v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-07-21 08:47:57    
ভিয়েনার কূটনৈতিক সম্পর্কের কনভেনশন

cri
    ১৯৬১ সালের ১৮ এপ্রিল ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কূটনৈতিক আদান-প্রদান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিনিধি সম্মেলনে ভিয়েনার কূটনৈতিক সম্পর্কের কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৫৪ সালের ২৪ এপ্রিল এ কনভেনশন কার্যকরী হয়।

    এই চুক্তির ৫৩টি ধারা রয়েছে। বিদেশে নিযুক্ত কূটনীতিবিদদের বেছে নেওয়া, গ্রহণ করা, স্তর বিন্যাস, বিশেষ অধিকার, দেশের অধিকার ও দায়িত্ব এতে নির্ধারিত হয়। এই ধারার মধ্যে প্রধানত রয়েছেঃ

(১) সংশ্লিষ্ট পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা এবং দূতাবাস স্থাপন করা ।

(২) দূতাবাসের দায়িত্ব হলো সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা, সে দেশ ও সে দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করা, যে দেশে কূটনৈতিক নিযুক্ত করা হয় সে দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যে দেশে নিযুক্ত করা হয় সে দেশের অবস্থা খতিয়ে দেখা, নিজ দেশের কাছে সরকারী রিপোর্ট দাখিল করা এবং নিজ দেশ ও গ্রহণকারী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা ইত্যাদি।

(৩) দূতাবাসে প্রধানত তিনটি পদ আছে, রাষ্ট্রদূত, মিনিস্টার এবং চার্জ দ্যা আফেয়ার্স। এ তিনটি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যে দেশে নিযুক্ত করা হয় সে দেশের অনুমোদন পেতে হয়।

(৪) দূতাবাস ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কূটনৈতিক অধিকার এবং নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। দূতাবাস ভবন এবং কূটনীতিবিদদের আক্রমণ করা যায় না। কূটনীতিবিদদের বাসস্থান আক্রমণ করা যায় না, তা সুরক্ষা করা হয়।

    এ চুক্তি স্বাক্ষরের সাথে সাথে আরও দুটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে দূতাবাসের বিশেষ অধিকার ও নিরাপত্তা এইভাবে নির্ধারিত হয়েছে যে, দূতাবাসের ভবন আক্রমণ করা যাবে না, দলিল পত্র আক্রমণ করা যাবে না, তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে অবাধ। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আচরণ ও ভ্রমণ অবাধ থাকবে, কর মওকুফ করা হবে, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করা ইত্যাদি। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিশেষ অধিকার ও নিরাপত্তা প্রধানতঃ তাদের নিরাপত্তার বেঘাত করা যায় না, বাসস্থান এবং সম্পদ আক্রমণ করা যায় না। যে দেশে কূটনীতিবিদ নিযুক্ত করা হয়, সেদেশের ফৌজদারী মোকদ্দমা, দেওয়ানী মোকদ্দমা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাগ্রহণ থেকে তাঁরা রেহাই পান। তাদের কর ও শুল্ক মওকুফ করা হয়।

    ১৯৭৫ সালের ২৫ অক্টোবর চীন এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সে বছর ২৫ ডিসেম্বর এই চুক্তি চীনে কার্যকরী হয়।