v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-19 14:37:45    
গরিব মানুষ " ফলের রাজা " হয়েছেন

cri
  গাছে প্রচুর কমলা ধরেছে, ক্ষেতে সবুজ শাকসবজি সতেজে বড় হচ্ছে । লেখক অক্টোবর মাসের শেষ দিকে চীনের ফেং হুয়াং জেলার থুও চিয়াং থানার মুলিনছিয়াও গ্রামে এই দৃশ্য দেখেছেন। এটা কৃষক থেং ছুনমিংয়ের "প্রাকৃতিক কৃষি বাগান " নামক খামারের মনোরম দৃশ্য। তিনি এবছরে ১ লক্ষ ইউয়ান উপার্জন করেছেন।

  কিন্তু থেং ছুনমিং দশ বছর আগে একজন খুবই দরিদ্র লোক ছিলেন। এমন-কি তাঁর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া এবং কাপড়-চোপরেরও অভাব ছিল ।

  নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য তিনি দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌ শহরে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বিশেষ প্রযুক্তি ছিল না বলে তিনি নিরুপায় হয়ে আবার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। স্থানীয় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাহায্যে তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পতিত জমি আবাদ করা, পুকুর কাটা, ফলের গাছ চাষ, সবজি চাষ করা ইত্যাদি কাজ শুরু করেন। অবশেষে দুই বছরের পর তিনি ১৩ একরের বেশি পতিত জমি আবাদ করেছেন, কিন্তু এই পথে যাওয়া এতো সহজ নয়, ভাল প্রযুক্তি ছিল না বলে তাঁর প্রথমবার বুলাং আলুবোখারা চাষ করার ব্যাপারে ১০ হাজার ইউয়ানেরও বেশি লোকসান হয়েছে। তিনি নিরাশ হয়ে পড়েননি , প্রযুক্তি শেখার জন্য তিনি " হুনান কৃষি ", " দক্ষিণ ফল গাছ" ইত্যাদি পত্রিকা আর বইপুস্তকের অর্ডার দিয়েছেন এবং জেলার কৃষি প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান শিখেছেন। ১৯৯৯ সালে কমলা চাষে তাঁর ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে, প্রতিবছরে ১ লক্ষ কেজি কমলা উত্পাদন হয়েছে।

  এগুলোর ভিত্তিতে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আবার ভূমিতে চুসেন আপেল, ফিছিউপীচ, নিউহেরচি কমলা ইত্যাদি ২০টি নতুন ধরনের ফলের চাষ করেছেন। তিনি ৬ একরের বেশি জমিতে ফল গাছের চারা লালন করেছেন, প্রতিবছরে ৫ লক্ষের বেশি চারা লালন করেন, তাঁর গ্রামেও কাছাকাছি অঞ্চলে এবং কুইচৌ, সিছুয়ান, ইয়ুন্নান ইত্যাদি প্রদেশে তাঁর ফলগাছের চারা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।

  থেং ছুনমিং অন্যান্য গরিব মানুষের কথা মনে রেখেছেন। তিনি গ্রামে দারিদ্র-মোচন অভিযানকে সমর্থন করেন এবং এক এক গরীব ঘরে গিয়ে ফল চাষ করার উন্নত কলাকৌশল শিখিয়ে দেন। তিনি নিজের বাড়ীকে একটি ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করে গ্রামবাসীদের কৃষি প্রযুক্তি শেখানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমানে ৫০০ একর জমিতে ফলগাছ লাগানো হয়েছে। তাতে মাথা-পিছু আয় দেড় হাজার ইউয়ান বেড়েছে। বর্তমানে প্রদেশ, এলাকা এবং জেলা পর্যায়ে তাঁকে " পল্লী উন্নয়নে পারদর্শী" , " তরুণ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ" এবং " স্বায়ত্তশাসিত এলাকার দশজন শ্রেষ্ঠ তরুণের অন্যতম " ইত্যাদি খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয় তাঁকে " ধনী হওয়ার কার্যক্রমের পথিকৃত " সম্মানে ভূষিত করেছে।