তিব্বত এখন শহর ও গ্রামাঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ চিকিত্সা সাহায্য ব্যবস্থা গঠনকাজ শুরু করেছে। তিব্বতের কৃষি ও পশু-পালন এলাকার অতি-দরিদ্র মানুষের ডাক্তার দেখা মুশকিল এই সমস্যার সমাধানে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে "তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কৃষি ও পশু-পালন এলাকার অতি-দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিত্সা ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়ার পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা" আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচলিত হবে। তা মানে তিব্বতের অতি দরিদ্র মানুষ দুটি "বীমা" পাবেন।
২০০১ সালের চতুর্থ তিব্বত -বিষয়ক সম্মেলনের পর, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থবরাদ্দে তিব্বতের কৃষক ও পশু-পালকদেরকে দেয়া চিকিত্সার ভর্তুকিমাথাপিছু ১৫ ইউয়ান থেকে বেড়ে ৩০ ইউয়ান হয়েছে। এরপর ৪০ ইউয়ান হয়েছে। চলতি বছর থেকে আবার ৪০ ইউয়ান থেকে বেড়ে ৮০ ইউয়ান হয়েছে, আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
তিব্বতে ব্যাপক প্রচলিত খরচ-মুক্ত চিকিত্সার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃষি ও পশুপালন এলাকার বিশেষ চিকিত্সা ব্যবস্থা কৃষক ও পশু-পালকদের চিকিত্সা ক্ষেত্রে অর্থিক বোঝা অনেক কমেছে। "তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কৃষি ও পশু-পালন এলাকার অতি-দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিত্সা ক্ষেত্রে সাহায্য দেয়ার পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা" তিব্বতের চলতি চিকিত্সা ব্যবস্থার একটি অনুপূরক।
তিব্বত স্বয়ত্তশাসিত অঞ্চলের বেসামরিক ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর সূত্রে জানা গেছে, যারা অতি দরিদ্র চিকিত্সা সহায়তা পেতে পারে তারা হলো: তিব্বতে কৃষি ও পশুপালন এলাকায় বসবারকারী এমন সব দুর্বল মানুষ যাদের খাদ্য, কাপড়, বাড়ি, চিকিত্সা ও সমাহিত করা পাঁচটি মৌলিক চাহিদা সরকারের সাহায্যে যুগিযে দেয়া হয় এবং যাদের শ্রমিশক্তি, আয় আর আত্মীয়স্বজননেই এমন বৃদ্ধবৃদ্ধা, অক্ষম মানুষ, ১৮ বয়সের নিচের যুবক-যুবকী এবং গুরুতর রোগে কিচিত্সার পয়না দিতে না পারে এমন মানুষ।
স্থানীয় চিকিত্সা ব্যবস্থা অনুযায়ী অসহায় মানুষের চিকিত্সার জন্য খরচ করতে হয় না, এবং সরকারের আর্থিক সাহায্য পায়। অন্য দুই রকমের অতি দরিদ অধিবাসীরা স্থানীয় চিকিত্সা ব্যবস্থা অনুযায়ী চিকিত্সা খরচের সমান টাকা পাওয়ার পর, যদি চিকিত্সা খরচ খুবই বেশী, যেমন ৩ হাজার ইউয়ানেরও বেশী হয়, তাহলে স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের চিকিত্সার সাহায্য দেবে।
চিকিত্সা সহায়তা তহবিল প্রধানতঃ কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া ভর্তুকি, স্থানীয় সরকারের আর্থিক বাজেটের নির্ধারিত অংশ এবং কৃষি ও পশুপালন এলাকার চিকিত্সা তহবিলের ৫ শতাংশ এই তিনটি উত্স থেকে আসে।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বেসরকারী ব্যুরোর দায়িত্বশীল ব্যক্তি মনে করেন, এই নীতির কল্যানে তিব্বতের বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী, অতি দরিদ্র মানুষের মৌলিক চিকিত্সার চাহিদা মেটানো হয়েছে। তাতে চিকিত্সা-পরিসেবার ব্যাপকতা ও সমতা প্রতিফলিত হয়। এই নীতি বাস্তবভাবে তিব্বতের কৃষক ও পশুপালকদের গুরুতর বৃহত রোগ চিকিত্সা এবং অতি দরিদ্র মানুষের মৌলিক ও জরুরী চিকিত্সার চাহিদা মেটানো এমন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরো বলেছেন, তিব্বতের শহরেও এমন অতি দরিদ্র মানুষ আছে, তাদের কাছে চিকিত্সা সহায়তাও খুব জরুরী। সরকার এই সমস্যার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে তিব্বতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের অতি দরিদ্র অধিবাসীদের চিকিত্সা সহায়তা প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে, অবিলম্বে তা প্রচলিত হবে।
|