মাও ই সেন চীনের প্রসিদ্ধ সেতু নির্মান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ,শিক্ষাবিদ ও অমাজ-কর্মী। তাঁর ডিজাইনে নির্মত ছিয়ান থাং চিয়াং সেতু চীনের এমন একটি সেতু,যা চীনাদের নিজেদের ডিজাইনে নির্মিত রেল ও সড়কের জন্য ব্যবহৃত প্রথম সেতু। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি প্রথম আধুনিক সেতু উ হান ইয়াংশি নদী সেতুর নির্মানকাজেও যোগ দিয়েছিলেন ।
মাও ই সেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছিলেন। ডকটরেট ডিগ্রি পাওয়ার জন্য ছাঁচ কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের চাপ বহন ক্ষমতা দিরোনামে তিনি যে গবেষনা সন্দর্ভ রচনা করেছিলেন,তাকে মাও তত্ত্ব বলে অভিহিত করা হয়েছে। ১৯২১ সালে তিনি মাতৃভূমির কোলে ফিরে এসেছিলেন। তিরিশের দশকে ছিয়ান থাং চিয়াং সেতু প্রকল্প ও নির্মানকাজের ব্যাপারে মাও ই সেন যে প্রতিভা দেখি য়েছিলেন,বিদেশী বিশেষজ্ঞরাও তার উচ্চ ঘুল্যায়ন করেছেন। পঞ্চাশের দশকে উ হান ইয়াংশি নদী সেতু নির্মানকাচ চলার সময়ে মাও ই সেন চীন ও বিদেশের বিশ-বাইশজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে গাতি প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে এই কমিটি উ হান ইয়াংশি নদী সেতু নির্মানকাজের ১৪টি অমীমাংশিত সমস্যা সমাধান করেছে।১৯৫২ সালে চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে দশটি বৃহত্তর নির্মানপ্রকল্প-এর নির্মানকাজ চলার সময়ে মাও ই সেন মহা গণ ভবনের কাঠামো পরীক্ষা ও যাচাই কাজ বিষয়ক গ্রুপের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছিলেন। চীনের এই বিরাট ঐতিহাসিক নির্মানপ্রকল্পের জন্য তিনি নিজের প্রযুক্তি,অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধির স্বাক্ষর রেখেছিলেন। চীনের আধুনিককালে তিনি সেতু প্রকল্প ও নির্মানকাজ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠাতা।
একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে বিশ-বাইশ বছরের ও বেশি সময়ে মাও ই সেন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপবা ছিলেন এবং দুটো বিশ্ববিদ্যালয় আর দুটো ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তিনি সেতু ,চীনের খিলান সেতু প্রভৃতি বিপুলসংখ্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও শিক্ষার প্রজারমূলক পুস্তকও রচনা করেছিলেন।
|