v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-17 13:56:05    
চীনের গায়িকা চু মিংইং

cri
  সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন শুনছেন বিশেষ অনুষ্ঠান সুরের ভুবন। আমি লিলি। দূরদূরান্তের পেইচিং থেকে আপনাদের সুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি চু মিংইং নামক চীনের বিখ্যাত গায়িকা এবং তাঁর গাওয়া দেশী-বিদেশী গানগুলো আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো।

    প্রথমে আমরা একসাথে চু মিংইংয়ের গাওয়া চীনের হো পেই প্রদেশের একটি লোক সঙ্গীত শুনবো। গানের নাম হলো"মায়ের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি"। চু মিংইং উদ্দীপনাময় ও রসিক সুরে এবং মজা ও প্রাণবন্ত অভিনয়ের মাধ্যমে একজন গ্রামীণ বউয়ের প্রতিবিম্ব প্রকাশ করেছেন। ১৯৮৪ সালে চীনের কেন্দ্রীয় টিভি কেন্দ্রের বসন্ত উত্সব প্রীতি সম্মিলনীতে এই গান প্রচারিত হওয়ার পরে ব্যাপক দর্শকদের মধ্যে সমাদর পেয়েছে এবং চীনের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আচ্ছা, প্রিয় বন্ধুরা, এখন গানটি শুনুন।

    চু মিংইং হচ্ছেন বিশেষ অভিনয়ের রীতিনীতিসম্পন্ন একজন গায়িকা। তিনি নাচতে পারেন ও গান গাইতে পারেন। তিনি বহু ভাষায় বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্টাইলের গান গাইতে পারেন। ৩০ বছর বয়স থেকে চু মিংইং গান গাওয়া শিখতে শুরু করেন। চীনের অন্য গায়ক-গায়িকাদের তুলনায় তিনি খুব দেরিতে গান গাইতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি গান গাওয়ার শিল্পকলার প্রতি নিজের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে সব দিক দিয়ে নিজেকে দেখিয়ে দেওয়ার পথে পদার্পণ করলেন। আগে তিনি একজন নর্তকী ছিলেন। চু মিংইং নিজের এই অনুকূল শর্ত ব্যবহার করে এশিয়া, আফ্রিকাও ল্যাটিন আমেরিকার গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব অঞ্চলের নাচও শিখেছেন। চু মিংইং ডজন খানেক চলচ্চিত্র ও টিভিনাটকের জন্যে গান গেয়েছেন এবং বহু ধরণের গান-সংকলন প্রকাশ করেছেন।এখন আমরা একসাথে " সাগর ডাকছে" নাম একটি চলচ্চিত্রের জন্য চু মিংইংয়ের গাওয়া গান শোনবো। গানের নাম হচ্ছে " সমুদ্র, আমার জন্মভূমি"। চু মিংইংয়ের কন্ঠস্বর খুব শ্রুতিমধুর। গানটিতে সাগর, জন্মস্থান ও মায়ের প্রতি প্রধান চরিত্রের গভীর ভাবানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। গানে বলা হয়েছে:

    ছোটবেলায় মা আমাকে বলেছেন, সমু্দ্র হচ্ছে আমার জন্মস্থান।

   সমুদ্রের পাশে আমি জন্মগ্রহণ করি,

    সমুদ্রের পাশে বড় হয়ে উঠছি।

    সমুদ্র, মায়ের মতো, আমি যে দূর-দূরান্তে গেলেও, সমুদ্র সমসময় আমার পাশে থাকে। আচ্ছা, চলুন, বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি।

    চু মিংইং ২৬টি বিদেশী ও আঞ্চলিক ভাষায় এক শ দেশী-বিদেশী গান গাইতে পারেন।তাঁর গাওয়া বিদেশী রীতিনীতিসম্পন্ন গান যেমন চীনা জনগণের মধ্যে সমাদর পেয়েছে, তেমনি অনেক বিদেশী দর্শকেরা সম্বর্ধনা লাভ করেছে। তিনি প্রায় ত্রিশটি দেশ সফর করেছেন এবং মাঝে মাঝে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান ও অতিথিদের জন্যে গান গেয়েছেন। তিনি পূর্ব-পশ্চিমা শিল্পকলার আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে লক্ষনীয় অবদান রেখেছেন বলে জাতি সংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাকে " বিশ্বের সংস্কৃতি ও শিল্পেকলার ক্ষেত্রেঅবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তির" পুরষ্কার দিয়েছে। এখন আপনারা চু মিংইংয়ের গাওয়া " ধাঁধা আন্দাচ" নামে একটি ভারতীয় গান শুনুন।

    দেশী-বিদেশী গান গাওয়া ছাড়াও, চু মিংইং চীনে বিখ্যাত জাতীয় শিল্পীদের কাছ থেকে পেইচিং অপেরাসহ চীনের বিভিন্ন আঞ্চলিক অপেরা শিখেন। তিনি বলেছেন, একজন চীনা গায়িকা হিসেবে নিজের জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিল্পকলা আয়ত্ত করতে হবে, যাতে তা দিয়ে নিজের আপন সাংস্কৃতিক ভিত্তি ও নৈপুন্য সমৃদ্ধ করা যায়। আপনারা এখন যে গান শুনছেন, তা হচ্ছে হু অপেরার একটি অংশ বিশেষ। হু অপেরা হলো শাংহাইয়ে খুব জনপ্রিয় একটি স্থানীয় অপেরা। আচ্ছা, এখন আমরা পুরো গানটি শুনবো।

    ১৯৮৫ সালে চু মিংইং সঙ্গীত মঞ্চ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে লেখাপড়া করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত আধুনিক সঙ্গীত ইন্সটিটিউট, অর্থাত বেরকলী সঙ্গীত ইন্সটিটিউটেচার বছরের সময়ে তিনি ছয় বছরের সব কোর্স শেষ করেছেন এবং অভিনয় শিল্পকলা বিভাগে মাস্টারস ডিগ্রি লাভ করেছেন।

    বর্তমানে চু মিংইং সঙ্গীত মঞ্চে সক্রিয় রয়েছে। তবে তাঁর জীবনের বৃহত্তম স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে তিনি আরো বেশি সময় ব্যবহার করছেন। এই সুন্দর স্বপ্ন হচ্ছে: চীনে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি শিল্পিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা, যাতে প্রতিভাবান যুবক-যুবতীরা স্বদেশে সবচেয়ে উন্নত ও আধুনিক আন্তর্জাতিক সঙ্গীত শিল্প শিখতে পারবে।

    আচ্ছা, এখন আমরা একসাথে আজকের অনুষ্ঠানের সর্বশেষ গান শুনবো। গানটিতে মানবজগতের আন্তরিক অনুভূতির প্রশংসা করা হয়েছে। বন্ধুরা, চলুন, গান শুনি।

    প্রিয় বন্ধুরা, আজকের সুরের ভূবন অনুষ্ঠানের সময় নেই। আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে দয়া করে আমাদের লিখে জানাবেন। আজকের অনুষ্ঠান শোনার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।