প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদমদীঘির নিমাইদীঘি গ্রামের সারাক ইন্টারনেশন্যাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম আব্দুল রাজ্জাক
উঃ ওয়েন চিয়া পাও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থিয়েন চিন শহরে জন্মগ্রহণকরেন। ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন, ১৯৬৭ সালের সেপ্টম্বর মাসে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পেইচিং ভূ-তত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি চীনের ভূ-তাত্ত্বিক ও খনি মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যালয়ের প্রধান ও উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৩ সালের মার্চ মাস থেকে চীনের প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন।
ওয়েন চিয়া পাও অবিচলিতভাবে মূলনীতি অনুসরণকারী একজন ব্যক্তি। তিনি সংক্ষিপ্ত এবং বলিষ্ঠ ভাষা দিয়ে স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে অধিষ্ঠান এবং মূলনীতি ব্যাখ্যা করতে পারেন। তাঁর মূলনীতি অবলম্বন এবং অন্তরঙ্গ আচরণ সর্ব-সাধারণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
শিক্ষক পরিবারের সন্তান ওয়েন চিয়া পাও ছোট বেলা থেকেই চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি শিখেছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভাষণে তিনি প্রায়ই চীনের প্রাচীন কালের কবিতার উদ্ধৃতি দেন। তা থেকে দেশ এবং জাতির প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা এবং একান্তভাবে অবদান রাখার মর্ম বুঝা যায়। চীনের জনসাধারণের কাছে ওয়েন চিয়া পাওয়ের সবচেয়ে পরিচিত মূর্তি হচ্ছে তিনি জ্যাকেট এবং কেডস্ পরে গ্রাম বা দুর্গত এলাকায় গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে আলাপ করেন। তাই চীনারা তাঁকে আদর করে ডাকেন "নিরীহ নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী"। চীনের কেন্দ্রীয় নেতার পদে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি চীনের ১৮০০টিরও বেশি জেলায় গিয়েছেন, তাঁর পদচিহ্ন চীনের উত্তর-দক্ষিণ সব দিকে রয়েছে। তিনি একবার বলেছেন যে, তাঁর ছোট বেলা যুদ্ধের গোলমালে কেটেছে, যুদ্ধের আগুণ তাঁর পুরো বাড়ি ধ্বংস করেছে। পুরোনো চীনের কষ্টকর দৃশ্য তাঁর কচি মনে অমোচনীয় ছাপ ফেলেছে। তারপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্তাতক হওয়ার পর একটানা ২৫ বছর ধরে ভূ-তত্ত্ববিষয়ে কাজ করেন। তখনকার অধিকাংশ সময় অত্যন্ত কঠোর এবং জঘন্য পরিবেশে কেটেছেন। তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে জানি জীবনযাত্রার কষ্ট, এবং দেশের নির্মানকাজের কষ্টও ভালো জানি।
এক জন চীনা নাগরিক হিসেবে আমি সত্যি বলি, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এক জন অত্যন্ত মায়াবান প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। তাঁর প্রচেষ্টায় আমরা দিনে দিনে দেশের পরিবর্তন উপভোগ করতে পারি।
|