v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-06-28 16:24:46    
পশ্চিম এবং পূর্ব-হান রাজবংশদ্বয়ের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান

cri
    পশ্চিম এবং পূর্ব-হান রাজবংশদ্বয়ের আমলে চীনের সংস্কৃতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করে। ঐতিহাসিক গ্রন্থ প্রণয়নের ক্ষেত্রে সিমা ছিয়ান(খৃঃ পৃঃ ১৪৫-?) প্রণীত "ঐতিহাসিক বিবরণপঞ্জী"জীবনী রচনাতে একটি নূতন রীতি শুরু করে, এবং পান কু(৩২-৯২ খৃষ্টাব্দ) প্রণীত "হান রাজবংশের ইতিজাস" রাজবংশসমূহের কালক্রম অনুযায়ী ঐতিহাসিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করার রীতি শুরু করে। এই দু'টি রীতি পরবর্তী দু'হাজার বছরে চীনের প্রত্যেকটি রাজবংশের ইতিহাস রচনার আদর্শরূপে গৃহীত হয়। সাহিত্যের ক্ষেত্রে দু'জন যশস্বী ব্যক্তি যথা সিমা সিয়াংরু (খৃঃ পূঃ ১৮০-১১৮) এবং চাং হেং (৭৮-১৩৯ খৃষ্টাব্দ)-এর আবির্ভাব হয়। দর্শনের ক্ষেত্রে বস্তুবাদী দার্শনিক ওয়াং ছোং (২৭-?) সাহসিকতার সঙ্গে তত্কালীন রাজদরবারে প্রচলিত কুসংস্কারমূলক চিন্তার সমালোচনা এবং আক্রমণ করেন। হান রাজবংশের আমলে তৈরি পাথরের ওপর খোদাই-করা মানুষের মূর্তি, কবরস্থানে পাথরের খোদাই-কাজ এবং লাক্ষা-নির্মিত বস্তুর উপর চিত্রাঙ্কন শিল্পের ক্ষেত্রে চীনের উল্লেখযোগ্য অবদান। চাং হেং নামে একজন বৈজ্ঞানিক জলশক্তি চালিত জ্যোতিঃশাস্ত্রীয় যন্ত্র, ভূকম্পমান যন্ত্র এবং হাওয়ার গতি নির্ণয় যন্ত্র ইত্যাদি উদ্ভাবন করেন। চুম্বক-পাথরের দিকনির্ণয় করার গুণও পূর্ব-হান রাজবংশের প্রথমার্ধে আবিষ্কৃত হয়। এই সব উদ্ভাবন এবং আবিষ্কার পশ্চিম এবং পূর্ব-হান রাজবংশদ্বয়ের সময়পর্বে জ্যোতির্বিদ্যা এবং কাল-গণনা পদ্ধতির অগ্রগতির স্বাক্ষর বহন করে।

    ত্রিরাজ্যের আবির্ভাব থেকে পশ্চিম চিন কর্তৃক ঐক্যসাধন পর্যন্ত: হলুদ পাগড়ীদের বিরাট উত্থাপনের সময়ে ভূস্বামীরা তাদের নিজেদের সেনাবাহিনী সংগঠন করে। এই সশস্ত্র দলগুলো একদিকে পারস্পরিক সহযোগিতা করে কৃষকদের নিধন করত, আরেকদিকে প্রায়ই পারস্পরিক নিধনের যুদ্ধেও লিপ্ত থাকত। শেষ পর্যন্ত এঁদের মধ্যে তিনজন নেতা টিকে থাকতে যুদ্ধেও লিপ্ত থাকত। শেষ পর্যন্ত এঁদের মধ্যে তিনজন নেতা টিকে থাকতে পারেন, এবং তাঁরা হলেন তিনটি ভিন্ন রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। ছাও ছাও(১৫৫-২২০) পীতনদী উপত্যকা অধিকার করে ওয়েই রাজ্য (২২০-২৬৫) প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তার রাজধানী হয় লুওইয়াং, লিউ পেই(১৬১-২২৩) অধিকার করেন সুছুয়ান এবং প্রতিষ্ঠিত করেন শু রাজ্য(১৬২-২৫২)-এর অধিকারে আসে ইয়াংসি নদীর মধ্যে ও নিম্নভূমিখন্ড এবং তিনি প্রতিষ্ঠা করেন উ রাজ্য(২২২-২৮০), তার রাজধানী হয় নানচিং। সেজন্য চীনের ইতিহাসে ২২০ থেকে ২৮০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত সময় ত্রিরাজ্যের সময়পর্ব বলে আখ্যায়িত হয়। ২৮০ খৃষ্টাব্দে পশ্চিম চিন উ রাজ্যকে পরাজিত করলে এই সময়পর্বের সমাপ্তি ঘটে।

    পূর্ব-হান রাজবংশের শেসার্ধে সমরনায়কদের মধ্যে অবিরাম যুদ্ধের ফলে চীনা অর্থনীতি ও সংস্কৃতির লালন স্থান পীতনদী উপত্যকা চরম দুর্দশায় উপনীত হয়। একদা জনাকীর্ণ গ্রামসমূহ জনশূন্য পতিত জমিতে পরিণত হয়; এবং একদা সমৃদ্ধিশালী নগর ও শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। হাজার হাজার কৃষকদের ব্যাপকভাবে হত্যা করা হয় অথবা তাঁরা ক্ষুধা, ব্যাধি ও মহামারীতে মারা যান এবং জনসংখ্যা পশ্চিম এবং পূর্ব-হান রাজবংশদ্বয়ের সময়পর্বের চেয়ে অনেক হ্রাস পায়।