**১৯৫১ সালের ১০ জুলাই কোরিয়ায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রথম অধিবেশন আয়োজন
কোরিয়ার মাতৃভূমি রক্ষা যুদ্ধ হওয়ার পর ১৯৫০ সালের অক্টোবার থেকে ১৯৫১ সালের মে মাস পর্যন্ত কোরিয়া এবং চীনের বাহিনী ও জনগণ পাঁচটি লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করে মার্কিন ও রীহ্ বাহিনীকে ৩৮ অক্ষাংশ লাইনের ওই পারে তাড়িয়ে দেন। ১৯৫১ সালের জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই আলোচনা করে শান্তিপূর্ণরুপে কোরিয় সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ১০ জুলাই দু'পক্ষ কায়সোংয়ে আলোচনার আয়োজন করে। ২৬ তারিখে দু'পক্ষ বৈরি তত্পরতা বন্ধ করার মৌলিক শর্ত স্বাক্ষর করেছে, দু'পক্ষের সামরিক বিভক্তি লাইন এবং বেসামরিক অঞ্চল নির্ধারণ করেছে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, যুদ্ধ-বন্দীকে প্রত্যর্পন করা প্রভৃতি সুনির্দিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা কায়সোংয়ে ২৬ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে, পানমুনজমে ১৩৩ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
**১৯৭৩ সালের ১০ জুলাই বাহামার স্বাধীনতা
বাহামা এর পুরো নাম বাহামা রাষ্ট্র, পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তর দিকে অবস্থিত, মার্কিন ফ্লোরিডা রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব উপকুলের বিপক্ষে, কিউবার উত্তর-পূর্ব দিকে। আয়তন ১৩৯৩৯ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৪ হাজার (২০০১), এর মধ্যে নিগ্লো আছেন ৮০ ভাগেরও বেশি, অন্য নাগরিক হচ্ছেন ব্রিটিশ, কান্যাডা এবং মার্কিন শ্বেতাঙ্গদের বংশোদ্ভুত । সরকারী ভাষা ইংরেজী। অধিকাংশ অধিবাসী খৃষ্টান ধর্মাবল্বী। রাজধানী নাসৌও। পুরো দেশ ৭ শতাধিক দ্বীপ নিয়ে গঠিত। প্রধান শক্তি সম্পদ হচ্ছে প্রেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস। তার সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ মত্স্য স্থানের অন্যতম। বাহামা হচ্ছে ক্যারিবিয় অঞ্চলের সর্বাধিক ধনী দেশের অন্যতম। পর্যটন এবং আর্থিক শিল্প হচ্ছে তার জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপুর্ণ বিভাগ। প্রধান রপ্তানী পণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্তআছে তেলজাত দ্রব্য, মাছ, ঔষধ, মদ, লবন, সিমেন্ট। প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে খাদ্য, কাপড়, ধান, গাড়ি, স্থাপত্য সামগ্রি। বাহামার বিমান ও নৌ পরিবহন উন্নত। ১৭৮৩ সালে ব্রিটেন আর স্পেন "ভার্সেইলেস শান্তি চুক্তি" স্বাক্ষর করে, আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ব্রিটেনের অধীনস্থ স্থান বলে স্থির করে। ১৯৬৪ সালের ৭ জানুয়ারী স্বশাসন বাস্তবায়িত হয়। ১৯৭৩ সালের ১০ জুলাই স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। বাহামা হচ্ছে বৃটিশ কমনওয়েলথের সদস্য দেশ।
**১৯৪৭ সালের ১০ জুলাই ব্রিটেন জিন্নাকে ব্রিটিশ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গভর্ণর নিয়োগ করে
মোহাম্মদ আলি জিন্নাকে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের গভর্ণর হওয়ার খবরটি আনন্দের সাথে দ্রুতই নয়াদিল্লীতে ছড়িয়েছে, তা সেখানে প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে পৌঁছেছে। তবে এই খবরটি কেবল ১০ লক্ষ মুসলিম অঞ্চলের গভর্ণর হবেন জিন্নাহর কাছে খুবই বিস্ময়কর।
|