v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-07-05 19:08:25    
চীনের বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পান চিয়েন ওয়ে

cri
    চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পান চিয়েন ওয়ে। তিনি ১৫তম চীনের সেরা দশজন সুবিদিত তরুণের মধ্যে অন্যতম খেতাব অর্জন করেছেন।

    পান চিয়েন ওয়ে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পিএইচডি অধ্যায়ণরত ছাত্রদের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইয়াংজে নদী বিভাগের গবেষক। তিনি কোয়ান্টম তথ্য ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জন করায় ১৫তম চীনের দশজন সেরা তরুণের অন্যতম নির্বাচিত হন।

    পান চিয়েন ওয়ে ১৯৭০ সালে জে জিয়াং প্রদেশের তোং ইয়াং শহরে জম্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী লাভ করার পর, তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে অষ্ট্রিয়ায় গিয়ে ইন্সব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর ডিগ্রী অধ্যায়ন করেন। তারপর তিনি সরাসরি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নির্বাচিত হন।

    দেশের প্রতি ভালোবাসা ও বিজ্ঞানের বিবিসমত ব্যবহারে জীবন উত্সর্গ করা হলো চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। চিয়েন সুয়ে সেন, ইয়ে জি ছি , কুও ইয়োং হুয়াই প্রমুখ বিজ্ঞানী দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার ফলে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দেশে ফিরে এসেছেন। পান চিয়েন ওয়ে তাঁর বয়োজ্যেষ্ঠদের মতো চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। যদিও বিদেশের অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, কিন্তু তিনি বলেছেন, আমি চীনে কাজ করবো এবং আমি চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    পান চিয়েন ওয়ে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ান্টম পদার্থ বিদ্যা আর কোয়ান্টম তথ্য পরীক্ষাগার স্থাপন করেছেন। এই পরীক্ষাগারে প্রস্তুত মাইক্রোস্কেলে বস্তুগত বিজ্ঞান জাতীয় পরীক্ষাগারের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়। ১৯৯৭ সালে পর, তিনি পৃথিবীতে কোয়ান্টম যোগাযোগের গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন। তিনি কোয়ান্টম তথ্য তত্ত্ব ও কোয়ান্টম ভিত্তিক গবেষণা ক্ষেত্রে চমত্কার এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৯৮ সালে তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ আইনস্টাইন ইত্যাদি ২১জন বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের গবেষণামূলক প্রবন্ধের সঙ্গে নেইচ্যার ভান্ডারের পদার্থবিদ্যার একশো বছরের সর্বোত্কৃষ্ট রচনায় পরিণত হয়।

    অধ্যাপক পান চিয়েন ওয়ে তাঁর গবেষণা সাফল্য আলাদা আলাদাভাবে ১৯৯৭ সালে, ১৯৯৯ সালে বিশ্ব পদার্থবিদ্যা দশটি উন্নয়ন, ১৯৯৮ সালে পৃথিবীতে দশটি প্রযুক্তি উন্নয়ন , ২০০৩ সালে চীনের দশটি প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং ২০০৩ সালে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি প্রযুক্তি উন্নয়ন পদক অর্জন করেছে। ২০০৪ সালে তিনি অষ্ট্রিয়া বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট -এর এরিছ স্কমিড পদক অর্জন করেছেন। চলতি বছর তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মারিয়ে কুরিয়ে , হুমবোল্ট ফাউন্ডেশন আর জার্মানীর নেইচ্যার বিজ্ঞান তহবিল কমিটির নিটো পদক অর্জন করেছে।

    অধ্যাপক পান চিয়েন ওয়ে বলেছেন, আমি নিজের খুশিতে কাজ করছি, এসব কাজ আমার দেশ প্রয়োজনীয় এবং মানবজাতির উন্নয়নের জন্য কল্যাণ কর। এতে আমি গৌবর বোধ করি।

    চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপঅধ্যক্ষ হৌ চিয়েন কুও বলেছেন, নাইচ্যার ভান্ডারে ৩৪ বয়স কয়সের বছরের পান চিয়েন ওয়ে আটটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এটা খুবই আনন্দের। তিনি কেবল যে একজন সুবিদিত বিজ্ঞানী তা নয়, বরং তিনি একজন চমত্কার নেতা ও সাংগঠনিক মানুষ। তাঁর পরীক্ষাগারে প্রায় ৩০ বয়স বয়সের একগ্রুপ যুবক বিজ্ঞানী ও স্নাতকোত্তর আছে।

    চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জু ছিং বলেছেন, তিনি মনে করেন, অধ্যাপক পান চিয়েন ওয়ে একজন চমত্কার তরুণ ধীশক্তি সম্পন্ন গবেষক। তিনি অনেক ক্ষেত্রে চমত্কার সাফল্য অর্জন করেছেন এবং তাঁর প্রধান প্রধান গবেষণা চীনে সম্পন্ন করেছেন।