জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডার ১৫ আগস্ট আবারো বলেছেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরানের পারমাণবিক সমস্যার সমাধান করা উচিত।
শ্রোয়েডার একইদিন জার্মানীর পূর্বাঞ্চলের শহর ড্রেসডেনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে বলেছেন, ইরান যে পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরী ও অর্জন করবে তা আমরা দেখতে চাই না। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত অব্যাহতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর কূটনৈতিক চেষ্টাকে সমর্থন করা। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের উপর সামরিক অভিযান চালানোসহ এই ধরনের হুমকি সৃষ্টি করা এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে না। সামরিক ব্যবস্থা হচ্ছে সর্বশেষ উপায় এবং শুধু জাতি সংঘ অনুমোদন করলেই কেবল এ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
একইদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সিন ম্যাককোরমেক আরেকবার ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে ইইউ'র প্রতিনিধিত্বকারী জার্মানী, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এ তিনটি দেশের কূটনৈতিক চেষ্টাকে সমর্থন করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক রুপান্তর তত্পরতা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি মেনে না চলে, অথবা আন্তর্জাতিক আণবিকশক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র জাতি সংঘের মাধ্যমে ইরানকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শাস্তি দেবে।
|