v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-09 17:57:43    
ফ্লাশব্যাকঃ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের আজকাল

cri
    ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সাফল্যের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। দু'পক্ষ রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক, সংস্কৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতা করছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়েও দু'দেশের অভিমত প্রায় একই , আন্তর্জাতিক বিষয়েও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করেছে। দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঘন ঘন সফর বিনিময় হয়েছে, নানান আদান-প্রদান ও অব্যাহতভাবে বেড়েছে, সহযোগিতার ক্ষেত্র নিরন্তরভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে তত্কালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী লি সিয়ান নিন বাংলাদেশ সফর করেন। এটা হলো চীনের কোন রাষ্ট্রীয় নেতার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নয়ন হয়েছে, সহযোগিতার ক্ষেত্র ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হয়েছে। চীনের শুল্ক দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ সালে চীন ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মূল্য ১৩৬ কোটি ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০০২ সালের চেয়ে শতকরা ২৮.৩৩ ভাগ বেশি। বাংলাদেশ থেকে চীনের আমদানি দ্রব্যের মধ্যে রয়েচে চামড়া, সুতী বস্ত্র এবং মত্সজাত খাদ্য আর চীনের রপ্তানি দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র দ্রব্য, যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সামগ্রি, সিমেন্ট, কৃষি সার, টায়ার, কাঁচা রেশম, ভুট্টা ইত্যাদি।

    ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে চীন ও বাংলাদেশ দু'দেশের সরকারী পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরপর প্রতি তিন বছরে একবার চীন সফর ও বিনিময় পরিকল্পনা স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর দু'দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রভৃতি ক্ষেত্রের আদান-প্রদান এবং সহযোগিতা অব্যাহতভাবে জোরদার হয়েছে, দু'দেশের প্রতিনিধি দল বহুবার পারস্পরিক সফর করেছে। ১৯৭৬ সাল থেকে দু'দেশ শিক্ষা বিনিময়ের জন্য ছাত্র পাঠানো শুরু করে। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রথম পেইচিং এর একটি প্রাথমিক স্কুলকে চাঁদা দিয়ে স্কুল ভবন তৈরি করেছে , এই স্কুলকে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রি প্রাথমিক স্কুল নাম দেয়া হয়েছে।

    ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে চীন ও বাংলাদেশের অর্থনীতি, বানিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত যৌথ কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মৌলিক নীতি অনুযায়ী যথাক্রমে দু'দেশের রাজধানীতে অধিবেশন আয়োজিত হয়। এই পর্যন্ত মোট দশ বার এই অধিবেশন হয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দু'দেশে মোট পাঁচবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্যা প্রতিরোধ ক্ষেত্রেও দু'দেশের সহযোগিতায় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।