v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-07-15 20:45:05    
ছুংছিং শহরের কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক

cri
    প্রতি মাসে মাত্র ৩ ইউয়ান খরচ করলে ছুংছিং শহরের কৃষকেরা তাদের বাড়ির টিলিফোনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক বা নীতিপ্রাপ্ত তথ্যএবং বৃহত প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার পূর্বাভাষ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যায়। ছুংছিং শহরে চলতি বছর প্রচলিত "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক" ব্যাপক কৃষকদের আন্তরিক স্বাগতম পেয়েছে।

    চীনের কেন্দ্রশাসিত মহানগরের মধ্যে ছুংছিং শহরের কৃষক সবচেয়ে বেশি। কৃষি ক্ষেত্রে প্রধানতঃ ক্ষুদ্র-কৃষি অর্থনীতি । গত কয়েক বছরে, ছুংছিং শহরের টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ও সরকারি সহযোগিতা চালিয়ে "কৃষি তথ্য স্টেশন" চালু করেছে। এরপর ছুংছিং শহরের কৃষি প্রযুক্তি স্টেশন মিলিতভাবে "কৃষি প্রযুক্তি১১০" হটলাইন খুলে মানব পরিসেবা যুগিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু "কৃষি তথ্য স্টেশন"-এর তথ্য আধুনিক করার অগ্রগতিধার, "কৃষি প্রযুক্তি ১১০" কৃষি প্রযুক্তি স্টেশনের কর্মকর্তাদের কর্ম সময় সীমা, কৃষকদের সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায়, এই দুটি পরিসেবার ভূমিকা কমে গেছে।

    এইসব অভিজ্ঞতা একত্রিত করে, ছুংছিং শহরের টেলিযোগাযোগ ও কৃষি ব্যুরো একসঙ্গে চলতি বছরের বসন্তকালীন চাষের সময়ে "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক" প্রবর্তণ করেছে। এই ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কৃষি নীতি, কৃষি উত্পাদন প্রযুক্তি, বাজার ও গ্রামীণ জীবনযাত্রা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্র। এর মধ্যে একটি "উত্তর দেওয়া" অনুষ্ঠান। তার মাধ্যমে কৃষকেরা চাষের প্রক্রিয়ার প্রশ্নগুলো ব্যক্ত করতে পারে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আগে "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক" অবিলম্বে টিলিফোনের মাধ্যমে পূর্বাভাষটি ব্যবহারকারী কৃষকদের জানায়। খরচও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগের পরিসেবাগুলোর জন্য প্রতি মাসে এক'শরও বেশি টাকা দিতে হতো। এখন "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক"-এর ব্যবহারকারী প্রতি মাসে শুধু তিন ইউয়ান দিয়ে থাকে।

    ছুং ছিং শহরের কৃষি ব্যুরো "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক"-এর জন্য কৃষিবিষয়ক বিশেষজ্ঞগ্রুপ গঠন করেছে। তাতে প্রচার তথ্যগুলো প্রতিদিন আধুনিক করা যায় এবং কৃষকদের প্রশ্নগুলো ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দেওয়া যায়।

    জানা গেছে, "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক" শুরু হওয়ার পর, প্রতিদিন প্রায় ১৮টি তথ্য প্রচার হয়। একদিনে ৬০টিরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে, এবং প্রশ্ন বাড়ানোর প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে, ইন্টারনেটের অভাব রয়েছে গ্রামাঞ্চলে। "কৃষি প্রচার নেটওয়ার্ক" একটি খুব ভালো দরিদ্র্য-বিমোচন পদ্ধতি।