v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-07-06 16:57:26    
সুরের ভূবন

cri
  প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা এখন যে গান শুনলেন তাঁর গায়ক হচ্ছেন একজন অন্ধ মানুষ। তাঁর নাম হচ্ছে কাও চিফোং। তিনি চীনা অপেরা ইন্সটিটিউটের একজন ছাত্র। অতিসম্প্রতি তিনি পেইচিংয়ে একটি কন্সার্ট আয়োজন করেছেন। এই কন্সার্ট নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা এখন যে গান শুনছেন তা হচ্ছে কাও চিফোং শানসির লোকগীতি অনুযায়ী পুনর্গঠন করা একটি গান। গানটিতে সুন্দরের অনুসন্ধান এবং জীবনের প্রতি ভালোবাসা আশা আকাংক্ষা বর্ণনা করা হয়েছে।

    ৩১ বছর বয়েসী কাও চিফোং চীনের উত্তরাঞ্চলের শানসি গ্রামের একটি লোক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। ছয় বছর বয়সে তিনি রোগাক্রন্ড হয়ে অন্ধ হয়ে যান। ৯ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবার কাছে চীনের জাতীয় সঙ্গীতের বিন্যাস শিখতে শুরু করেছেন। এর পরের প্রায় দশ বছরে তিনি সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়ে জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে শিল্পীর পথ অনুসন্ধান করেন। পরে আমরা একসঙ্গে তাঁর গাওয়া এবং রচনা করা " আকাশের সব তারা তোমার জন্য"নামে একটি গান উপভোগ করবো। ১৯৯২ সালে কাও চিফোং একাএকা বাড়ি ত্যাগ করে শানসি প্রদেশের রাজধানী থাইইউয়েনে আসেন। সেখানে তিনি থাইইউয়েন অন্ধ ছাত্রছাত্রী স্কুলে লেখাপড়া করেন। সেখানে তিনি তার মায়ের মতো শিক্ষক সুন চিনইয়েনের সঙ্গে সাক্ষত করেন। মাদ্যাম সুন চিনইয়েন তাঁর প্রতিভা আবিষ্কার করেন। মাদ্যাম সুনের উত্সাহে কাও চিফোং ১৯৯৪ সাল থেকে গান রচনা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি তাঁর কয়েকশ গানের গীতি করেছেন এবং বহুবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছেন। "আকাশের সব তারা তোমার জন্য" নামক গান কাও চিফোং ১৯৯৭ সালে রচনা করেন। গানটি সারা দেশের দ্বিতীয় অন্ধ ও বধির ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে প্রথম অবস্থান অর্জন করে।

    ২০০০ সালে সমাজের বিভিন্ন মহলের সাহায্যে কাও চিফোং চীনের অপেরা ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করেন । তিনি হচ্ছেন এই ইন্সটিটিউটের প্রথম অন্ধ ছাত্র। চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে তাঁর সঙ্গীতত্ত্ব এবং শিল্পী প্রতিভা দিন দিন বিকশিত হয়েছে। অন্ধ সঙ্গীতজ্ঞ হওয়া হচ্ছে কাও চিফোংয়ের সুন্দর আকাংক্ষা। বহু বছর ধরে তিনি সাহসের সঙ্গে জীবনের প্রতিকুলতা অতিক্রম করে চলেছেন। সঙ্গীত ও জীবনের প্রতি তিনি তাঁর ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়ের সুর খুঁজে বের করেন। তাঁর গানে দীর্ঘশ্বাস কিংবা বেদনা নেই, আছে শুভবাদ ও আশার আলো। এখন আমরা একসঙ্গে "জীবনকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাবো"নামে গানটি শুনবো। গানের কথা হলো:

    কার দোষ, কেন আমার জীবন এতো বেশি কঠিন হলো,

    এতো বেদনা, এতো দুঃখ-কষ্ট, তার কি দরকার?

    কার দোষ জিজ্ঞাসা করি না আমি, আমি অতিক্রম করে যেতে চাই সব পথ।

    তোমরা জীবনে অবশ্যই উল্লাস শুনতে পারে। এখন গানটি শোনা যাক।

    কন্সার্টে কাও চিফোং তাঁর সঙ্গীত দিয়ে তার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। তারঁ চমত্কার পরিবেশনায় গভীরভাবে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন । সঙ্গীত শেষে হাততালি যেন শেষ হয় না আর।

    আচ্ছা, আজকের অনুষ্ঠান শেষ করার আগে শ্রোতাবন্ধুরা, চলুন আমরা "দেবদূত" নামে একটি গান শুনবো। গানে কাও চিফোং কবিতার মতো মনোহর কথা দিয়ে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।