v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-08-08 13:55:28    
বুদ্ধিমান ভান চেন কুন (১)

cri
    আজ থেকে প্রায় তিন শো বছর আগে ছিং রাজবংশের আমলে ভান চেন কুন নামে একজন লোক যেমন বুদ্ধি তেমনি সত্যনিষ্ঠার জন্যে বিখ্যাত ছিলেন। নিরীহ আর অসহায় লোকদের প্রতি তার সহানুভূতির অন্ত ছিল না। অন্যদের বিপদে তিনি এগিয়ে সাহায্য করতেন। অন্যায় আর নিষ্ঠুরতা, এবং জোর-জবরদস্তিকে তিনি ঘৃণা করতেন। এই কারণে সে-সময়কার উতপীড়ক জমিদাররা আর পদস্থ লোকেরা তার উপর খুবই চটা ছিলেন, আর সবসময়ে তাকে বিপদে ফেলবার সুযোগ খুঁজতেন।

    একদিন ভান চেন কুন বাড়িতে বসে একটা বই পড়ছিলেন। হঠাত্ দুই পেয়াদা ঘরে ঢুকে পড়ে তাঁকে জানালো যে, তাকে জেলাপ্রধানের কাছে যেতে হবে। ভান চেন কুন ধাঁধায় পড়ে জিজ্ঞেস করলেন:" ব্যাপারটা কী?" পেয়াদা-দুটো বললো:" আপনার চাকর জমিদারদের জিনিস চুরি করবার সময়ে হতে নাতে ধরা পড়েছে। সে এখন মামলার আসামী।" ভান চেন কুন অবাক হয়ে বললেন "সে এখন কোথায়?"

    পেয়াদারা বললো: "তাকে এখন বিচারের জন্যে জেলাপ্রধানের কাছে হাজির করা হয়েছে। আপনাকেও সেখানে যেতে হবে। আপনি এক্ষুনী চলুন।"

    ভান চেন কুন পুরো ব্যাপারটা না-বুঝলেও কিছুটা আন্দাজ করতে পারলেন; বললেন: " বেশ, তা হলে চলো।" যেমন ছিলেন সেইভাবেই তিনি জেলা প্রধানের দফতরের দিকে চললেন, তাঁর সঙ্গে থাকলো দুই পেয়াদা।

    চলতে চলতে পথে একটা ওষুধের দোকান পড়লো। ভান চেন কুন দোকানে ঢুকে একটা বড়োসড়ো কাগজের ঠোঙা চেয়ে নিলেন। ঠোঙ্গাটা মাথায় চাপিয়ে তিনি সেটা তার কাঁধ পর্যন্ত নামিয়ে দিলেন। এতে তার পুরো মাথাটা ঠোঙ্গার মধ্যে থাকলো। শুধু দুচোখের সামনে তিনি দুটো ফুটো রাখলেন যাতে বাইরে দেখা যায়। তারপর পেয়াদা-দুটোর সঙ্গে তিনি জেলাপ্রধানের দফতরে গিয়ে হাজির হলেন। ঠোঙ্গা -ঢাকা অবস্থায়ই তিনি জেলাপ্রধানের সামনে হাটু-গেড়ে বসলেন। তার এই কিম্ভূত্কিমাকার রূপ দেখে জেলাপ্রধান খুবই অবাক হয়ে বললেন: "আপনার কী হয়েছে?" ভান চেন কুন বললেন:" আমার চাকর নাকি চুরি করেছে। তার মনিব হিসেবে আমার খুব লজ্জা লাগছে। তাই ঠোঙ্গাটা দিয়ে আমি মুখ লুকিয়ে রেখেছি।" জেলাপ্রধান তখন চোরকে জিজ্ঞেস করলেন: " ইতিই কি তোর মনিব?: চোর বললো: " জি হুজুর।" জেলাপ্রধান আবার জিজ্ঞেস করলেন: " তোর এই মনিবের বাড়িতে তুই কতোদিন ধরে কাজ করছিস?" চোর বললো: " পুরো তিন বছর হুজুর।" সঙ্গে সঙ্গে ভান চেন কুন চোরের মুখের কথাটা প্রায় কেড়ে নিয়ে বললেন: " ভান চেন কুনকে কে-আর চেনে?" তবে আমার মুখের বসন্তের দাগের দরুন সবাই আমাকে ভান তা মা জি আমার অমামানে যারু মুখে বসন্তের দাগ। তুই তো আমার বাড়িতে তিন বছর ধরে আছিস, বলতো আমার মুখে বসন্তের দাগ বেশী না কম? গভীর দাগ না হাল্কা ধরণের দাগ?" প্রশ্ন শুনে চোরের মুখ শুকিয়ে গেল। কিছুক্ষণভেবে সে আমতা আমতা করে বললো: " আপনার মুখ বসন্তের দাগে ভরা ঠিকই, তবে দাগগুলো খুব গভীরও নয় খুব হাল্কাও নয়।"