কোলোম্বিয়াঃ
৪ জুলাই হচ্ছে মধ্য আমেরিকান দেশ কোলোম্বিয়ার শিশু দিবস। এ দিনে সারা দেশের স্কুল নানা প্রাণবন্ত উদযাপনী তত্পরতা আয়োজন করে, শিশুরা নানান রকমের মুখোশ মুখে পরে রাস্তায় ভাঁড় অভিনয় করে আনন্দ বোধ করে।
ব্রাজিলঃ
ব্রাজিলের শিশু দিবস ১৫ আগস্ট। এই দিন ঠিক ব্রাজিলের "জাতীয় মহামারী প্রতিরোধ দিবস"। তাই এ দিনে বিভিন্ন অঞ্চলে ডাক্টাররা বিশেষ করে শিশুদের জন্য চিকিত্সা করেন, এবং পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য পক্ষাঘাত রোগের টিকা দেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্রাজিল সরকার শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর খুব গুরুত্ব দেয়। তা ছাড়া, ব্রাজিল ১২ অক্টোবর " গডেস এপিফ্যানি দিবসকেও" শিশু দিবস হিসেবে মনে করে। সেদিনেও নানা উদযাপনী তত্পরতা অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়াঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার শিশু দিবস হচ্ছে ৫ মে। প্রতি বছর শিশু দিবসের আগের দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার বাবা-মারা নিজের সন্তানের জন্য তাদের সবচেয়ে পছন্দনীয় উপহার প্রস্তুত করে রাখেন। বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটও নানান সেলস প্রমোশন্তত্পরতা আয়োজন করে।
যদিও বাবা-মার মনে শ্রেষ্ঠ উপহার সাধারণতঃ ব্যবহার্য জিনিসগুলো, যেমন বই, কাপড়চোপড়, খেলনা ইত্যাদি। কিছু সংশ্লিষ্ট জরীপ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সমাজের অগ্রগতি এবং উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিশু দিবসের উপহার হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার অধিক থেকে অধিকতর শিশুরা মোবাইল ফোন পছন্দ করে, এর পর যথাক্রমে খেলনা যন্ত্র, খেলনা, পোষা জন্তু, কম্পিউটার আর বই ইত্যাদি।
সুইডেনঃ
ইউরোপীয় দেশ সুইডেনও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শিশু দিবসকে ভাগ করে, যেমন প্রতি বছরের ৭ আগস্ট হচ্ছে বালক উত্সব, এর আরেক নাম হচ্ছে "গলদা-চিংড়ি উত্সব", এর অর্থ হচ্ছে সারা দেশের ছোট ছেলেদেরকে গলদা-চিংড়ির মতো সাহস শিখতে উত্সাহ দেয়া। এ দিনে ছেলেরা গলদা-চিংড়ির ভাব অভিনয় করে কিছু মজার মজার অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
সুইডেনের "বালিকা উত্সব" হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর, এর অন্য নাম হচ্ছে "লুসিয়া দেবী উত্সব"। লুসিয়া হলেন সুইডেনের কিংবদন্তীতে বিশেষ করে মেয়েদেরকে রক্ষা করার এক জন দেবী। প্রতি বছরে এই দিনে মেয়েরা নিজেকে দেবীর মতো সাজিয়ে অন্যান্য বাচ্চার জন্য কিছু কল্যাণমূলক কাজ করে।
রাশিয়াঃ
রাশিয়ার শিশু দিবস আর আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পুরোপুরি একই, ঠিক ১ জুন। এই দিনে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের বাচ্চারা আনন্দচিত্তে নিজের উত্সব লালন পালন করে, কিছু জাতীয় নাচ গান করেন। স্কুলেও উদযাপনী তত্পরতা অনুষ্ঠিত হয়।
|