মিয়াও ছাংছিং হচ্ছেন সুনক খামারের ডাপিংথাই উন্নয়ন এলাকায় এক সাধারন পাটি -সদস্য ।১৯৯০ সালে, তিনি এখানে এসে যথাক্রমে জমি চাষ করেছেন এবং গরু পালন আর কাঁকড়াবিছা চাষ করেছেন। কিন্তু তেমন কিছু উপার্জন করতে পারেন নি।
"ধনী যদি হতে চান, বেশী করে ভেষজ গাছ লাগান" এই শ্লোগানে উদ্দীপ্ত হয়ে তিনি ২০০১ সালে বহু ক্ষেত্রে পরিদর্শন আর তদন্ত করে সুইহুয়া উত্তর ওষুধ সমিতি থেকে "শুই ফেইজী "এবং "বান লানকেন " আমদানি করেছেন এবং সেগুলো চাষ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই বছর আবহাওয়া খুবই শুষ্ক , তাই ফসল ভাল হয় নি। তবে তিনি নিরুত্সাহিত হয়ে পড়েন নি, ২০০২সালে তিনি অন্য দুজনের সঙ্গে মিলে "ছেহু", "হুয়াংছিন "ইত্যাদি দশাধিক ধরনের চীনা ঔষধী গাছগাছড়া এবং দুই রকম "মুসু"ঘাস চাষ করেছেন ।তিনি অনেক ভেষজ গাছগাছড়া চাষ করেছেন এবং লোকেরা তাঁকে "ওষুধের বাক্স" বলে থাকেন। শুই ফেইজীর একর-প্রতি উত্পাদন পরিমাণ ৯০০ কিলোগ্রামের বেশী , মুনাফা ২৭০০ ইউয়ান , এই জন্যে গ্রামবাসীরা সবাই তাঁকে বিশ্বাস করেছেন। ২০০৩ সালে, ৫৮জন কৃষক ৩০০ একর জমিতে শুই ফেইজী চাষ করেছেন, মিয়াও ছাংছিং পেইতাহুয়াং সমিতির সঙ্গে এই ভেষজ গাছ চাষ এবং ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, এবং প্রতি কিলোগ্রাম সাত ইউয়ান দামে শুই ফেইজী ক্রয় করার ব্যবস্থা করেছেন, এইভাবে কৃষকদের আয় ৩ লক্ষ ইউয়ানেরও বেশী বেড়েছে। এই দৃষ্টান্ত দেখে আরও অনেক লোক "শুই ফেইজী " চাষ করতে চাইলেন, ২০০৪ সালে ১০৫০ একর জমিতে শুই ফেইজী চাষ করা হয়েছে। যাদের ঝামেলা হয়েছে, মিয়াও ছাংছিং তাদেরকে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন, এবং প্রযুক্তি শিখিয়েছেন,তথ্য দিয়েছেন, এমন-কি দারিদ্রদের জন্য চাষ করার টাকাও দিয়েছেন। তাঁর সাহায্যে, সেখানকার অনেক দরিদ্রলোক ধনী হওয়ার পথে চলেছেন। এর মধ্যে প্রথম গ্রুপের লি জেওয়েন, দ্বিতীয় গ্রুপের হয়াং ফুকো দুজনই শুই ফেইজী চাষ করার মাধ্যমেই দারিদ্র্য-মুক্ত হয়েছেন। ২০০৪ সালে মিয়াও ছাংছিং ০.১৩ একর জমিতে "নিউবাংজী" চাষ করে আবার সাফল্য অর্জন করেছেন। সেবছরে তিনি ভেষজ গাছগাছড়া চাষ করার একটি দৃষ্টান্তমূলক ঘাঁটি স্থাপন করতে চান, এবং ব্যাপক কৃষকদের মধ্যে নিউবাংজি চাষ জনপ্রিয় করবেন, যাতে তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আরও বেশী লোক সচ্ছল জীবনের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারেন।
|