জো জেনহাই উত্তরপূর্ব চীনের ছিছি হার শহরের মেইলিস এলাকায় "কৃত্রিম সাগরের "পানিতে দক্ষিণ আমেরিকার সাদা বাগদা-চিংড়ি চাষ করে যে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছেন, তার প্রশংসাস্থানীয় লোকের সবার মুখেমুখে।
২০০২ সালে, দক্ষীণ চীনের কুয়াংচৌ শহরে জো জেনহাই রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। পক্ষান্তরে তাঁর ছোটভাই ইতিমধ্যেই ধনী ব্যবসায়ী হয়েছেন। তিনি ভাইকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাঁদের জন্মভূমি ছিছিহার শহরের উপকন্ঠে "কৃত্রিম সাগর "তৈরি করে সাদা বাগদা-চিংড়ি চাষ করার প্রকল্পে তাঁর ভাই পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারেন কি না। তাঁর ভাই পুঁজি বিনিয়োগ করতে অস্বীকার করলেন।
কিন্তু জো জেনহাই নিরাশ হয়ে পড়েন নি। দুই মাস ধরে তিনি হাইনান প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার বাগদা-চিংড়ি চাষ খামার এবং রাষ্ট্রীয় পানিসম্পদ গবেষণালয়ে গিয়ে তদন্ত করেছেন। যখন তিনি প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে তাঁর ছোটভাইয়ের সামনে বসলেন, তখন বড়ভাইয়ের এই অধ্যবসায়ী মর্মতেজে ছোটভাই মুগ্ধ হলেন। ছোটভাই ৮৬ লক্ষ ইউয়ান পুঁজি বিনিয়োগ করতে রাজি হলেন। উত্তরপূর্ব চীনের ঠান্ডা এলাকায় "কৃত্রিম সাগরের" পানিতে চিংড়ি চাষ করার প্রথম খামার স্থাপন করার প্রকল্পে জো জেনহাইকে সমর্থন করলেন।
বাগদা-চিংড়ি চাষ করার জন্য জো জেনহাই ছয় মাসের মধ্যে একদিনও ভাল করে ঘুমাতে পারেন নি। তিনি দিনরাত শুধু তাঁর চিংড়ি খামারেই খাওয়া -দাওয়া করেছেন এবং খামারের যত্ন নিয়েছেন। রাতে তিনি "সাগরের পানির "গুণগত মান পরিবর্তন এবং চিংড়ি চাষ সংক্রান্ত বইগুলো পড়েছেন দিনে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। অবশেষে জো জেনহাই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন। ২০০৩ সালে চীনের সবুজ খাদ্য মেলায় অনেক বিদেশী ব্যবসায়ী তাঁর বিস্ময়কর সাফল্য দেখে আশ্চর্য হলেন।
খামার বাড়ানোর পর, প্রতিবছরে এক লক্ষ কেজি চিংড়ি উত্পাদিত হয়। তাতে ছিছিহার শহরের ব্যাপক জনগণের চাহিদা মেটানোর পরও সারা প্রদেশে ও আশেপাশের এলাকায় বাজারে চিংড়ির চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে। এটা খুবই চমত্কার।
|