মুখের সৌন্দর্য অনেকখানিই নির্ভর করে দাঁতের রং-এর উপর। বলা যায়, ঝকঝকে উজ্জ্বল দাঁতের হাসি মুগ্ধ করে আমাদের। তাইতো সৌন্দর্যপ্রিয় সবাই চান দাঁত ঝকঝকে সুন্দর থাকুক। কিন্তু দাঁতের কতক রোগসহ অনাকাঙ্ক্ষিত সব দাগের কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আজকের লেখা তাদের নিয়েই।
দাঁতের বিবর্ণতার কারণঃ দাঁতের বিবর্ণতা দুইভাবে হতে পারেঃ
১। বাহ্যিক কারণঃ
* অতিরিক্ত মাত্রায় সিগারেট, বিড়ি, পান , চা, কফি, তামাক, সুপারী, গুল ইত্যাদি ব্যবহার।
* অতিরিক্ত আয়রন সম্বলিত টিউবওয়েলের পানি পান করা।
* সঠিক নিয়মে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করা।
* অনেকদিন যাবত্ একটানা মাউথওয়াশ ব্যবহার, কিছু ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
২। অন্তর্গত কারণঃ
* বংশগত কারণে।
* দাঁত যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গর্ভাবস্থায় মা যদি টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ সেবন করেন জন্ডিসের কারণে পিগমেন্ট যদি ডেন্টিনে প্রবেশ করে ১৩ বছরের কম বয়সী বাচ্চাকে টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ সেবন করালে।
* রুট ক্যানাল চিকিত্সা সঠিক পদ্ধতিতে না করলে।
* দাঁতের কিছু রোগের কারণে (অ্যামিলোজেনেসিস ইমপারফেক্টা, ডেন্টিনোজেনেসিস ইমপারফেক্টা ইত্যাদি) দাঁতের কিছু ফিলিং ম্যাটেরিয়ালের কারণে , যেমন সিলভার ও কপার অ্যামালগাম। এছাড়াও আরও কিছু সাধারণ কারণেও দাঁতের রং বিবর্ণ হতে পারে। যেমন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁতের রং বিনষ্ট হতে পারে, দাঁতের রুটের কিছু অংশ এক্সপোজ হলে, অতিমাত্রায় অ্যাবরেসিভযুক্ত দাঁতের মাজন ব্যবহার করলে।
বিবর্ণ দাঁতের চিকিত্সাঃ দাঁত বিবর্ণ হলে নিম্নলিখিত চিকিত্সা পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
* স্কেলিং এবং পলিশিং-এর মাধ্যমে দাঁতের রং ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
* স্টেইন রিমুভার দ্বারা দাঁতের হালকা রং উঠানো সম্ভব।
* গ্লাস আয়নোমার ফিলিং দ্বারা দাঁতের রং মিলিয়ে ফিলিং করা সম্ভব।
* রুট ক্যানাল করা দাঁত সিরামিক ক্যাপ লাগানো যেতে পারে।
* সর্বাধুনিক ব্লিচিং টেকনিকে দাঁতের কঠিন দাগও দূর করা সম্ভব।
---ডাঃ রাহুল মিত্র, দৈনিক উত্তেফাক
|