১৯৮৫ সালের ৩০ জুন দীর্ঘকালীণ আর কঠোর বিমান ছিনতাই ঘটনা মধ্য প্রাচ্যে সমাপ্ত হয়। চরম পন্থী শিয়া সম্প্রদায়ীরা বৈরুতে ৩৯ জন মার্কিন পনবন্দীকে মুক্তি দেয়। এই বিমান ছিনতাই ঘটনায় নৌ বাহিনীর একজন ডুবুরী রোবটে সন্ত্রাববাদীদের হাতে খুন হন।
পনবন্দীর একজন মুখপাত্র সেবারকার বিমান ছিনতাই ঘটনায় ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে কয়েক বার বিতর্কিত আর প্রশংসনীয় বর্ণনা দেন। বিমান ছিনতাই নিয়ে আলোচনায় সিরিয়ার কর্মকর্তারা যে ভূমিকা পালন করেছেন তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি বললেন, " আমরা ভালভাবে জানি যে, তাদের সাহায্য আর সমর্থন ছাড়া, আমাদের জীবনের উপর তাদের যত্ন ছাড়া, আমরা বৈরুতে থাকতে পরতাম না। আমাদের নিয়তি কি রকম হতো বলা খুবই কঠিন।
যদিও ইজরাইল ৭০০ জন শিয়া সম্প্রদায় আর ফিলিস্তিনের প্রধান বন্দীকে মুক্তি দেওয়া দাবি পুরণ করে নি , তবু সিরিয়ার কতৃর্পক্ষ তাদেরকে পনবন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি করিয়ে দিলো। ইজরাইল বলল সেবারকার সংকটে যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে এভাবে করতে দাবি জানায় তাহলে তারা হয়তো সে সব বন্দীকে মুক্তি দেবে। তবে রোগান কতৃর্পক্ষ তা করতে প্রত্যাখ্যান করে ভাইস প্রেসিডেন্ট বুশ ফিরে আসা পনবন্দীদের সাক্ষাত করার সময় বললেন, " আপনারা ফিরে এসেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিন্দুমাত্র নিজস্ব মৌলিক নীতি ক্ষতি না করে আপনাদেরকে মুক্তি দিয়েছে।"
একটি সাক্ষাতকারে একজন পনবন্দী বললেন। অসহ্য ১৭ দিনে বিমান ছিতাইকারীরা তাদের উপর খারাপ ব্যবহার করেনি।
|