v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-10 13:31:06    
কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ছ-পক্ষীয় বৈঠকের প্রক্রিয়া

cri
    কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সম্পর্কিত ছ-পক্ষীয় বৈঠকের তৃতীয় দফা সম্মেলণ ২৩ জুলাই পেইচিংয়ে দিয়াও ইয়ু তাই রাষ্ট্রীয় অথিথিভবনে উদ্বোধন হয়েছে। আন্তর্জাকিত সমাজ এর উপর উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্ব দিচ্ছে।

    কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা বিংশ শতাব্দীর নববই দশকে শুরু হয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র তার উপগ্রহের পাঠানো ছবিগুলো অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণার স্থাপনা আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং সব স্থাপনা পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছে। পক্ষান্তরে, উত্তর কোরিয়া বারবার বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে, তার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী করার পরিকল্পনা ও সামর্থ্য নেই, বরং যুক্তরাষ্ট্র যে দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে , তাতে উত্তর কোরিয়া গুরুতর হুমকির সম্মুখীন ।

    ২০০২ সাল অক্টোবার মাস থেকে, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা আরো গুরুতর হয় বলে তা কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর গুরুতর কুপ্রভাব ফেলেছে। এই সমস্যা শান্তি পদ্ধতিতে সমাধান করার জন্য, চীন সরকার ২০০৩ সালের শুরুতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা শুরু করে। কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার তিন-পক্ষীয় বৈঠকের পরিবর্তে ছ-পক্ষীয় বৈঠকের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে, চীন, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পেইচিংয়ে তিন-পক্ষীয় বৈঠক করেছে। এরপর, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া হাওয়াইতে বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ-বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা জোরদার করে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণিবক সমস্যা শান্তি পদ্ধতিতে সমাধানের প্রচেষ্টা চালাবে। জুন মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ফ্রান্সে দক্ষিণ ও উত্তরের শীর্ষ সম্মেলনের অনানুষ্ঠানিক সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। দু'পক্ষ কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র-মুক্তকরণ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাতে একমত হয়েছে। জুলাই মাসে, উঃ ও দঃ কোরিয়া ১১তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া বহু-পাক্ষিক বৈঠক সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব পেশ করেছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের বারবার আলোচনা ও সমন্বয়ের পর, অবশেষে চীন, উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, জাপান ছয় দেশ কূটনৈতিক পদ্ধতিতে কোরীয় উপদ্বীপ পারমাণবিক সমস্যা সমাধানে একমত হয়েছে।

    প্রথম ও দ্বিতীয় দুই দফা ছ-পক্ষীয় বৈঠকের অবস্থা এমন:

    ২০০৩সাল আগস্ট মাসের ২৭ থেকে ২৯ পর্যন্ত প্রথম দফা ছ-পক্ষীয় বৈঠক পেইচিংয়ের দিয়াও ইয়ু তাই রাষ্ট্রীয় অথিতিভবনে আয়োজিত হয়েছে। বৈঠককালে সংশ্লিষ্ট পক্ষ মনোযোগ দিয়ে যার যার মতাধিষ্ঠান ও প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। তাতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সংলাপের মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপ পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা প্রমাণিত হয়েছে।

    ২০০৫ সাল ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ থেকে ২৮ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফা ছ-পক্ষীয় বৈঠক পেইচিংয়ের দিয়াও ইয়ু তাই রাষ্ট্রীয় অতিথিভবনে আয়োজিত হয়েছে। সেবারকার বৈঠকে পাঁচটি প্রধান সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রথমত, গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার আলোচনা চালু হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সংগতিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যা সমাধানের মতাধিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রথম আনুষ্ঠানিক দলিল প্রকাশ করেছে। চতুর্থত, তৃতীয় দফা বৈঠকের স্থান ও সময় ঠিক করেছে। পঞ্চমত, বিশেষ কর্ম-গ্রুপ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।