যাদের কোমরের পরিধি এক মিটার (প্রায় ৩৯ দশমিক পাঁচ ইঞ্চি) বা তার চেয়ে বেশি , তারা মারাত্মক রকমের ইনসুলিন প্রতিরোধক ঝুঁকির ভেতর রয়েছেন। আর এই ইনসুলিন প্রতিরোধক ঝুঁকি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের প্রার্থমিক স্টেজ।
সম্প্রতি অনলাইনে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। স্বতন্ত্রভাবে ইনসুলিনের প্রতিরোধক সম্পর্কে আগাম কোন সহজ পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য পুরুষদের কোমরের পরিধি ১০২ সেন্টিমিটার (প্রায় ৪০ইঞ্চি) এবং মহিলাদের বেলায় ৮৮ সেন্টিমিটার (প্রায় ৩৪ দশমিক পাঁচ ইঞ্চি পর্যন্ত গাইড লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শরীরের আকার আয়তন হিসাবে কোমরের এর নির্ধারিত পরিধির তারতম্য হতে পারে।
সুইডেনের একদল গবেষক ইনসুলিনের সংবেদনশীলতার আগাম পূর্বাভাস দেওয়ার লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন দেহাকৃতি ও তার জৈব নির্দেশকের সামর্থ নিরুপণের চেষ্টা চালায়। ১৮ বছর থেকে ৭২ বছর বয়সের ২ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষ ও মহিলা নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কোমরের পরিধি ৬৫ সেমি থেকে ১৫০ সেমি (প্রায় ২৫ দশমিক পাঁচ ইঞ্চি থেকে ৫৯ ইঞ্চি )পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়। এদের সবাই উচ্চতা, ওজন কোমর ও হিপের পরিধির পরিমাপ করা হয় এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা নিরূপণের জন্য ব্লাড স্যাম্পেল নেওয়া হয়। সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা নিরূপণের জন্য কোমরের পরিধি স্বতন্ত্রভাবে একটি শক্তিশালী আগাম নির্দেশক হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে অবশ্য শারীরিক ওজন অনুযায়ী কোমর ও হিপের অনুপাত ছাড়াও শরীরের টোটাল ফ্যাটের কথাও বিবেচনা করতে হবে। তবে দেখা গেছে নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যাদের কোমরের পরিধি ১০০ সেন্টিমিটার (প্রায় ৩৯ ইঞ্চি) থেকে কম তাদের ইনসুলিন প্রতিরোধক ঝুঁকি তেমন একটা নেই। ইনসুলিন প্রতিরোধক ঝুঁকি তথা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে সুঠাম দেহের সঙ্গে সঙ্গে কোমরের পরিধি ঠিক রাখা একান্ত জরুরি ।
---ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম, দৈনিক ইত্তেফাক
|