হোপেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে, হোপেই প্রদেশের "প্রত্যেক গ্রামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র" পরিকল্পনার প্রথম কিস্তির ২০১জন "কৃষক -ছাত্রছাত্রী" সম্প্রতি সবাই পড়াশোনা শেষ করে যার যার জন্মভূমিতে ফিরে নিজের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে সুবিশাল গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রস্তুতি নিয়েছে।
গ্রামাঞ্চলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিভাবান মানুষ অভাবের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য, ২০০৩ সালে হোপেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে সর্বপ্রথমে "প্রত্যেক গ্রামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র"পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে যে সব ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার শেষে গ্রামাঞ্চলে ফিরে কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে ভর্তি করেছে। তাতে ২০১জন কৃষক প্রথম কিস্তির ছাত্রছাত্রী হয়েছে। তাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান দুর্বল বলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা তৈরী করে তাদেরকে স্থিতিশীলভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ দিয়েছে। এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইচ্ছা বা তাদের অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ করে তাদেরকে আলাদা প্রযুক্তিগত সাহায্য দিয়েছে।
হোপেই প্রদেশের প্রথম কিস্তির কৃষক-ছাত্রছাত্রীদের বয়স ভিন্ন, কেউ মধ্যবয়স্ক, কেউ ১৮ বা ১৯ বছর বয়সের যুবক। দু'বছরের শিক্ষামেয়াদে তারা সমস্যা মোকাবেলা করে কঠোর প্রয়াস চালিয়েছে। আনশিন জেলার দামাজুয়াং গ্রামের মা জিয়ে নিজেই গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির শাখার উপ-সম্পাদক। তিনি শুধু পড়াশোনা করেন তা নয়, বরং তাঁকে গ্রামের ব্যাপারগুলোও বিবেচনা করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স শিখেছেন বলে গ্রামে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েও ইন্টার্নেটের মাধ্যমে তার গ্রামের ব্যাপারাদি পরিচালনা বা নিষ্মত্তি করতে পেরেছেন।
সম্প্রতি হোপেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই ২০১জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। "প্রত্যেক গ্রামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র" পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা আপাতত যার যার জন্মভূমি অঞ্চলে ৫ বছর কাজ করতে হবে।
|