখ উত্সবগুলোর সংগে এর কোনো সম্পর্ক আছে ।
মিস জয়া একজন সংবাদদাতা । কুড়ি বছর আগে তিনি নয়াদিল্লীতে চাকরী শুরু করার প্রথম দিনগুলোতেও তাঁর যথেষ্ট ছুটি ছিলো,কিন্তু কম আয়ের কারণে তিনি শুধু দুই এক বছর পর একবার ছেননাইয়ে তার বাড়ি ফিরে বাবা মাকে দেখতে যেতেন । ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সংগে সংগে জয়ার জীবন-যাত্রাও নিরন্তর উন্নত হয়েছে । এখন তিনি সবসময় বিমানে করে বাড়ি ফিরে বাবা মা কে দেখতে যান, ছুটিও বৈচিত্র্যময় এবং আনন্দময় হয়েছে : গংগার স্রোতে ভেসে চলেন, গোয়া সমুদ্রতটে ঘুরে বেড়ান, হিমালয়ের চূড়ায় ওঠেন, এমনি আরো কত কি !
অন্য খবরে জানা গেছে , ভারত এখন পৃথীবিতে সবচেয়ে বেশি পর্যটন-প্রেমী দেশগুলোর অন্যতম । তাঁরা শুধু নিজের দেশেই ভ্রমন করেন না, বিদেশ ভ্রমনেও তারা ভীষণ আগ্রহী ।
|