v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-17 15:33:15    
মিষ্টি আলু আর গোল আলু'র কয়কটি উপকারিতা

cri
    আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সবচেয়ে পরিচিত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে দুটো হচ্ছে আলু আর মিষ্টি আলু।

    প্রথমেই মিষ্টি আলুর কথাই ধরা যাক। শকরা-সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। এতে আরও রয়েছে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-১, বি-২ আর সি, ক্যালসিয়াম এবং সামান্য লোহাসহ ফসফরাস।

    দেহকে শক্তিশালী করতে বিশেষ করে প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি আলু বিশেষ কার্যকর। বৃক্কের কার্যক্ষমতায় ঘাটতি বা কাংখিত সময়ের আগেই বীর্যস্খলন-এর সমস্যায় এই উদ্ভিদ কাজে লাগে। রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেও এর উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। সে ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাণীর, বিশেষ করে খাসীর কলজের সাথে মিষ্টি আলু খাওয়াবেন।

    গ্রামে, এমন কি শহরেও আগুনে পুড়িয়ে কিছুটা পোড়া পোড়া করে মিষ্টি আলু খাওয়ার প্রচলন আছে। এই পদ্ধতি সাধারণ সর্দি-কাশির উপশমে কার্যকর।

    এবারে আলু তথা গোল আলু সম্পর্কে সামন্য তথ্য তুলে ধরছি।

    আপনারা হয়তো জানেন, আলুতে রয়েছে শর্করা, আমিষ, কলয়েড পদার্থ, ভিটামিন বি আর সি, পটাসিয়াম আর সোলানিন। গোল আলুর উপকারীতা অনেকটা মিষ্টির আলুর মতোই। তবে কিছুটা কম। এটি প্লীহা আর পাকস্থলীর দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি দেহের সাধারণ দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক।

    শরীরের সাধারণ দুর্বলতা আর উচ্চ স্নয়িবিক চাপের ক্ষেত্রে আলু দিয়ে কিভাবে পথ্য তেরী করবেন?

    ৩০০ গ্রাম আলু, ১০০ গ্রাম রসুনের স্বাদযুক্ত পেঁয়াজ বা না পেলে সাধারণ পেঁয়াজ, রসুনের চারটে কোয়া এবং ১৫০ গ্রাম গাজর নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পরিস্কার করে নিন। তবে খোসা ছাড়াবেন না। এরপর একটি পাত্রে নিয়ে অল্প আঁচে এমনভাবে সিদ্ধ করুন , যাতে পাত্রের পানির অর্ধেকটা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এখন সামান্য খাদ্য লবণ আর খাবার সোডা দিন তাতে। প্রতি বেলা খাবারের পর এক কাপ করে খাবেন। শরীরে আরাম লাগলে আর খাবার দরকার নেই। পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রেও আলুর অসাধারণ কার্যকরীতা আছে। সে ক্ষেত্রে এক কেজি আলু ধুয়ে নিয়ে খোসাসহ সিদ্ধ করুন। তারপর খোসা ছাড়ানোর পর পাতলা কাপড় দিয়ে তা থেকে কোবুল আলুসহ রসটুকু ছেকে নিন এবং দ্রবণটি আবার একটি পাত্রে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। এক সময় তা আঁঠালো পদার্থে পরিণত হবে। ২-৩ মানুস ধরে খাবার পর পর এক চা-চামচ করে। খেলে উপশম পাওয়া যায়। সমপরিমাণ মধুও একই সময় সেবন করা যেতে পারে।