v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-07-05 20:40:08    
না ইং

cri

    না ইং চীনের একজন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী । তিনি ছোট বেলা থেকেই গান গাইতে পছন্দ করেন। তার গলা খুব ভালো, কিন্তু কার ডাক্তার বাবা মেয়ের পেশাদার গায়িকা হওয়ার জন্য গান শিখার অনুরোধে রাজী হন নি। পনেরো বছর আগে না-ইংয়ের বয়স যখন একুশ বছর, তিনি তার জন্মস্থান উওরপুর্ব চীনের সেনইয়াং শহর ছেড়ে,পেইচিংয়ে আসেন।

    সেই সময় চীনের গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে যারা আধুনিক গান করেন,তাদের বেশীর ভাগই হংকং ও তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পীদের গানের শৈলী অনুকরণ করেন। তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পী সু রুইয়ের গাওয়া খালি মদের বোতল বিক্রি নামে একটি গান না ইং খুব ভালো অনুকরণ করেন। এই গান না ইং চীনের অনেক জায়গায় গেয়েছেন এবং শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তখন থেকে চীনের অনেক সংগীত অনুরাগী কন্ঠিশল্পী না ইংয়ের নাম জানতে শুরু করেন। চীনের বিখ্যাত সুরকার ও গীতিকার মাদাম কু চিয়েন ফেন না ইংয়ের খোলা মনের চরিত্র ও তার মিষ্টি কন্ঠস্বর পছন্দ করেন,মাদাম কু চিয়ান ফেন বলেছেন,না ইং ফর্সা নন,তাকে সুন্দরীও বলা যায় না,একটু মোটা।পেইচিংয়ে আসার পর প্রথম কয়েক বছরে তিনি না ইংকে অনেক সাহায্য করেছেন ।

    এই মাত্র আপনারা চীনের একটি সিরিজ নাটকে না ইংয়ের গাওয়া একটি গান শুনেছেন।নদী ও পর্বত নামক এই আবেগময় গান ব্যাপক দর্শককে মুগ্ধ করেছে। তার কন্ঠস্বর উদাত্ত,গম্ভীর ও আবেগময় ,কাজেই নদী ও পর্বত গানটি না ইংয়ের বৈশিষ্ট্যময় শৈলীর প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে।আশির দশকের শেষ দিক ও নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে আধুনিক গানের গায়কগায়িকাদের জনপ্রিয় হওয়ার সবচেয়ে দ্রুত পথ ছিলো,সিরিজ নাটকে গান গাওয়া। নদী ও পর্বত নামক সিরিজ নাটকের গান গেয়েছেন ।তবে তার গানের শৈলী পুরোপুরি ভাবে অন্যেয় অনুকরণ থেকে আস্ত আস্তে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদাও ও গম্ভীর হয়েছে। তখন থেকে না ইং চীনের ব্যাপক সংগীত অনুরাগীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হতে শুরু করেন।

    গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে তাইওয়ানের একটি সংগীত কোম্পানি না ইংয়ের বৈশিষ্ট্যময় শৈলী ও তার বিরাট অন্তর্নিহিত শক্তির প্রশংসা করে। এই কোম্পানি না ইংয়ের সংগে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ১৯৯৩ সালে না ইং এই কোম্পানির সংগে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং তোমার জন্য চিন্তিত নামে একটি গান রেকর্ড করেছেন। এই কোম্পানি তাইও

    য়ানের শ্রোতা ও দর্শকদের চাহিদা অনুসারে না ইংয়ের গানের শৈলী ও তার বেশভুষা পরিবর্তন করেছে।কিন্তু না ইংয়ের অনুরাগীরা তার নতুন শৈলী ও অবয়ব পছন্দ করেন না। না ইং নিজেও অভ্যস্ত নন,কারন গানের শৈলী পরিবর্তন করা সহজসাধ্য নয়।চীনের মূল ভুভাগের গায়কগায়িকার মধ্যে না ইং সবচেয়ে আগে হংকং ও তাইওয়ানের সংগীত কোম্পানির সংগে চুক্তি করেছেন,তবে এই ধরনের সহযোগিতা না ইংয়ের উন্নতিতে সহায়ক নয়,এ সম্পর্কে না ইং বলেছেন,

