v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-15 13:20:29    
চীনের বৈজ্ঞানিক "টেম্পল এক" ধুমকেতু সম্পর্কে তিন দফা ভবিষ্যত্ বাণী পেশ করেছেন

cri
    গত ৪র্থ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিমানচালনবিদ্যা ও মহাশূন্য ব্যবস্থাপনা (NASA) উতক্ষেপিত "ডীপ ইম্পেক্ট" নামক মহাশূন্যযানের ৩৭০ কে.জি. ওজনের একটি আঘাতী যন্ত্রপাতি প্রতি ঘন্টায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে টেম্পল এক ধুমকেতুর উপর আঘাত হেনেছে। এই আঘাত-প্রাপ্ত ক্র্যাটার কত বড়? ধুমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশের উপর ধুলার মতো বহু পদার্থ কোথা থেকে এসেছে? রহস্যময় সাদা রংয়ের তালির মতো পদার্থ কি? এগুলো প্রশ্ন নিয়ে চীনের বিজ্ঞান একাডেমির পার্পল মান্টেন মানমন্দিরের বৈজ্ঞানিক ওয়াং সি ছাও তাঁর তিনটি ভবিষ্যত বাণী পেশ করেছেন। আ

    NASA-এর বৈজ্ঞানিকরা সম্প্রতি টেম্পল এক ধুমকেতুতে ধাক্কা লাগার পর নতুন ছবিগুলো প্রকাশ করেছেন। তাঁরা লক্ষ করেছেন যে, ধাক্কা লাগার পর যে পদার্থগুলো প্রতি সেকেন্টে ৫ কিলোমিটার গতিতে বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে পাউডার মতো বহু ক্ষুদ্র পদার্থ রয়েছে। এ থেকে তাঁরা অনুমান করেছেন যে, ধুমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশের উপরে পাউডারের মতো বহু ক্ষুদ্র পদার্থ ঢাকা রয়েছে। আগের মত অনুযায়ী ধুমকেতুর উপরে বরফে ঢাকার কথা।

    পাউডারের মতো বহু পরিমান পদার্থ ছাড়ানোর ফলে, টেম্পল এক ধুমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশের চারদিকে পাউডারের দ্বারা ঢাকা রয়েছে। এতে আঘাত-প্রাপ্ত নতুন ক্র্যাটার পর্যবেক্ষন করা অসুবিধা হয়ে পড়েছে। কিন্তু মার্কিন বৈজ্ঞানিকরা অনুমান করেন যে, এবারকার আঘাত-প্রাপ্ত নতুন ক্র্যাটারের ব্যাস ২০০ থেকে ২৫০ মিটার হবে। আঘাতের আগে অবিষ্কার করা তালির মতো সাদা রংয়ের পদার্থ কি, তা এখনো জানা যায় না।

    ক্র্যাটার আকার, পাউডারের মত পদার্থের উত্স ও রহস্যময় সাদা রংয়ের পদার্থ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক ওয়াং সি ছাও তাঁর নিজের বিশ্লেষণমূলক মত পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এবারকার আঘাতের প্রভাতের কয়েকটি বৈশিস্ট্য আছে। প্রথমত আঘাতের সময়ে উজ্জ্বিল আলো দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত পদার্থ ছাড়ানোর গতি খুব দ্রুত। তৃতীয়ত আঘাত লাগার সময়ে প্রবল প্রচন্ড আলট্র-ভাইয়োলেট রেই ছড়িয়েছে। তাতে প্রমাণিত হয়েছে, আঘাত লাগার সময়ে তাপমাত্রা ২০০০ ডিগ্রি সেন্টিক্রেটেরও বেশী। চতুর্থত ধুমকেতুকে আঘাত লাগার পর তার উজ্জ্বতা অনুমানের ঢেয়ে কম। তা থেকে তিনি অনুমান করেছেন, এবারকার আঘাত মাঝারী মাত্রর। আঘাত-প্রাপ্ত ক্র্যাটার ব্যাস ১০০ মিটারেও কম হবে।

    ধুমকেতুর উপর পাউডারের মতো যে বহু পরিমান পদার্থ ঢাকা রয়েছে, ওয়াং সি ছাও সিই সম্বন্ধে দু'টি সম্ভাবনার কথা অনুমান করেছেন। একটা হলো, ধুমকেতু মহাশূন্যে দীর্ঘকাল ঘোরার সময়ে ছোট বড় উল্কা তাকে প্রচন্ড ধাক্কা দিয়ে দিয়ে তার তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধুমকেতুর উপরের বরফ দ্রুত বায়ুতে পরিণত হয় এবং ধুলা নিয়ে বাইরে ছড়িয়েছে। তার মধ্যে কিছু ক্ষুদ্র ধুলা ধুমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশের অভিকর্ষের কারণে কেন্দ্রীয় অংশের উপর নেমে আসে। দিন যায় রাত যায়, কেন্দ্রীয় অংশের উপর এক স্তর ধুলা ঢাকা থাকে। আরেক সম্ভাবনা হলো, স্থিত বিদ্যুতের মাধ্যমে ধুমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশ মহাশূন্যে চলাকালে একটি ধুলা-সংগ্রহকের মতো পথের ধুলাগুলো আহরণ করেছে। ওয়াং সি ছাও মনে করেন যে, প্রথম অনুমানের সম্ভাবনা বেশী।

    প্রকাশিত ছবি থেকে দেখা যায়, তালির মতো রহস্যময় সাদা পদার্থের পৃষ্ঠ খুব মসৃণ , এবং ঢকঢকে দ্যুতির শক্তি প্রবল। ওয়াং মনে করেন যে, এই সাদা পদার্থ সম্ভবত উচ্চ তাপমাত্রা সম্পন্ন বরফ। কারণ তাপমাত্রা নিচু হলে , সূর্যের বিচ্ছুরণে আলোর অল্প সময়ের মধ্যে বরফ বায়ু হয়ে যাবে। এই বরফ ধুমকেতুর পৃষ্ঠে খোলা থাকার সময় বেশি হবে না। নইলে দীর্ঘকালে জমে থাকা ধুলা বরফে ঢাকা থাকবে।

(ছবি)