    সেই সময় আমার মন ভালো ছিল না। আমি সুন্দরী মেয়ে নই,ব্যাপক গান অনুরাগী আমার গানের শৈলী ও বেশভুষা পছন্দ করছেন না,আমি কি নিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারি? আমি শুধু আমার আবেগময় গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করতে পারি,এই ধরনের বিব্রত অবস্থা প্রায় দুতিন বছর স্থায়ী ছিল।

    বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে পৃথিবীর পাঁচটি সংগীত কোম্পানিই চীনের মূল ভুভাগের বাজারে প্রবেশ করে। ১৯৯৭ সালে না ইং এই পাঁচটি সংগীত কোম্পানির অন্যতমো এমি সংগীত জোম্পানির সংগে চুক্তি স্বাক্ষর করেন,এটা না ইংয়ের পক্ষে এক সুবর্ণ সুযোগ । এমি কোম্পানিতে অংশ নেয়ার পর না ইং মনোযোগের সংগে গান করেন,কার গানের সি ডি চীনের মূল ভুভাগ, হংকং ও তাইওয়ানে একই সময় বের হয় ,তার গানের অনুরাগীরা স্পস্টভাবে তার অগ্রগতি অনুভব করতে পারেন। একই সময় না ইং গানের কথা রচনা করতে শুরুউই করেন।তার লেখা যত কষ্টই হোক না কেন নামে একটি গানে তার প্রেমিক ,চীনের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় কাও ফোংয়ের সংগে তার প্রেমের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।তার লেখা কষ্টকর রোমাটিক নামক একটি গান তাইওয়ানের শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার পেয়েছে।

    এই কোম্পানির সমর্থন ও সাহায্যে না ইং শুধু নতুন সি ডি বের করেন নি, হংকংয়ে তার একক সংগীত অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন।বিজয়,কষ্টকর রোমান্টিক ও আমি দেবদূত নই নামক না ইংয়ের গানের সি ডিগুলোর বিক্রি সংখ্যা স্থতিশীলভাবে বাড়ছে। তিনি হংকং ,সাংহাই ও তার জন্মস্থান সেনইয়াংয়ে সাফল্যের সংগে একক সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।

    অনেক শ্রোতা ও দর্শক না ইংয়ের গাওয়া বিজয় নামক সি ডি পছন্দ করেন।এই সিডিতে তার দশ বারো বছরের অভিজ্ঞতা ও মনের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। তার গানের অনুরাগীরা মন্তব্য করে বলেছেন,না ইং আগের চেয়ে পরিপক্ক হয়েছেন,তিনি ইতিমধ্যে মহানগরের মেয়েতে পরিনত হয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে না ইং আবেগের সংগে বলেছেন,

    এই দশ বারো বছরে আমার প্রধান পরিবর্তন হচ্ছে আমি জীবনের অনেক অবিজ্ঞতা পেয়েছি,আমার কাছে এগুলো সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমি আমার গানে নিজের অভিজ্ঞতা ও মমতা মিশ্রিত করেছি। যেমন তার গাওয়া যত কষ্টই হোক না কেন ও স্বপ্ন ভাঙা ইত্যাদি গানে তার তখনকার মনের হতাশা ও বিব্রত মন প্রতিফলিত হয়েছে,তার গাওয়া আজকাল ও তোমাকে ভালোবাসার মানে নিঃসঙ্গকে ভালোবাসা নামক গানে তার বৈশিষ্ট্যময় কন্ঠস্বর দিয়ে প্রেমের গভীরতমো স্তরের 

    যস্ত্রনা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন,এই গান শ্রোতাদের মনে প্রবল সহানুভুতি সৃষ্টি করেছে।